পণ্য পরিবহনের জন্য ইরানি রেল করিডরের ব্যবহার বাড়াচ্ছে চীন
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
চীন পণ্য পরিবহনের জন্য ইরানের রেলপথ করিডোরের ব্যবহার বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ইরানি কর্মকর্তা। আঞ্চলিক রেলপথ পণ্য পরিবহনের একটি বড় কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে তেহরান জোরালো প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান রেলওয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার নাগিজাদেহ রবিবার বলেন, ইরানের রেল করিডোর ব্যবহারকারী চীনা পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা এখন ৪২-এ পৌঁছেছে। এছাড়া ওই দিনই আরও একটি চীনা ট্রেন দেশে প্রবেশ করেছে।
নাগিজাদেহ আরও জানান, রাশিয়ার একটি পণ্যবাহী ট্রেনও রবিবার ইরানে এসেছে। এটি মস্কোর সেই ট্রানজিট কার্যক্রমের অংশ, যার মাধ্যমে ইরান হয়ে পারস্য উপসাগর, ভারত মহাসাগর ও ইরাকে পণ্য পাঠানো হচ্ছে।তিনি বলেন, মার্চ মাসে পরিচালিত একটি পরীক্ষামূলক যাত্রার পর ইরান তার ভূখণ্ড দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য দ্বিতীয় একটি চীনা পণ্যবাহী ট্রেনের চলাচল সমন্বয় করছে।
সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা (IRNA)-কে নাগিজাদেহ বলেন, “এগুলো রেলওয়ে খাতে বড় অগ্রগতি এবং এর সম্প্রসারণের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।”কর্মকর্তার মতে, কম দূরত্ব এবং সম্পূর্ণ স্থলভিত্তিক রুট হওয়ায়—যাতে সামুদ্রিক পরিবহনের প্রয়োজন পড়ে না—পণ্য পরিবহনের জন্য ইরানের রেল করিডোরগুলো ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
তিনি আরও বলেন, ইরান হয়ে ট্রানজিট ব্যয় তুলনামূলক অন্যান্য রুটের চেয়ে কম এবং দেশটি সর্বনিম্ন সময়ের মধ্যে পণ্য প্রক্রিয়াকরণের নিশ্চয়তা দিয়েছে।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঞ্চলিক ট্রানজিট আয়ের বড় অংশ দখল করার লক্ষ্যে ইরান তার পরিবহন অবকাঠামোয় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে।
এছাড়াও, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইরান পূর্ব–পশ্চিমমুখী ট্রানজিট অবকাঠামো সম্প্রসারণে দীর্ঘমেয়াদি নীতি গ্রহণ করেছে। বহু ট্রিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো চীনকে ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য পরিবহন সংযোগ উন্নত করা।
তথ্যসূত্র: প্রেস টিভি