শহীদ সোলেইমানির পথেই অনুপ্রেরণা খুঁজছে নতুন প্রজন্ম
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
পার্সটুডে: বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের কমান্ডার শহীদ কাসেম সোলাইমানির শাহাদাতের প্রায় ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। ইরানি এক্স ব্যবহারকারীগণ এখনও তার সাহসিকতা ও বীরত্বকে স্মরণ করছেন।
৩ জানুয়ারি শহীদ কাসেম সোলাইমানির ষষ্ঠ শাহাদাতবার্ষিকী। তিনিসহ ১০ জন ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন আগ্রাসী ও সন্ত্রাসী বাহিনীর বিমান হামলায় শহীদ হন। এ উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ইরানি ব্যবহারকারীরা শহীদ সোলাইমানির নানা বার্তা দিয়ে তাকে স্মরণ করছেন।
এক্সের সক্রিয় ব্যবহারকারী ইউসুফ শামসুদ্দিনি শহীদ সোলাইমানির নিষ্ঠা ও তাকওয়ার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন:
“সর্দার হাজ কাসেম সোলাইমানিকে এক বাক্যে বর্ণনা করা সম্ভব নয়; তাকে খুঁজে পাওয়া যায় আন্তরিকতা ও তাকওয়ার মৌলিকত্বে; যেখানে যেকোনো পদ ও মর্যাদার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি, দৃশ্যমানতা বা সমষ্টিগত স্বীকৃতি নয়।”
আরেক ব্যবহারকারী মোহাম্মদ জাওয়াদ লিখেছেন:
“কমান্ডার সোলাইমানির সাহসিকতা অস্তিত্ব ও অনস্তিত্বের সীমারেখাকে অর্থপূর্ণ করেছে। তিনি দেখিয়েছেন যে, চলে যাওয়ার পরও অনুপ্রেরণার উৎস হওয়া যায় এবং প্রতিরোধের পথকে আলোকিত রাখা যায়।”
হাজ মেহেরদাদ নামের আরেক ইরানি ব্যবহারকারী সোলাইমানিকে ‘প্রতিরোধের বৈশ্বিক প্রতীক’ হিসেবে বর্ণনা করে লিখেছেন:
“হাজি কাসেম সোলাইমানি ছিলেন সবচেয়ে ইরানি কমান্ডার এবং প্রতিরোধের সবচেয়ে বৈশ্বিক প্রতীক।”
“খানমে মিম” নামের এক্স ব্যবহারকারীও সোলাইমানির সাহস ও আত্মত্যাগকে সব ‘প্রজন্মের জন্য অনন্য আদর্শ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আরেক ইরানি ব্যবহারকারী মোহসেন দিওয়ানি লিখেছেন:
“সর্দার সোলাইমানির চিন্তা ও নৈতিকতা আজও জীবিত এবং তা ইরানি শিশু-কিশোরদের হৃদয়ে প্রবাহিত হবে।”
সিমোর্গ নামের ব্যবহারকারী লিখেছেন:
“সর্দার সোলাইমানি—তার পথ আজও অব্যাহত রয়েছে।”
এছাড়া ‘হান্নানে বানু’ নামের আরেক ইরানি ব্যবহারকারী বিশ্বজুড়ে সব নিপীড়িত মানুষের প্রতি সোলাইমানির ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন:
“সর্দার সোলাইমানি ছিলেন এমন এক পিতা, যার হৃদয় সারা বিশ্বের সব নিপীড়িত মানুষের জন্য কাঁপত। ভালোবাসার এই বিস্তৃত পরিসরই তার শিক্ষা।”
পার্সটুডে