All posts by dreamboy

জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে রূপান্তরিত তুলা উন্মোচন করল ইরান

ইরান রোববার জৈবপ্রযুক্তি প্রকৌশলের মাধ্যমে বা জিনগতভাবে রূপান্তরিত তুলা উন্মোচন করেছে। ইরানি বিশেষজ্ঞরা নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে এ তুলা উৎপাদন করেছেন।

তেহরানে ইরানের প্রথম আন্তর্জাতিক এবং ৯ম জাতীয় জৈবপ্রযুক্তি কংগ্রেসে এ তুলার উদ্বোধন করা হয়। ইরানের কৃষিমন্ত্রী মাহমুদ হোজ্জাতি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আজ থেকে এ কংগ্রেস শুরু হয়েছে এবং মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত তা চলতি চলবে।

ইরানের প্রথম আন্তর্জাতিক জৈবপ্রযুক্তি কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেন ড. মোস্তফা গনি। তিনি জানান, জৈবপ্রযুক্তি  প্রকৌশলের মাধ্যমে বা জিনগতভাবে তুলার রূপান্তর ঘটিয়েছে ইরানের একটি জৈবপ্রযুক্তি গবেষণা ইন্সটিটিউট। রাজধানী তেহরানের পশ্চিমের আলবোর্জ প্রদেশে এ ইন্সটিটিউটটি অবস্থিত। জিনগত ভাবে তুলার রূপান্তর ঘটাতে পাঁচ বছর সময় লেগেছে উল্লেখ করে ড. গনি বলেন, ইরানের পরিবেশের সঙ্গে মিল রেখে এ পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে।

ইরানের দক্ষিণ কুর্দিস্তান প্রদেশে তুলা উৎপাদনে মান নিয়ে যে সমস্যা ছিল তা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে  জৈবপ্রযুক্তি  প্রকৌশলের মাধ্যমে বা জিনগতভাবে রূপান্তরিত এ তুলা। নতুন এ প্রযুক্তির কল্যাণে কুর্দিস্তান প্রদেশের তুলা উৎপাদন ৫ থেকে ৭ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

ড. গনি আরো জানান,  কৃষিক্ষেত্রে জিনগতভাবে রূপান্তরিত শস্য চাষের আগে ইরানি সংসদের জৈবনিরাপত্তা কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। স্বাস্থ্য, কৃষি এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ কমিটি গঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত দু’দশকে জৈবপ্রযুক্তি খাতে ইরানে নতুন নতুন সাফল্য অর্জন করেছে। এতে, জৈবপ্রযুক্তি ওষুধ রফতানি করছে ইরান।

রেডিও তেহরান, ২৪ মে, ২০১৫

‘বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ খাতে পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে ইরান’

 ইরান, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ খাতে পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। একই সঙ্গে এ প্রযুক্তিকে পুরো দেশীয়করণ করতে পেরেছে ইরান। ইরানের গবেষণা ও মানব সম্পদ বিষয়ক উপ জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মোহাজেরি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কেবলমাত্র দেশের ভেতর নয় বরং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পুরো সক্ষমতা আছে ইরানের। বিদ্যুৎ-শিল্প সংক্রান্ত প্রযুক্তি ইরান অর্জন করেছে ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলোতে এ প্রযুক্তি সরবরাহে প্রস্তুত রয়েছে তেহরান।rth-2

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত দু’টো গবেষণা সংস্থা ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা করছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বিরাজমান সমস্যা নিরসনে এ সব গবেষণা চলছে ।

এদিকে, এর আগে ইরান বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ কোম্পানি বা টিএভিএএনআইআর ঘোষণা করেছে ইরানের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৭৩ হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করেছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যুৎ রফতানির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইরান।

এ ছাড়া, ছয়শ’ কোটি ইউরো ব্যয়ে নতুন কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজও শুরু করেছে ইরান। এ সব কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১০ হাজার মেগাওয়াট হবে। অন্যদিকে ইরান আগামী ২০ বছরে ২০ হাজার মেগাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনাও করেছে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী বুশেহরের ইরানের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। এ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২০১১ সালে সেপ্টেম্বরে ইরানের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়।

রেডিও তেহরান, ১২ জুন, ২০১৫

গ্যাস সম্পদে সুপারপাওয়ার ইরান: বিনিয়োগ দরকার ১০০ বিলিয়ন ডলার

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্যাস সম্পদের অধিকারী ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বলেছে, এ শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ দরকার। সম্প্রতি লণ্ডনভিত্তিক তেল কোম্পানি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম নতুন প্রতিবেদনে বলেছে, ইরান এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্যাস সম্পদের অধিকারী। এর আগে রাশিয়াতে ছিল বিশ্বের সবচেয়ে গ্যাসের রিজার্ভ।

