বিদেশিদের নিয়ে একুশের সাংস্কৃতিক আয়োজন
পোস্ট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রাজধানীর সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর আয়োজন ছিল উৎসবমুখর। এ দিনটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছিল ব্যতিক্রমী এক আয়োজন। ছিল বাংলার সঙ্গে বিদেশি ভাষার গান ও কবিতার বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পাঁচ বছরের ধারাবাহিকতায় বিদেশিদের নিয়ে ভাষার গান ও কবিতাপাঠের অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শহীদ মিনারের বিপরীত প্রান্তের গগন শিরীষ বৃক্ষতলটি ছিল অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ।
ঢাকা সাংস্কৃতিক দলের ১০ জন শিল্পী পরিবেশন করেন ১২টি দেশের গান। এর আগে বাউলসাধক শাহ আবদুল করিমের ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’ গানটি পরিবেশন করেন শিল্পীরা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি। আড়াই ঘণ্টা ব্যাপ্তির অনুষ্ঠানে ১৫টি পরিবেশনায় অংশ নেন ইরান, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালিসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাঁদের সন্তানেরা। বাংলাদেশের আদিবাসী গান পরিবেশন করেন সোয়ে সোয়ে ইউ মারমা। ভিয়েতনামের অবিসংবাদিত নেতা হো চি মিন স্মরণে ‘ভিয়েতনাম-হো চি মিন’ শীর্ষক সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী আবিদা সুলতানা।
এদিন, নানা পরিবেশনায় বসন্তসন্ধ্যায় মুখরিত হয়ে ওঠে শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চ। জাতীয় সংগীতের পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর সমবেত কণ্ঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের সুরে পরিবেশিত হয় নৃত্য। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিদেশি দূতাবাসের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সংগীত পরিবেশনা ও কবিতা পাঠ। একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের শিল্পীরা পরিবেশন করেন ভাওয়াইয়া। ‘এই আমাদের বাংলাদেশ’ গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে আইরিন পারভীনের পরিচালনায় নৃত্যদল বাংলার মাটি। কবি নির্মলেন্দু গুণ রচিত ‘তোমার পায়ের নীচে আমি’ কবিতা অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করে দীপা খন্দকারের দল। একক সংগীত পরিবেশন করেন রথীন্দ্রনাথ রায়, অণিমা মুক্তি গোমেজ, আকরামুল ইসলাম, চন্দনা মজুমদার, ইয়াসমিন আলী প্রমুখ। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে ঋষিজ।