সোমবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

ফুসফুস ক্যান্সার চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে ইরানের ‘স্মার্ট ভ্যাকসিন’

পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫ 

news-image

তেহরান ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্সেসের একজন সহযোগী অধ্যাপক ফুসফুস ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও স্মার্ট ভ্যাকসিন তৈরির খবর দিয়েছেন।

ফুসফুস ক্যান্সার বিশ্বে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ক্যান্সারগুলোর একটি। এ রোগের কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি খুঁজে বের করার জন্য নিরবচ্ছিন্ন গবেষণা এগিয়ে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে তেহরান মেডিকেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের প্রধান এবং ফার্মেসি অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হোসেইন ইয়াজদি ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও স্মার্ট ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছেন।

পার্স টুডের খবরে বলা হয়েছে, ড. ইয়াজদি জানান, ফুসফুস ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য তৈরি এই ইরানি স্মার্ট ভ্যাকসিন ‘mRNA প্রযুক্তি’ এবং ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পূর্বাভাস অ্যালগরিদম’ ব্যবহার করে নকশা করা হয়েছে। এর ফলে প্রতিটি রোগীর টিউমারের জিনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সুনির্দিষ্টভাবে ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের পদ্ধতি গবেষণা ও উন্নয়নের সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিতে পারে এবং ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

ইয়াজদির মতে, এই ভ্যাকসিনের অন্যতম বড় শক্তি হলো এর ‘অত্যন্ত নির্ভুল পূর্বাভাসের ক্ষমতা’। প্রচলিত ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে যেভাবে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন হয়, সেখানে এই স্মার্ট ভ্যাকসিন রোগীর টিউমারের জিনগত তথ্য ও উন্নত অ্যালগরিদমের মাধ্যমে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগেই ‘সেরা ভ্যাকসিন প্রার্থী’ নির্ধারণ করতে সক্ষম। এর ফলে উন্নয়ন প্রক্রিয়া প্রায় ৯০ শতাংশ দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং মাত্র দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নকশা ও প্রস্তুত করা সম্ভব।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভ্যাকসিন শুধু ক্যান্সার আক্রান্তদের চিকিৎসাতেই নয়, বরং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবহারেরও সুযোগ তৈরি করবে। এই বৈশিষ্ট্য ভ্যাকসিনকে একটি সাধারণ পণ্য থেকে উন্নীত করে সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার একটি উদ্ভাবনী উপকরণে পরিণত করেছে এবং ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসায় একটি বিশাল পরিবর্তনের ইঙ্গিত প্রদান করে।

পার্সটুডে/