বিপি তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে, ইরানে রয়েছে ৩৪ ট্রিলিন ঘনমিটার গ্যাস। অন্যদিকে রাশিয়ায় আছে ৩২.৬ ট্রিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাসের মজুদ। ফলে, ইরান এখন বিশ্বের সবচেয় বেশি গ্যাস সম্পদের অধিকারী দেশ।

rth-1ইরানের জাতীয় গ্যাস কোম্পানির আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক আজিজুল্লাহ রামেজানি বলেছেন, আগামী ২০/৩০ বছরের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস হবে বিশ্বের প্রধান জ্বালানি। তিনি প্যারিস থেকে ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “কয়লার জায়গা দখল করবে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেলের পর গ্যাস হবে দ্বিতীয় প্রাধান জ্বালানি।” সে কারণে ইরান তার গ্যাস সম্পদের উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার্ষিক ১৬৬ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস উত্তোলন করছে এবং এর বেশিরভাগই ব্যবহৃত হচ্ছে ইরানের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে। মাত্র ১০ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস রপ্তানি করে ইরান।

এ প্রসঙ্গে রামেজানি বলেন, আগামী চার বছরের মধ্যে বাড়িয়ে প্রতিদিন ২০০ বিলিয়ন গ্যাস রপ্তানির পরিকল্পনা নিয়েছে ইরান। এখন প্রতিদিন ৮০ কোটি মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেখানে আগামী পাঁচ বছরে তা বাড়িয়ে ১২০ কোটি ঘনমিটারে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রেডিও তেহরান, ১২ জুন, ২০১৫

দূর থেকে অপারেশন করার রোবট উন্মোচন করল ইরান

ইরানের বিজ্ঞানীরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে রিমোট বা টেলি সার্জারির কাজে ব্যবহৃত রোবট উন্মোচন করেছেন। তেহরানে চলমান ইরানের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি মেলা বা ইনফোটেক্স ২০‌১৫- এ এই রোবটের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

ইবনে সিনা নামের এ রোবট দিয়ে রোগীর সংস্পর্শে না এসেই একজন সার্জন সুনিপূণভাবে রোগী দেহে অপারেশন করতে পারবেন। ইবনে সিনা প্রকল্পের পরিচালক ফারজাম ফারাহ্‌মান্দ এ সম্পর্কে বলেছেন, এ রোবটটি মূলত একটি অত্যাধুনিক রিমোট বা টেলি সার্জারি ব্যবস্থা। একটি মনিটর এবং রোবট নিয়ন্ত্রিত দু’টি বাহুর ভিত্তিতে কাজ করে ইবনে সিনা।

তিনি আরো জানান, তলপেট এবং প্রোস্টেট অপারেশনের কাজে এ রোবট ব্যবহার করা যাবে। অপারেশন পরিচালনকারী সার্জন দূর থেকে ইবনে সিনার বাহু নিয়ন্ত্রণ করবেন এবং মনিটরের সাহায্যে অপারেশন প্রত্যক্ষ করবেন।

ফারজাম ফারাহ্‌মান্দ আরো বলেন, এ যন্ত্রের মাধ্যমে অপারেশন চালানো হলে রোগী দেহের স্বাস্থ্যকর কোষকলার ক্ষতি এবং রক্তপাত কম হবে। এতে রোগীর সেরে ওঠার প্রক্রিয়া দ্রুততর হবে।

ইরানি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রাণীদেহে এ ব্যবস্থা দিয়ে সফল পরীক্ষা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের ওপর এর পরীক্ষা করার জন্য  যথাযথ অনুমতি নিতে হবে।

 ইরানের শরিফ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তেহরান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।

রিমোট সার্জারি বা টেলিসার্জারি চিকিৎসা জগতের একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ক্ষেত্র। এতে  একটি ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশন লিঙ্ক এবং একটি রোবটিক সার্জিক্যাল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এ ব্যবস্থায় রোগীর সংস্পর্শে না এসেই তার দেহে সফল অস্ত্রোপচার করতে পারেন।

রেডিও তেহরান, ১০ জুন, ২০১৫

ন্যানো-প্রযুক্তি খাতে ইউনেস্কোর পদক পেলেন ইরানি অধ্যাপিকা

ইরানের তাব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা-রসায়ন বিজ্ঞানের অধ্যাপিকা ডক্টর সুদাবেহ দবারান ন্যানো-প্রযুক্তি খাতে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর পদক পেয়েছেন।

ইরানের এই অধ্যাপিকাসহ বিশ্বের ৮ জন বিজ্ঞানী এই পদক পাওয়ার গৌরব অর্জন করলেন।unicef award of Iranian professor

