কাজভিন জামে মসজিদ: ইরানে অন্যতম প্রাচীন মসজিদ
পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ৩, ২০১৬
ইরানের কাজভিন প্রদেশের প্রধান শহর কাজভিনে রয়েছে অসংখ্য মসজিদ। মসজিদের প্রাচুর্য দেখে মনে হয় এখানকার এমন কোনো স্থান নেই যে স্থান মুমিন মানুষের উপস্থিতি বা পাদচারণায় ধন্য হয় নি। কাজভিনের জামে মসজিদ বা কাবির মসজিদের দিকে তাকালেই দৃষ্টি অর্থবহ হয়ে ওঠে। অসম্ভব সুন্দর এই মসজিদটি। কাজভিন শহরের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ এটি।
কাজভিন জামে মসজিদের সবচেয়ে প্রাচীন অংশটি কে নির্মাণ করেছিলেন তা নিয়ে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। কোনো কোনো ঐতিহাসিক বলেছেন, উমাইয়া শাসক ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের হাতে হিজরি ১০০ সনে ওই অংশটি নির্মিত হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, ১৯২ হিজরিতে আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশিদের হাতে নির্মিত হয়েছে কাজভিন জামে মসজিদের প্রাচীনতম অংশটি। অবশ্য বর্তমানে হারুনুর রশিদের নামেই ‘ত্বা’কে হারুনি’ নামে তা প্রসিদ্ধ।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও নিদর্শন বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজভিন জামে মসজিদে ঐতিহাসিক বহু লিপিকর্ম রয়েছে। এসব লিপিকর্ম সেখানকার কারুকার্যে বা নকশাগুলোতে কবিতা আকারে কিংবা বর্ণনায় উঠে এসেছে।
ইসলামি যুগের স্থাপত্যকলার আদলে বানানো এই মসজিদটির ঐতিহাসিক মূল্য অনেক। সে সময় চার দিকে ঝুল বারান্দা রেখে মসজিদ বানানো হতো। সেই রেওয়াজের নিদর্শন এখানে সুস্পষ্ট। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, এই মসজিদ প্রাচীনত্ব এবং নির্মাণ শৈলীগত দিক থেকে ইরানের মধ্যে একেবারেই বিরল। দৃঢ়তা এবং বিশালত্বের বিচারে এই মসজিদের গম্বুজ একটু আলাদা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন।
মিনারটিতে কারুকাজও করা হয়েছে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। ওইসব কারুকাজে একবার চোখ পড়লেই অপলক আটকে যায় দৃষ্টি। ঝুলবারান্দাগুলোও দেখার মতো। তাতে রয়েছে বিচিত্র লিপির আলঙ্কারিক নকশা। সেলজুকি এবং সাফাভি যুগের নকশার ছাপ সেগুলোতে স্পষ্ট।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর মসজিদটির কিছু অংশে সংস্কার করা হয়েছে। সূত্র: পার্সটুডে