বৃহস্পতিবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

পাকিস্তান সফরে গেলেন ইরানি স্পিকার; আরো উন্নত হচ্ছে দুই মুসলিম প্রতিবেশীর সম্পর্ক

পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ৬, ২০২৫ 

news-image

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সংসদ স্পিকার মোহাম্মদ বাকের কলিবাফ বলেছেন, বন্ধু ও প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান সফরের উদ্দেশ্য হলো অর্থনৈতিক ও পার্লামেন্টারি সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সীমান্ত বাজারগুলোর সম্প্রসারণ।

পার্সটুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে যাওয়ার আগে আজ (বুধবার) সকালে তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে তিনি বলেন, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার আয়াজ সাদিকের আমন্ত্রণে এই দুই দিনের সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি বলেন, “এই সফরে পার্লামেন্টারি সমন্বয় ও সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে। এজন্য সংসদের কয়েকজন সদস্য এবং ইরান-পাকিস্তান মৈত্রীগ্রুপের সদস্যরাও সফরে অংশ নিচ্ছেন।”

কলিবাফ আরও জানান, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ, সিনেট এবং দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে।

তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন ইরানবিরোধী ১২ দিনের যুদ্ধের পর পাকিস্তানের জনগণ, সরকার ও পার্লামেন্ট ইরানের জনগণ ও ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতি অত্যন্ত স্পষ্ট সমর্থন জানিয়েছে, যা প্রশংসার যোগ্য।”

কলিবাফ আরও বলেন, “১২ দিনের যুদ্ধের পর আঞ্চলিক পরিস্থিতি বিশেষ করে প্রতিবেশী মুসলিম দেশগুলোর অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইরান ও পাকিস্তান মুসলিম ও আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে প্রভাবশালী দুটি দেশ। ভৌগোলিকভাবে মধ্য এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া ও উপমহাদেশের মধ্যে ইরান ও পাকিস্তানের সম্পর্ক ও যোগাযোগ অনন্য।”

তিনি বলেন, “এই সফর দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, বিশেষকরে অতীতে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি এখন অত্যন্ত জরুরি।”

ইরানের সংসদ স্পিকার জোর দিয়ে বলেন, “এই সফরে সীমান্ত বাজারসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সহযোগিতা বাড়ানো সম্ভব, বিশেষ করে এমন পরিস্থিতিতে যখন আমেরিকার অন্যায্য নিষেধাজ্ঞা চলছে।”

কলিবাফ দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে বলেন, “এই সফরে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলোও আলোচনায় থাকবে, কারণ দুঃখজনকভাবে আমাদের অঞ্চলটি বহিরাগত শক্তি বিশেষকরে আমেরিকার হস্তক্ষেপের কারণে প্রচণ্ড উত্তেজনার মুখে রয়েছে, যা গোটা অঞ্চলের দেশগুলোর ওপর প্রভাব ফেলছে।”

তিনি বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সঙ্গে আরও বেশি সমন্বয়, পরামর্শ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া জরুরি এবং উভয় দেশই এ বিষয়ে সচেতন।”

কলিবফ বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে মুসরিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আগ্রাসন চালাচ্ছে। এসব হামলা থেকে তারা বিরত হয়নি। মুসলিম দেশগুলো আমেরিকার সমর্থনে তার নীতিগুলো এগিয়ে নিচ্ছে, যা সব মুসলিম দেশ এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য উদ্বেগের বিষয়।”#

পার্সটুডে