ন্যানো-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণায় অবদান রাখার কারণে সম্প্রতি (গত দশই এপ্রিল) এই বিজ্ঞানীদের পুরস্কার দেয়া হয় ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে। ইউনেস্কো ২০১০ সাল থেকে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।

ডক্টর সুদাবেহ দবারান তাব্রিজ চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা- ন্যানো প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান এবং মেডিসিনাল বায়োম্যাটেরিয়ালস ও চিকিৎসা-ন্যানো প্রযুক্তি বিষয়ের অধ্যাপিকা।

রেডিও তেহরান, ২২ এপ্রিল, ২০১৫

হলুদ থেকে বিষক্রিয়া মুক্ত ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করল ইরান

ইরানি গবেষকরা হলুদ থেকে ক্যান্সারের ন্যানো ওষুধ তৈরি করেছেন। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ ওষুধের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা গেছে। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞান বিভাগের ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্র এ ওষুধ তৈরি করেছে।

ইরানি গবেষকদের তৈরি পলিমারভিত্তিক ন্যানো বাহকের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কোষকলায় পৌঁছে দেয়া হবে ক্যান্সারবিরোধী ওষুধ কারকিউমিন। হলুদের এ উপাদানের ক্যান্সার আক্রান্ত কোষকলা ধ্বংস এবং ক্যান্সার প্রতিহত করার ক্ষমতা আছে। এ ছাড়াও, জারণ ও প্রদাহ প্রতিহত করার ক্ষমতাও আছে হলুদের এ উপাদানের।cancer medicine from tarmaric

বিষাক্ত প্রভাবক ব্যবহার না করে এই ন্যানো বাহক তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে ইরানের ন্যানোটেকনোলজি ইনিশিয়েটিভ কাউন্সিলের ডা. আলীরেজা মোহাম্মদ আলীজাদেহ জানান, পরীক্ষা চলাকালে অনেক রোগীকে এ ওষুধ দেয়ার পর এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।

প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় অতি উচ্চমাত্রায় প্রয়োগ করা সত্ত্বেও এ ওষুধের কোনো বিষক্রিয়া রোগীর দেহে দেখা যায় নি। ওষুধরোধী স্তন ও পরিপাক নালীর ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের ওপর চালানো দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।

ন্যানো-কারকিউমিন তৈরির মৌলিক সব উপাদানই দেশেই পাওয়া যায় এ কথা উল্লেখ করে ডা. আলীরেজা বলেন, ক্যান্সার বিধ্বংসী এ ওষুধের গণ-উৎপাদন ইরানেই সম্ভব।

রেডিও তেহরান, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫

ইরানের নৌবাহিনীতে যুক্ত হতে চলেছে নতুন ডুবোজাহাজ

ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়্যারি বলেছেন, শিগগিরই নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি নতুন ডুবোজাহাজ যুক্ত হবে ইরানের নৌবাহিনীতে।9737bf74ec27078b0248aec90cb3773b_XL

এ ছাড়া,  ইরান নতুন একটি ডেস্ট্রয়ার নির্মাণের কাজ করছে এবং চলতি ফার্সি মাসের শেষ দিকে তা নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে। নতুন এ ডেস্ট্রয়ারে নতুন অস্ত্রসহ নানা সামরিক সরঞ্জাম থাকবে বলেও জানান তিনি।

সাম্প্রতিক বছরগুলো ইরান সামরিক খাতে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ইরান সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ডেস্ট্রয়ার জামারানকে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পারস্য উপসাগরে নামিয়েছে।

এ ছাড়া, দেশীয় প্রযুক্তিতে খালিজ-ই ফার্স, মেহরাব, রা’দ, কাদের, নূর এবং জাফার ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের সাবমেরিন ও উন্নত ধরনের কমব্যাট হেলিকপ্টার তৈরি করেছে ইরান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক খাতে ইরান চোখা ধাঁধানো উন্নতি করেছে।তবে ইরানের সামরিক শক্তি প্রতিবেশি দেশগুলোর জন্য হুমকি নয় বলে বার বার আশ্বস্ত করে আসছে তেহরান।

রেডিও তেহরান, ১২ এপ্রিল, ২০১৫

যুদ্ধজাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের গণ-উৎপাদন শুরু করেছে ইরান

