বুধবার, ২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

ইরানের ন্যানোপ্রযুক্তি এক বছরে এক ধাপ এগিয়েছে

পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ২৭, ২০২৫ 

news-image

ইরান এক বছরে ( আগস্ট ২০২৪ থেকে আগস্ট ২০২৫) ন্যানোপ্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ন্যানোপ্রযুক্তি পণ্য রপ্তানি দ্বিগুনেরও বেশি বেড়েছে। ওয়েব অফ সায়েন্সে (ডাব্লিউওেএস) দেশটির ১০,৮৬০টি নিবন্ধ তালিকাভুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ন্যানোপ্রযুক্তি নিবন্ধ প্রকাশে বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে দেশটি।

ন্যানোপ্রযুক্তিতে ইরানের কার্যক্রম ২০০১ সালে শুরু হয়। দুই বছর পর এই ক্ষেত্রে জ্ঞানের প্রচার-প্রসারে ন্যানোপ্রযুক্তির সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। ‘ভবিষ্যতের কৌশলগত দলিল’ শিরোনামে প্রথম জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা ২০০৫ সালে তৈরি করা হয়, যার লক্ষ্য ছিল ইরানকে এই ক্ষেত্রে শীর্ষ ১৫টি দেশের মধ্যে স্থান দেওয়া, সম্পদ তৈরি এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য দেশের অবস্থানের চলমান উন্নতির উপর আলোকপাত করা।

পরবর্তীকালে, উভয় ক্ষেত্রেই এর লক্ষ্য এবং কার্যক্রমগুলি অনুসরণ করতে সংস্থার নাম বদলে ‘ন্যানো এবং মাইক্রো প্রযুক্তি সদর দপ্তর’ করা হয়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভাইস প্রেসিডেন্সি প্রকাশিত তথ্য মতে, বিভিন্ন শিল্পে ইরানের ন্যানো প্রযুক্তি পণ্যগুলিকে ১৩টি প্রধান বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নির্মাণ; অপটিক্স, ইলেকট্রনিক্স এবং ফোটোনিক্স; পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রোকেমিক্যালস; ফার্মাসিউটিক্যালস, স্বাস্থ্য এবং কল্যাণ; গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি; বিদ্যুৎ ও শক্তি; কাঁচামাল; রাসায়নিক; বস্ত্র ও পোশাক; সরঞ্জাম; মোটরগাড়ি শিল্প এবং পরিবহন; শিল্প যন্ত্রপাতি; কৃষি, পশুপালন এবং পানি।

ন্যানোপ্রযুক্তি উন্নয়নের জাতীয় সদর দপ্তর প্রকাশিত তথ্য মতে, ইরানের ন্যানোপ্রযুক্তি পণ্যের প্রায় ৮৯.৬ শতাংশ এশিয়ান দেশগুলিতে রপ্তানি করা হয়। এরপরে ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া যথাক্রমে ৬.৮ শতাংশ, ২.৫ শতাংশ এবং ১ শতাংশ পণ্য রপ্তানি হয়।

ইরানি ক্যালেন্ডার ১৪০২ (মার্চ ২০২৩ থেকে মার্চ ২০২৪) সম্পর্কিত তথ্য থেকে আরও দেখা যায়, প্রতিবেশী দেশগুলি ইরানের ন্যানোপ্রযুক্তি পণ্যের প্রধান রপ্তানি গন্তব্যস্থল। ইরাক, তুরস্ক এবং আফগানিস্তান শীর্ষ তিনটি আমদানিকারক দেশ, ইরানের ন্যানোপণ্য রপ্তানিতে যাদের ২৩.১ শতাংশ, ৬.৯ শতাংশ এবং ৬.৫ শতাংশ অবদান রয়েছে।

এর পরেই রয়েছে পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, রাশিয়া, চীন এবং ভারত।

সূত্র: তেহরান টাইমস