বৃহস্পতিবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

আমরা কূটনীতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছি: মার্কিন প্রতিনিধি / এটা নিষেধাজ্ঞার হাত: ইরান

পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫ 

news-image

পার্সটুডে- ইরানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (টুইটার) ব্যবহারকারীরা বলেছেন, ইরানের জনগণের ক্ষেত্রে আমেরিকার তথাকথিত কূটনীতি আসলে কেবল যুদ্ধ উসকানি ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

মঙ্গলবার জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি চাপের কাছে তেহরানের নতি স্বীকার না করার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইরান নীতিভিত্তিক কূটনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এখন আস্থা পুনর্গঠনের দায়িত্ব ফ্রান্স, ব্রিটেন ও আমেরিকার ওপরই বর্তায়। এ প্রসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি মরগান অরটেগাস ইরানের উদ্দেশে কূটনীতির দাবি তুলে বলেন, “আগুন থেকে দূরে থাকুন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কূটনীতির হাত গ্রহণ করুন; এই হাত এখনো আপনাদের দিকে বাড়ানো আছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমির আলী আবুল ফাত্তাহ ইরানের প্রতি আমেরিকার ভণ্ড নীতির প্রতি কটাক্ষ করে লিখেছেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি যখন ইরানকে বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কূটনীতির হাত ধরতে হবে ইরানকে, তখন এর এর মানে কি আমেরিকার জেসিপিওএ (পরমাণু চুক্তি) থেকে বেরিয়ে যাওয়া এবং ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলার কথাই বোঝানো হচ্ছে?”

‘তারা’ নামের আরেক ব্যবহারকারী এক্সে লিখেছেন, “আমেরিকান কূটনীতিটাই এমন—প্রথমে কোনো দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তারপর সেই নিষেধাজ্ঞাকেই ওয়াশিংটনের কাছ থেকে ছাড় আদায়ের বিনিময়ে দরকষাকষির হাতিয়ার বানায়। আমেরিকা ইরানের সঙ্গে কূটনীতি চায় না; তারা যে কূটনীতির হাত বাড়িয়েছে বলে দাবি করছে তা আসলে নিষেধাজ্ঞা ও যুদ্ধ উসকানির হাত।”

এক্স-এর আরেক ইরানি ব্যবহারকারী মোহসেন জাফারি পানাহ মন্তব্য করেছেন এভাবে- “এই আমেরিকার সঙ্গেইতো আলোচনা চলছিল, যে কিনা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করেছিল! মনে হয় সেটা আরেক আমেরিকা ছিল, কিংবা আরেক ট্রাম্প। তারা কূটনীতির প্রক্রিয়া চলার মাঝখানেই সামরিক হামলা চালাতে পারে, কিন্তু আবার তারাই বলছে যে, চলো আবার হাত মিলাই।”#

পার্সটুডে