মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনেয়ির বক্তব্য: নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি লাভ করেছে

পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ২, ২০২৫ 

news-image

ইসলামী বিপ্লবের নেতা ইমাম খামেনেয়ি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরানের অগ্রগতির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার ভূমিকাকে একটি বড় কারণ বলে মনে করেন।

২০২৩ সালের ২১ মার্চ ইরানের মাশহাদ শহরে ইমাম রেজা (আ.)’র পবিত্র মাজার প্রাঙ্গনে এক বিশাল জনসমাবেশে ইসলামী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহহিল উজমা ইমাম খামেনেয়ি বলেছিলেন, ‘আমরা অগ্রগতি অর্জন করেছি অনেক ক্ষেত্রে, আর এইসব অগ্রগতি ঘটছে নিষেধাজ্ঞার সময়, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সময়, সবচেয়ে কঠোর অর্থনৈতিক চাপের সেই সময়গুলোতেই-মার্কিনিরাই বলেছিল এ কথা। মার্কিনিরা বলেছিল, যে অর্থনৈতিক চাপ আমরা ইরানের ওপর প্রয়োগ করেছি তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। তারা অন্য সব বিষয়ে মিথ্যা কথা বললেও এই একটি বিষয়ে সত্য কথা বলেছিল। এটা ছিল নজিরবিহীন অর্থনৈতিক চাপ। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ইরানি জাতি অগ্রগতি অর্জন করেছে। ইরান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইরান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।’

অর্থনৈতিক চাপের প্রধান ও চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল ইরানে উৎপাদনের চাকা বন্ধ করা, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ২০২২ সালের ৯ মে শ্রমিকদের সমাবেশে বলেছিলেন, বিপ্লবের প্রথম থেকেই দাাম্ভিক শক্তিগুলো ইরানের উৎপাদন অচল করে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু শ্রমিকরা রণাঙ্গনের সন্মুখ সারিতে রুখে দাঁড়ান এবং তা ঘটতে দেননি।

শত্রুরা যা চায় তার ঠিক বিপরীত কাজ করতে হবে

২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ব আযারবাইজানের জনগণের উদ্দেশে এক ভিডিও-বার্তায় ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বর্তমান সর্বোচ্চ প্রধান বলেছিলেন, আমাদের প্রিয় যুব সমাজের প্রতি আমার অনুরোধ হল তারা যেন শত্রুদের বর্তমান গতিবিধি লক্ষ্য করেন, শত্রুরা কোন্ বিষয়কে লক্ষ্য বা টার্গেট করেছে তা যেন তারা দেখেন এবং এরপর শত্রুদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের ঠিক বিপরীত লক্ষ্যে তাদের সক্রিয় হতে হবে।

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার মতে, আমি যেভাবে পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করেছি তা হল শত্রুরা গোটা জাতিকে টার্গেট করেছে, তারা জনমতকে টার্গেট করেছে, তারা জনমতকে টার্গেট করেছে এবং যুব সমাজের মানসিকতাও তাদের লক্ষ্যবস্তু। তাদের দু’টি প্রাথমিক হাতিয়ার হল : প্রথমত অর্থনৈতিক চাপ এবং দ্বিতীয়টি প্রচার-প্রোপাগান্ডা চালানো, ইসলামী বিপ্লবের মূল স্তম্ভগুলো ও দিক বা উপাদানগুলোর বিরুদ্ধে এবং সেইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বদনাম করা যেসব প্রতিষ্ঠান এ বিপ্লবের অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে।’ ই