রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ঢাবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এলামনাই সম্মেলন

পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ১১, ২০১৯ 

news-image

গত ৩০মার্চ, ২০১৯দিনব্যাপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এলামনাই সম্মেলন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। সভাপতিত্ব করেন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কালাম সরকার। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স জনাব মাহদি তোরাবি মেহরাবানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের মাননীয় ডিন অধ্যাপক ড. আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন,ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভিজিটিং প্রফেসর ড. মুহাম্মদ কাজেম কাহদুয়ি এবং ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জনাব রাবিই।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ও ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান এবংসঞ্চালনা করেন জনাব মোহাম্মদ আহসানুল হাদী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ফারসি ভাষা একটি সমৃদ্ধ ভাষা। এ ভাষায় সাহিত্য রচনা করে সাদি, হাফিজ, রুমি, জামিসহ অনেকেই বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছেন। এ ভাষায় রয়েছে মানবিকতার মূল শিক্ষা। মানবধর্মকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এবং সমাজের সকলকে এক করে দেখার অনুপ্রেরণা আমরা ফারসি সাহিত্যের মাধ্যমেই পেয়ে থাকি। এলামনাইদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আপনারা দেশ গড়ার কারিগর। ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে পড়ালেখা করে আপনারা যে শিক্ষা লাভ করেছেন তা প্রয়োগ করে দেশ সমাজের জন্য বিশেষ অবদান রাখবেন।তিনি এলামনাইদের শুভকামনা করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স জনাব মাহদি তোরাবি মেহরাবানি বলেন, এতদঞ্চলের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে ফারসি ভাষা ভাষার প্রভাব লক্ষণীয়। আমি যখন বাংলাভাষী কোনো লোকের কথা শুনি তখন ভালোভাবে খেয়াল করে আমি কথার মধ্যে ব্যবহৃত অনেক ফারসি শব্দ খুঁজে পাই। এই ভাষার টু ভাষার সম্পর্ক এটি একটি প্রাণের সম্পর্ক। তিনি বলেন, ফারসি বিভাগ মানুষ গড়ার বিভাগ। এখানে লেখাপড়া করে মানুষসত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার অনুপ্রেরণা পায়। তিনি সকল এলামনাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের মাননীয় ডিন অধ্যাপক ড. আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ একটি ঐতিহ্যবাহি বিভাগ। এ বিভাগ থেকে নামকরা অনেক শিক্ষক, সমাজসেবক বের হয়েছেন। তিনি এলামনাইদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বিভাগ গড়ার ক্ষেত্রে এলামনাইদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বর্তমান মেধাবী, অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য ফান্ড তৈরি করে বৃত্তি প্রদানের জন্য এলামনাইদের আহ্বান জানান। তিনি এলামনাইদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভিজিটিং প্রফেসর ড. মুহাম্মদ কাজেম কাহদুয়ি বলেন, ফারসি বিভাগ আমার বিভাগ। আমি এ বিভাগের ব্যতিক্রম এলামনাই। আমি গত ২২ বছর আগে এ বিভাগের ভিজটিং প্রফেসর ছিলাম। আমি আবার এ বিভাগেই ভিজিটিং প্রফেসর হয়ে এসেছি। এ বিভাগের প্রাক্তনদের সাথে এলামনাই সম্মেলনের মাধ্যমেই সাক্ষাতের সুযোগ হলো। তিনি সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান এবং পরবর্তী সম্মেলনে যোগদান করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জনাব রাবিই বলেন,ইরান-বাংলাদেশ সম্পর্ক অনেক দিনের। এ দুদেশের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিভাগ বিশ্ব সংস্কৃতি রক্ষার একটি বিভাগ। এ বিভাগের একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।এ বিভাগের আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ এলামনাই সম্মেলন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সম্মেলন। এ সম্মেলন মাধ্যমে পুরাতন-নতুনদের মাঝে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। তাদের মাঝে সম্পর্কের ভিত আরো মজবুত হবে। তিনি এলামনাইদের ও তাদের পরিবারের সফলতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ফারসি ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অধ্যাপক ড. কুলসুম আবুল বাশার মজুমদার, ড. মোঃ শামীম খান, বিভাগের ইরানি ভিজিটিং প্রফেসর ড. মুহাম্মদ কাজেম কাহদুয়ি এবং ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সাধারণ সভায় আগামী তিন বছরের জন্য বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খানকে সভাপতি ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিম্নরূপ : 

উপদেষ্টা পরিষদ :

১. অধ্যাপক ড. কুলসুম আবুল বাশার মজুমদার

২. অধ্যাপক ড. মোঃ শামীম খান

৩. ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী

সভাপতি : অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান

সহ সভাপতি :

১. অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসীন উদ্দীন মিয়া

২. অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল হুদা

৩. অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খান

 

সাধারণ সম্পাদক : অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কালাম সরকার

কোষাধ্যক্ষ : জনাব মোহাম্মদ আহসানুল হাদী

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : অধ্যাপক ড. মোঃ আতাউল্যাহ

সাংগঠনিক সম্পাদক : ড. মোহাম্মদ আবুল বাশার

সহ সাংগঠনিক সম্পাদক : ওমর শরীফ

প্রকাশনা সম্পাদক : ইয়াসিনুর রহমান রাকিব

সহ. প্রকাশনা সম্পাদক : জনাব মুহাম্মদ বেলাল হোসাইন

জনসংযোগ সম্পাদক : আহমেদ রাসেল প্রান্ত

দপ্তর সম্পাদক : জনাব মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল

সাংস্কৃতিক সম্পাদক : জনাব বেলাল খান

সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক : জনাব মেহেদী হাসান

মহিলা সম্পাদক : অধ্যাপক ড. শামীম বানু

সহ মহিলা সম্পাদক : মিসেস আছমা আক্তার

নির্বাহী সদস্য :

১. অধ্যাপক ড. তারিক জিয়াউর রহমান সিরাজী

২. অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দিন

৩. জনাব মোহাম্মদ রায়হানুল আমিন

৪. ড. মোঃ নূরে আলম

৫. জনাব মোহাম্মদ মুহিববুল্লাহ

৬. অধ্যক্ষ মাহাবুল ইসলাম সেলিম

৭. জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান

৮. জনাব মোঃ কামাল হোসাইন

৯. জনাব মাহমুদুল্লাহ সিরাজী

১০. জনাব আহমেদ ফেরদৌস ফয়সাল

১১. মিজ ইথার ফারিয়েল হামিদ

১২. জনাব মুহাম্মদ কামরুল হাসান

১৩. জনাব সামিউল ইসলাম

১৪. মিজ মোছাঃ খাদিজাতুল কুবরা

১৫. জনাব সাইফুল্লা আব্বাছী

শেষ পর্বে এলামনাইদের স্মৃতিচারণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং র‌্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

বার্তা প্রেরক

মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল