স্মরণীয় বাণী


মহানবী (সা.) বলেন : দয়া কর সেই সম্মানিতের ওপর যে লাঞ্ছিত হয়েছে, আর সেই ধনীর ওপর যে নিঃস্ব হয়েছে আর ঐ জ্ঞানীর ওপর যে মূর্খদের কবলে পড়েছে।

মহানবী (সা.) বলেন : যখন তোমাদের নেতারা হয় তোমাদের উত্তম লোকেরা আর তোমাদের সামর্থ্যবানরা হয় তোমাদের দানশীল লোকেরা, আর তোমাদের কাজকর্ম হয় তোমাদের সকলের পরামর্শ সহকারে তখন তোমাদের জন্য মাটির উপরিভাগই মাটির অভ্যন্তরের চেয়ে উত্তম হবে। আর যখন তোমাদের নেতারা হয় তোমাদের নিকৃষ্টরা আর তোমাদের সামর্থ্যবানরা হয় তোমাদের কৃপণরা আর তোমাদের কাজকর্ম ন্যস্ত হয় তোমাদের নারীদের ওপর তখন তোমাদের জন্য মাটির ওপরের চেয়ে নিচে থাকাই শ্রেয়।

মহানবী (সা.) বলেন : সেই ব্যক্তি অভিশপ্ত যে নিজের রুজির ভার অন্যের ওপর ন্যস্ত করেছে।

রাসূলুল্লাহ্্ (সা.) বলেন : অন্তরসমূহ ঐ সকল লোকের বন্ধুত্বে বাধা পড়ে যারা তাদের প্রতি সদাচার করেছে আর ঐ সকল লোকের শত্রু হয় যারা তাদের প্রতি অনিষ্ট করেছে।

ইমাম আলী (আ.) বলেন : বন্ধু বন্ধু নয় যতক্ষণ না নিজের বন্ধুকে রক্ষা করে কষ্টের সময়ে, তার অনুপস্থিতিতে এবং তার মৃত্যুর পরে।

ইমাম আলী (আ.) বলেন : যে ব্যক্তি দীনকে রুজি রোজগারের মাধ্যম করে তার জন্য দীন থেকে অর্জন হলো সেটুকুই যা সে ভক্ষণ করে।

ইমাম আলী (আ.) বলেন : ঈমান হলো পছন্দনীয় কথা, কৃত কাজ আর অন্তর দ্বারা মারেফাত অর্জন।

ইমাম হাসান (আ.) বলেন : নিশ্চয় পূর্ণ দৃষ্টিবান চোখ হলো সেই চোখ যা কল্যাণের মধ্যে প্রবেশ করে। আর সবচেয়ে শ্রবণক্ষম কান হলো সেই কান যা সতর্কবার্তা শোনে এবং তা থেকে লাভবান হয়। আর নিখুঁততম অন্তÍর হলো সেই অন্তর যা দ্বিধা-সংশয় থেকে মুক্ত থাকে।

ইমাম হাসান (আ.)-কে পৌরুষ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। উত্তরে তিনি বলেন : পৌরুষ হলো দীনের বিষয়ে অকার্পণ্য, সম্পদের শুদ্ধি আর অধিকার রক্ষা।

ইমাম হোসাইন (আ.) বলেন : যে লোক আল্লাহ্্র অবাধ্যতার মাধ্যমে কারো নৈকট্য লাভ বা কিছু অর্জন করে সে যা আশা করে অতি দ্রুত তা হারায় আর যা কিছু থেকে সতর্ক হয়ে চলে অধিক দ্রুত তাতে আক্রান্তÍ হয়।

ইমাম হোসাইন (আ.) বলেন : স্বনামধন্য ও সর্বমান্য হওয়ার চিহ্নাবলির নির্দেশকসমূহের মধ্যে একটি হলো বুদ্ধিমানদের সাথে ওঠাবসা। আর মূর্খতার কারণসমূহের একটি চিহ্ন হলো মুসলমানদের সাথে বিবাদ করা। আর বিজ্ঞতার একটি চিহ্ন হলো নিজের বক্তব্যের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করা এবং তত্ত্ববিদ্যাসমূহের (চিন্তার বিভিন্ন পদ্ধতির) সারসত্য জানা।

ইমাম আলী ইবনুল হোসাইন যায়নুল আবেদীন (আ.) বলেন : তিনটি জিনিস রয়েছে (যেগুলো) মুমিনদের নাজাত দেয় : মানুষের ওপর অপবাদ আরোপ, নিন্দা ও গীবত করা থেকে জিহ্বাকে বিরত রাখা, নিজেকে দুনিয়া ও আখেরাতে যা তার জন্য উপকারী সেকাজে প্রবৃত্ত করা আর তার গোনাহর জন্য অধিক ক্রন্দন করা।

ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) তদীয় পুত্র মুহাম্মাদ (আ.)-কে বলেন : যে কেউ তোমার কাছে ভালো কিছু চায় তার জন্য কাজ কর। যদি সে তার উপযুক্ত হয় তাহলে যথাযথ কাজ করলে, আর যদি সে তার উপযুক্ত না-ও হয় তাহলে তুমি নিজে তার উপযুক্ত। আর যদি কোনো লোক তোমার ডান পাশ থেকে তোমাকে গালমন্দ করে অতঃপর তোমার বাম পাশে এসে দাঁড়ায় এবং তোমার কাছে ক্ষমা চায় তাহলে তাকে ক্ষমা করবে।

ইমাম আলী ইবনে মূসা আর-রেযা বলেন : নীরবতা হলো প্রজ্ঞার দরজাসমূহের মধ্যে একটি দরজা। নিশ্চয় নীরবতা বন্ধুত্ব আনে এবং নিশ্চয় তা সকল কল্যাণের নির্দেশক।

ইমাম রেযা (আ.) বলেন : আল্লাহ্্্ বেশি কথা বলা, সম্পদ বিনষ্ট করা ও বেশি কামনা করাকে ঘৃণা করেন।