লেবাননের হিজবুল্লাহর প্রতি দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত থাকবে: ইরান / ইসরায়েল টিকবে না: ইউরোপীয় প্রতিনিধি
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
পার্সটুডে- ইরানের সর্বোচ্চ নেতার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা আলি আকবর বেলায়াতি বলেছেন, হিজবুল্লাহ প্রতিরোধ ফ্রন্টের অগ্রভাগে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আত্মত্যাগী সংগঠন।
ইরানের রাজধানী তেহরানে লেবাননের হিজবুল্লাহর প্রতিনিধি সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ সাফিউদ্দিন রোববার আলি আকবর বেলায়াতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনা করেছেন। এ বৈঠকে সর্বশেষ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে। এ সময় বেলায়াতি বলেন—হিজবুল্লাহ প্রতিরোধ ফ্রন্টের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মৌলিক ভূমিকা পালন করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধের অগ্রভাগে থাকা এই মূল্যবান ও আত্মত্যাগী সংগঠনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইউরোপের নিরাপত্তা-নির্ভরতা কমাতে চায় ইতালি
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এক বৈঠকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে ইউরোপ থেকে সরে যেতে চায় এবং ইউরোপীয়দেরকে নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য সংগঠিত হতে হবে। এর অর্থ হলো একটি নতুন ইউরোপের পুনর্জাগরণ।
তিনি আরও বলেন, আশি বছর ধরে আমরা আমাদের নিরাপত্তা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছি এবং ভান করেছি যে এটি বিনামূল্যে ছিল, কিন্তু এর জন্য মূল্য দিতে হয়েছে। আর সেই মূল্যটা হলো আমাদের নির্ভরশীল হয়ে পড়া। এখন আমাদের স্বাধীনতার মূল্য নিজেদেরকে দিতে হবে।
ইউরোপীয় প্রতিনিধি: ইসরায়েল টিকে থাকবে না
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি রিমা হাসান ‘পারোল দ্য অনার’ নেটওয়ার্ক-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সেনাদের হাতে তার আটক হওয়ার স্মৃতিচারণা করেছেন। রিমা হাসান কিছুদিন আগে ‘ম্যাডেলিন’ জাহাজের যাত্রীদের সঙ্গে থেকে গাজা অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন। ফিলিস্তিনি কেফিয়ে পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, অধিকৃত ভূখণ্ডে তার শুনানির সময় বিচারক তাকে বলেছিলেন—“আপনাকে ১০০ বছরের জন্য ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আসতে পারবেন না।” আমি জবাবে বলেছি- “ইসরায়েলই ১০০ বছর টিকে থাকবে না।”
ন্যাটো সদস্যপদ থেকে ইউক্রেনের সরে আসা
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শেষ পর্যন্ত ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টা থেকে সরে আসতে প্রস্তুত। রুশ কর্মকর্তাদের মতে, ন্যাটো সদস্যপদ প্রাপ্তির চেষ্টাই ছিল যুদ্ধ শুরুর অন্যতম প্রধান কারণ।
কম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড সংঘাতে ইসরায়েলি অস্ত্রের উপস্থিতি
কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে তীব্র সীমান্ত সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী ইসরায়েলি অস্ত্র ব্যবহার করছে—যার মধ্যে রয়েছে এলবিট কোম্পানির আতামোস কামান, রাফায়েলের স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বারাক-এমএক্স আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
একটি মন্দিরের মালিকানা নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে, যা পূর্ব এশিয়ার অন্যতম গুরুতর সংঘাতে পরিণত হয়েছে।#
পার্সটুডে/