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান যুদ্ধজাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের গণ-উৎপাদন শুরু করেছে।  নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি কাদির নামের এ ক্ষেপণাস্ত্র খুব নীচু দিয়ে উড়ে গিয়ে লক্ষ্যমাত্রায় নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অ্যারোস্পেস শিল্প সংস্থায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজ (শনিবার) এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের গণ-উৎপাদন শুরু হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন দেহকান এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দেহকান এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, এরই মধ্যে কাদিরের পরীক্ষামূলক নির্মাণ পর্ব ও গবেষণা শেষ হয়েছে। বিমান ও হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকেও এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি। ইরানের তৈরি নতুন প্রজন্মের ৩০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কাদিরের প্রচণ্ড ধ্বংস ক্ষমতা রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট কাদির ক্ষেপণাস্ত্র প্রথম উন্মোচন করা হয়। কয়েকটি কাদির ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র নৌ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

রেডিও তেহরান, ১৪ মার্চ, ২০১৫

ইরানের নৌবহরে যুক্ত হলো ‘দামাভান্দ’ ডেস্ট্রয়ার

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নৌবহরে যুক্ত হয়েছে আরেকটি ডেস্ট্রয়ার। আজ ইরানের উত্তরে কাস্পিয়ান সাগরে দামাভান্দ নামের এ ডেস্ট্রয়ারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।a63582b5129f8bafe1a5fc413921d48b_XL

সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ডেস্ট্রয়ারটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক রাডার ও গোয়েন্দা নজরদারির ব্যবস্থা। কাস্পিয়ান সাগরে ইরানের নৌবন্দর আনজালিতে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটিকে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন দেহকান এবং নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়্যারি।

অনুষ্ঠানে আলী শামখানি কাস্পিয়ান সাগরকে শান্তি ও বন্ধুত্বের সাগর হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এ সাগরের জ্বালানী নিরাপত্তা রক্ষায় ইরান অনন্য অবদান রাখছে।

বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদ হিসেবে পরিচিত কাস্পিয়ান সাগরের তীরে অবস্থিত দেশগুলো হচ্ছে কাজাখস্তান, রাশিয়া, আজারবাইজান, ইরান ও তুর্কমেনিস্তান। এ দেশগুলো কাস্পিয়ান সাগরের জলজ ও জ্বালানী সম্পদের অংশীদার।

দামাভান্দের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার অ্যাডমিরাল সাইয়্যারি বলেন, এর আগে ইরানে তৈরি জামারান শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার দামাভান্দে আরো উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়েছে।

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম ডেস্ট্রয়ার জামারানে রয়েছে আধুনিক রাডার এবং অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সামগ্রী। এটি ১২০ থেকে ১৪০ জন সৈন্য এবং বিভিন্ন ধরনের জাহাজ ও বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম। ডেস্ট্রয়ারটিতে একটি হেলিপ্যাডও রয়েছে। এছাড়া, ইরানের তৈরি এই ডেষ্ট্রয়ারটিকে টর্পেডো ও আধুনিক নৌ কামানেও সজ্জিত করা হয়েছে।

রেডিও তেহরান, ৯ মার্চ, ২০১৫

ভূ-কেন্দ্র তথ্য পাঠানো শুরু করেছে ইরানের কৃত্রিম উপগ্রহ

ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত কৃত্রিম উপগ্রহ ‘ফাজর’  মহাকাশ থেকে তথ্য পাঠিয়েছে। ইরানের ইলেক্ট্রনিকস ইন্ডাস্ট্রিস কোম্পানির মহাকাশ প্রকল্পের পরিচালক মেহদি সার্ভি এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, কক্ষপথে স্থাপনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভূ-কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে ‘ফাজর।’  ইরানি কৃত্রিম উপগ্রহটির পরবর্তী মিশনগুলো সম্পন্ন করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি। ৫২ কিলোগ্রাম ওজনের ‘ফাজর’ দেড় বছর কক্ষপথে অবস্থান করবে এবং উচ্চ মানের চিত্র ধারণ এবং ভূ-কেন্দ্রে প্রেরণ করবে।

সাফির (দূত) নামের ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি রকেটের মাধ্যমে গতকাল সকালের দিকে ‘ফাজর’ কে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এ কৃত্রিম উপগ্রহে জিপিএস নেভিগেশন ব্যবস্থা রয়েছে। এ নিয়ে সাফির রকেটের মাধ্যমে চতুর্থ কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাল ইরান। এর আগের তিনটি কৃত্রিম উপগ্রহ ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে পাঠিয়েছে ইরান।

এ পর্যন্ত বিশ্বের মোট আটটি দেশ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। তেহরান মহাকাশে মানুষবাহী উপগ্রহ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে এর আগে ঘোষণা করেছে।

এদিকে, সফল ভাবে ‘ফাজর’ পাঠানোয় সমগ্র ইরানবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেছেন, ‘ফাজর’ পাঠানোর মধ্যে দিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানের নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছেন ইরানি বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ প্রযুক্তি বিকাশের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেতে  ইরান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি।

রেডিও তেহরান, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