বুধবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

বৈশ্বিক সমীকরণে ইরানের পারস্য উপসাগরের ভূমিকা কী

পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ২৬, ২০২৫ 

news-image

ইরানের পারস্য উপসাগর তার অনন্য ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে, এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকা এই তিনটি মহাদেশের মধ্যে বৃহত্তম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

ইতিহাস জুড়ে, পারস্য উপসাগর সর্বদা অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইরানের জন্য অসাধারণ কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে ইরানের কৌশলগত বৈদেশিক নীতির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় এ অঞ্চলের অবস্থান বিবেচনায় নেওয়া হয়। পার্সটুডে আরও জানায় ‘পারস্য উপসাগর’ নামটির শেকড় প্রাচীন ইতিহাসে রয়েছে এবং অসংখ্য ঐতিহাসিক নথি ও সূত্র এই নামটিকে অনুমোদন করে। বিপরীতে, কিছু আঞ্চলিক দেশ এবং বিদেশী শক্তির একটি জাল নাম প্রচারের প্রচেষ্টার নিন্দা করা হয়েছে যার কোনও ঐতিহাসিক কিংবা যৌক্তিক কোনো প্রমাণপঞ্জি নেই। এই পদক্ষেপগুলোকে ইরানি জাতির সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক পরিচয়কে লক্ষ্য করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও কেবল ‘পারস্য উপসাগর’ উপাধিটিকে স্বীকৃতি দেয়।

পারস্য উপসাগরের বৈশ্বিক গুরুত্ব বেশ কয়েকটি মৌলিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে:

বিশাল জ্বালানি সম্পদ: পারস্য উপসাগর বিশ্বের প্রায় ৬২ শতাংশ তেল এবং বিশ্বের ৪০ শতাংশ গ্যাস সম্পদ ধারণ করে। পারস্য উপসাগরীয় অববাহিকায় প্রায় ৭৩০ বিলিয়ন ব্যারেল তেলের মজুদ রয়েছে বলে প্রমাণিত এবং ৭০ ট্রিলিয়ন ঘনমিটারেরও বেশি প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে।

হরমুজ প্রণালী: এই প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ যা পারস্য উপসাগরকে ওমান সাগর এবং উন্মুক্ত জলের সাথে সংযুক্ত করে এবং বিশ্বের এগারোটি প্রধান প্রণালীর মধ্যে একটি অনন্য অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অবস্থান রয়েছে। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ তেল রপ্তানি এই প্রণালী দিয়ে যায়।

সামরিক ও নিরাপত্তা গুরুত্ব: এ অঞ্চলে পশ্চিমা দেশগুলোর বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সামরিক ঘাঁটি এবং জাহাজের উপস্থিতি এর কৌশলগত গুরুত্বের প্রমাণ। ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় ‘ট্যাঙ্কার যুদ্ধ’ এর মতো ঘটনার পর এই উপস্থিতি আরও তীব্র হয়।#

পার্সটুডে