বুধবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

যুক্তরাষ্ট্রে শাহেদ-১৩৬ ড্রোনের প্রতিলিপি তৈরি- ইরানের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ: কর্মকর্তা

পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ 

news-image

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শাহেদ-১৩৬ কামিকাজে ড্রোনের প্রতিলিপি তৈরির বিষয়টি ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পাইলটবিহীন যুদ্ধবিমানের (ইউএভি) উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতির বড় প্রমাণ।

গতকাল (মঙ্গলবার) তেহরানে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এয়ারোস্পেস ফোর্স মিউজিয়াম পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফাজল শেখারচি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সামরিক প্রযুক্তির অগ্রদূত দাবি করা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইরানের কামিকাজে ড্রোন রিভার্স-ইঞ্জিনিয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ইরানের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাত্রা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।

তিনি বলেন, “নিজেদের প্রযুক্তিগত সুপারপাওয়ার দাবি করা দেশগুলোকে ইরানি ড্রোনের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে সেটিকে অনুকরণ করতে দেখার চেয়ে বড় গর্ব আর সম্মান কিছু হতে পারে না।”

শেখারচি জানান, সামরিক ক্ষেত্রে নিজেদের কৌশলগত দুর্বলতা পূরণের চেষ্টা হিসেবেই শত্রুরা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি আইআরজিসির এয়ারোস্পেস ফোর্সকে বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা অঙ্গনের অন্যতম শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করেন, যা দীর্ঘদিনের আধিপত্যবাদী ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার সক্ষমতা রাখে।

যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনী ইরানের শাহেদ–১৩৬ ড্রোনের নকল সংস্করণ মোতায়েন করছে বলে গত সপ্তাহে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল।

সম্প্রতি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা স্করপিয়ন স্ট্রাইক টাস্ক ফোর্স (TFSS) নামে একটি নতুন ইউনিট গঠন করেছে। এটি লু-কস্ট আনম্যানড কমব্যাট অ্যাটাক সিস্টেম (LUCAS) নামের স্বল্পমূল্যের ওয়ান-ওয়ে আক্রমণকারী ড্রোনের একটি স্কোয়াড্রন। ইরানের শাহেদ-১৩৬ ড্রোনের আদলে তৈরি এই মার্কিন ড্রোনটি FLM–136 নামে পরিচিত।

শাহেদ-১৩৬ ড্রোনের কম্প্যাক্ট ফিউজলেজ এবং কম রাডার ক্রস-সেকশনের কারণে এটির প্রাথমিক সনাক্তকরণ ও আটকানো কঠিন, বিশেষ করে যখন বড় আকারে সোয়ার্ম অ্যাটাকে ব্যবহৃত হয়। স্বল্প উৎপাদন ব্যয় ও সহজ লঞ্চ প্রক্রিয়া ইরান তৈরি এই ড্রোনকে শত্রুপক্ষের আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক অচল বা ব্যাহত করার অত্যন্ত কার্যকর অস্ত্রে পরিণত করেছে।

এই ড্রোন প্রায়ই অন্যান্য আক্রমণাত্মক অস্ত্রের সঙ্গে যুগপৎ ব্যবহৃত হয় এবং প্রথম দফার আক্রমণে ব্যবহার করা হয় যাতে শত্রুর আকাশ প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়ে—এরপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা নির্ভুল নির্দেশিত অস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।

পার্সটুডে