মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

‘জাতীয় ঐতিহ্যে কবি ফেরদৌসি ও নজরুলের অবদান’ শীর্ষক সেমিনার

পোস্ট হয়েছে: মে ২৫, ২০১৬ 

news-image

কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকায় ‘ইরান ও বাংলাদেশের জাতীয় ঐতিহ্যে কবি আবুল কাসেম ফেরদৌসি ও কাজী নজরুল ইসলামের অবদান ’শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভিসা জটিলতায় প্রধান অথিতি ইরানের জাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ড.  মূসা বোহলুলী আসতে না পারায়  তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান ইরানি গবেষক ড. এলহাম হাদ্দাদি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলি চৌধুরী সিনেট ভবনে আল বিরুনি ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেমিনারে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ মূসা হোসেইনী এবং কবি পরিবারের সদস্য খিলখিল কাজী সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। 

IMG_2879ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক আহমদ কবির, ঢাকা সিটি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নিলুফার বেগম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ফাষা ও সাহিত্য বিভাগের  অধ্যাপক, ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু মূসা মো: আরিফ বিল্লাহ  কাজী নজরুল ইসলাম ও মহাকবি ফেরদৌসীর জীবন ও সাহিত্য কর্মের বিভিন্ন দিক বিশেষ করে স্বীয় জাতীয় ঐতিহ্যে তাদের অবদান বিষয়ে নিজ নিজ প্রবন্ধ পাঠ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ইরানি ভিজিটিং প্রফেসর ড.দরুদ দারিয়ান, বিশিষ্ট লেখক, ব্যাংকার এসআইবিএল এর ডিএমডি আবু ফরহাদ ও ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবু হোসেন মোহাম্মদ আহসান আলোচনায় অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ড. মূসা বোহললী ফেরদৌসীর কাব্য প্রতিভা ও সাহিত্যের মূল্যায়ন করে বলেন, ফেরদৌসীর শাহনামা ইরানের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সর্বোত্তম নিদর্শন।

খিলখিল কাজী বলেন, নজরুল ছিলেন মানুষের কবি। নজরুলের কাব্য মানস বিকাশে পারস্য কবিদের লক্ষণীয় প্রভাব রয়েছে। সেমিনার শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পী ফাতেমাতুজ্জোহরা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্ররা নজরুলসঙ্গীত ও গজল পরিবেশন করেন। সমীর কাউয়াল ও তার দল কাউয়ালী পরিবেশন করেন।