মঙ্গলবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

সরকারের সৌর শক্তি সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত করায় ইরানের নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতা ৩,০০০ মেগাওয়াট অতিক্রম করেছে।

পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫ 

news-image

তেহরান – সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া বেশ কয়েকটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুষ্ঠানে উপ-জ্বালানি মন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন ৪৪৫ মেগাওয়াট পরিষ্কার শক্তি উৎপাদন যুক্ত হওয়ার পর ইরানের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ সক্ষমতা ৩,০০০ মেগাওয়াট অতিক্রম করেছে।

মোহসেন তার্জতালাব বলেন, বছরের শুরুতে নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতা যেখানে ছিল ১,৭০০ মেগাওয়াট, তা এখন বৃদ্ধি পেয়ে ৩,১০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে—যা ইরানের নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে এ পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত বার্ষিক প্রবৃদ্ধি।

তিনি জানান, দেশজুড়ে ৯০টিরও বেশি স্থানে মোট ১৭৭ মেগাওয়াট নতুন সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনা নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে।

তার্জতালাব উল্লেখ করেন, একসঙ্গে এত বৃহৎ পরিমাণ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা চালু করা ইরানের ফোটোভোল্টাইক অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে আগে কখনও ঘটেনি। নতুন সংযোজনের ফলে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো এখন দেশের মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার তিন শতাংশেরও বেশি।

তার মন্তব্য অনুযায়ী, নতুন প্রকল্পগুলোর পরিবেশগত সুবিধার মধ্যে রয়েছে প্রতি বছর ৬১৫,০০০ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ এড়ানো, ২৫১ মিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস সাশ্রয় এবং বছরে ১,৯৭,০০০ ঘনমিটার পানি ব্যবহারের প্রতিরোধ।

তিনি বলেন, চলমান প্রকল্পগুলো আগামী মাসে নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতাকে ৪,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছে দেবে। বর্তমানে ১৫টি প্রদেশে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে। গোলেস্তান প্রদেশের সাম্প্রতিক প্রকল্পগুলো ইতোমধ্যে উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে, এবং অন্যান্য এলাকায় নতুন পর্যায়ের কাজ শুরু হবে।

তার্জতালাব আরও বলেন, সম্প্রসারণের এই গতি আগের বছরগুলোর তুলনায় একটি বড় পরিবর্তন; যখন বছরে মাত্র ১০ থেকে ২০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য সক্ষমতা যুক্ত হতো। সাম্প্রতিক সময়ে এই হার কিছু ক্ষেত্রে ৮০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে—যা জাতীয় পরিষ্কার শক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বশেষ ৪৪৫ মেগাওয়াট নতুন সক্ষমতা এবং নির্মাণাধীন ১৭৭ মেগাওয়াট প্রকল্পে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ১৮৬.৭৮ ট্রিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ৩৭৩ মিলিয়ন ডলার)। এসব প্রকল্প ইসফাহান, পশ্চিম আজারবাইজান, পূর্ব আজারবাইজান, খোরাসান রেজাভি, দক্ষিণ খোরাসান, তেহরান এবং সিস্তান-বালুচিস্তানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তৃত।

তথ্যসূত্র: তেহরান টাইমস