বুধবার, ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

১২ দিনের যুদ্ধে ইরানি জাতির ঐক্য শত্রুকে হতাশ করেছে : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ 

news-image

ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেছেন, ইরানি জাতির ঐক্য সম্পর্কে আমার প্রথম বক্তব্য হলো, ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানি জাতির ঐক্য শত্রুকে হতাশ করেছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধের মাঝামাঝি থেকেই শত্রু বুঝতে পেরেছিল যে তারা তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারবে না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইরানি জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমি মনে করি মহান মুজাহিদ এবং শহীদ সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহকে তাঁর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ করা প্রয়োজন।

সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ কেবল শিয়াদের জন্যই নয় কিংবা কেবল লেবাননের জন্যও নয় বরং তিনি সমগ্র মুসলিম বিশ্বের জন্য এক বিরাট সম্পদ ছিলেন। অবশ্য, এই সম্পদ হারিয়ে যায়নি। সম্পদ রয়ে গেছে। তিনি চলে গেছেন ঠিকই কিন্তু তিনি যে সম্পদ তৈরি করেছেন সেই সম্পদ রয়ে গেছে। ইরনার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি আরও বলেন: ইরানি জাতির ঐক্য সম্পর্কে প্রথমেই আমি যে কথা বলতে চাই তা হচ্ছে, বারো দিনের যুদ্ধে ইরানি জাতির ঐক্য শত্রুকে হতাশ করেছিল এবং যুদ্ধের মাঝামাঝি থেকেই শত্রু বুঝতে পেরেছিল যে তারা তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারবে না।

ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, উচ্চ পদস্থ সামরিক কমান্ডারদের শেষ করে দেয়া শত্রুর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল না। এটি ছিল একটি অজুহাত মাত্র। শত্রু মনে মনে ভেবেছিল যে তারা সামরিক কমান্ডারদের ওপর আঘাত হানবে, কিছু প্রভাবশালী সামরিক ব্যক্তিকে হত্যা করবে, এরপর দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, বিশেষ করে তেহরানে তাদের অনুচররা বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা শুরু করবে, তারা জনগণকে যতটা সম্ভব সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামিয়ে আনবে এবং তাদের মাধ্যমে ইসলামী প্রজাতন্ত্রী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটা কিছু ঘটিয়ে দেবে-এটিই ছিল শত্রুর মূল লক্ষ্য। অর্থাৎ ইসলামী প্রজাতন্ত্রী ব্যবস্থাকে উৎখাত করাই ছিল তাদের আসল উদ্দেশ্য।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি আরও বলেন, শত্রুর লক্ষ্য ছিল ইসলামী শাসন ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করা, যা আমি অন্য একটি ভাষণেও বলেছিলাম। এ লক্ষ্যে ওরা বহুদিন ধরে পরিকল্পনা করেছে এবং ষড়যন্ত্রের ছক কষেছে। তারা ইরানের ভেতরে বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, রাস্তায় বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, দল গঠন করতে চেয়েছিল এবং ইসলামী শাসন ব্যবস্থাকে উৎপাটন করতে চেয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা বলেন,  শত্রুর এই লক্ষ্য প্রথম ধাপেই ব্যর্থ হয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক কমান্ডারদেরকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল এবং একই শক্তি ও উচ্চ মনোবল নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর মর্যাদা, ব্যবস্থা, শৃঙ্খলা এবং নিয়মকানুন বজায় ছিল।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, কিন্তু, সবচেয়ে কার্যকর উপাদান ছিল জনগণ এবং তারা শত্রু যা চায় তার দ্বারা একেবারেই প্রভাবিত হয়নি। জনগণ রাজপথে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখায়, রাস্তাঘাট সাধারণ মানুষে ভরে যায়, কিন্তু এ বিক্ষোভ মিছিল ছিল শত্রুর বিরুদ্ধে, ইসলামী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নয়। পার্সটুডে, ইরনা /