বুধবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ফেন্সিংকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে চান ইরানি কোচ জামনি 

পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ২৩, ২০১৯ 

news-image

ফেন্সিং। বিশ্বের প্রাচীনতম আর জনপ্রিয় খেলাগুলোর একটি।বাংলাদেশে খেলাটি খুব একটা পরিচিত না হলেও বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন খেলাটির প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে সম্প্রতি বাংলাদেশ ফেন্সিং দলে কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন ইরানের উমিদ জামনি।  তার অভিজ্ঞতা আর কোচিং দর্শনে খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করছেন এসএ গেমসের জন্য। তাদের প্রত্যাশা, আসছে গেমসে বেশকটি পদক জিতবে বাংলাদেশ।

এক সময় নিজ দেশের হয়ে খেলেছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। তবে সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে ইতি টেনে কোচিং এ মনোনিবেশ ইরানেরউমিদ জামনির। বাংলাদেশে কোচ হওয়ার আমন্ত্রণ যখন পেয়েছিলেন তার মাস দুয়েক আগেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাই বাংলাদেশ যাত্রায় সঙ্গে নিয়ে এলেন স্ত্রী মেহনাজ কারামআলিয়নকে। মেহনাজ একজন মনস্তত্ববিদ।বাংলাদেশে এসে তিনিও বসে থাকেন নি।ফেডারেশনের সাথে আলোচনা করে ফেন্সারদের মানসিক দক্ষতা বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন।ইরানিয়ান দম্পতির কোচিং দর্শনে এস এ গেমস এরজন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশের ফেন্সাররা।

উমিদজামনি বলেন, গেমস এর আগে বেশি সময় নেই। আমরা চেষ্টা করছি খেলোয়াড়দের টেকনিকে আরো উন্নতি আনার।কয়েকজন ভালো ফেন্সার আছেন।

মেহনাজকারামআলিয়ন বলেন, আমি ফেন্সারদের মানসিক দক্ষতায় কাজ করছি।সব খেলায় শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি শক্তিশালী মানসিকতার প্রয়োজন হয়। ফেন্সিংয়ে এ বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ।খেলোয়াড়রা দ্রুতই বিষয়টি বুঝতে পারছে।

নিজদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূর বাংলাদেশে এসে ভাষা, সংস্কৃতি সবকিছুতেই পরিবর্তন দেখলেও মানিয়ে নিয়েছেন দুজনই।তারা বলেন, বাংলাদেশের সবাই খুবই আন্তরিক ও অতিথিপরায়ণ।যানজটের কারণে চলাফেরাটা একটু কঠিন কিন্তু তারপরও সবমিলিয়ে এখানে বেশ ভালই কাটছে।উমিদ জামনি বলেন, প্রথম প্রথম একটু সমস্যায় পড়েছিলাম। তবে এখন মানিয়ে নিয়েছি।এস এ গেমস এরজন্য স্বল্পকালীন চুক্তি উমিদ জামনি ও মেহনাজের। তবে অল্পকিছুদিন বাংলাদেশে থেকেই অন্যরকম টান অনুভব করছেন তারা।জানিয়েছেন ফেডারেশন চাইলে দীর্ঘ সময়ের জন্য থেকে বাংলাদেশের ফেন্সিংকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে চান।