বৃহস্পতিবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

দিন-রাতের সময়কে চার ধরনের কাজের জন্য ভাগ করুন: ইমাম মুসা কাজেমের (আ) উপদেশ

পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ 

news-image

পার্স-টুডে: নানা সমস্যায় জর্জরিত ও উদ্বিগ্ন মানুষেরা ব্যস্ত জীবনে দৈনন্দিন কাজের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীন।

সময়ের যথাযথ ব্যবহারও তাদের উদ্বেগের একটি বড় বিষয়। মহানবী মুহাম্মাদ সা.’র পবিত্র বংশধারা তথা আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য ইমাম মুসা কাজেম-আ. মানুষের প্রাত্যহিক কাজকর্মকে চারটি সময়ে ভাগ করে সম্পন্ন করার রুটিন দিয়েছেন।

চার পর্যায়ের এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আধ্যাত্মিক, সামাজিক এবং পারিবারিক ও বস্তুগত চাহিদাগুলো মেটানো সংক্রান্ত কাজের সময়সূচি।

তাঁর মতে চার ভাগে সময়কে ভাগ করে যেসব কাজ করতে হবে সেগুলো হল নিম্নরূপ:

১. মহান আল্লাহর প্রতি দোয়া ও প্রার্থনা বা যোগাযোগের সময় যাতে আধ্যাত্মিক দিক থেকে আত্মা হয়  শক্তিশালী।

২. আপনার জীবিকা তথা রুটি-রুজি অর্জন সংক্রান্ত জীবনের চাহিদা পূরণের কাজ ও প্রচেষ্টার সময়।

৩. বন্ধুবান্ধব ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সাথে বসে কথা বলার সময়; যারা আপনাকে আপনার ত্রুটিগুলি মনে করিয়ে দেয় এবং সততা, কল্যাণকামিতা ও সদিচ্ছার সাথে আপনার পাশে থাকে।

৪. হালাল আনন্দ ও সুস্থ বিনোদন উপভোগ করার সময় যাতে আপনার আত্মা ও শরীর বিশ্রাম নিতে পারে।

এই রুটিন দেখায় যে একজন ব্যক্তিকে আধ্যাত্মিকতা, কাজ ও অর্থনীতি, সামাজিক সম্পর্ক এবং তাদের প্রাকৃতিক ও বিনোদনমূলক চাহিদার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এই চারটি ক্ষেত্রের কোনো একটি ক্ষেত্রের প্রতি অবহেলা জীবনের ভারসাম্যকে ধ্বংস করে দেয়।

অনেক মানুষ কাজ ও অর্থনৈতিক প্রচেষ্টায় এতটাই ডুবে থাকে যে তারা কেবল আধ্যাত্মিকতা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেয় না, একইসঙ্গে তাদের পরিবার এবং সন্তানদের প্রতিও যথেষ্ট মনোযোগ দেয় না। এই অবহেলার ফলে দেখা দেয় উদাসীনতা, ভালোবাসার অভাব, মানসিক ক্লান্তি এবং সামাজিক ক্ষতি হয়। এই হাদিসের আলোকে আধ্যাত্মিক, পারিবারিক ও সামাজিক ও ব্যক্তিগত বিষয়াদির মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য।

পার্স টুডে