সোমবার, ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

চীনে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন একতরফাবাদ মোকাবেলায় তেহরান ও বেইজিংয়ের মধ্যে ‘বিজ্ঞ ও ভারসাম্যপূর্ণ’ সহযোগিতা জরুরি

পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ৩, ২০২৫ 

news-image

চীনে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন,  তেহরান এবং বেইজিংকে “বিজ্ঞ এবং ভারসাম্যপূর্ণ সহযোগিতার” মাধ্যমে আধুনিক চ্যালেঞ্জ, একতরফাবাদ এবং পশ্চিমা শক্তির আধিপত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং নতুন বিশ্বব্যবস্থা গঠনে ভূমিকা পালন করতে হবে।

বেইজিংয়ে চংইয়াং ইনস্টিটিউট অফ ফিনান্সিয়াল স্টাডিজ এবং চীনের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত চীনা ছাত্র এবং গবেষকদের সাথে এক যৌথ সভায় বলেছেন,  ইরান-চীন সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বাইরেও যায় এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক ক্ষমতার ভারসাম্য জোরদার করার ক্ষেত্রে ‘নির্ধারক উপাদান’ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে। পার্সটুডে অনুসারে, রহমানি ফাজলি আরও বলেন: কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে, তেহরান এবং বেইজিংয়ের মধ্যে সংযোগ একটি নতুন এশিয়ার উত্থানের প্রক্রিয়ার অংশ; যেখানে প্রাচীন সভ্যতা সম্পন্ন স্বাধীন দেশগুলো বিশ্বব্যবস্থায় তাদের ভূমিকা পুনর্নির্ধারণ করে।

জ্বালানি, পরিবহন এবং নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে চীনে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন,  “তার অনন্য ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে, ইরান পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে সংযোগকারী  ‘এক অঞ্চল, এক পথ” উদ্যোগের মূল পথ হতে পারে।’

ইরানের বিশাল জ্বালানি সক্ষমতা এবং একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত শক্তি হিসেবে চীনের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে রহমানি ফাজলি জোর দিয়ে বলেন,  “এই মিলগুলো একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বের ভিত্তি যা জ্বালানি নিরাপত্তা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে পারে।”

চীনে নিযুক্ত ইরানি কূটনীতিক তেহরান এবং রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে চীনের মধ্যস্থতাকে পশ্চিম এশিয়ায় গঠনমূলক সহযোগিতার একটি মডেল হিসেবে বিবেচনা করে বলেছেন বলেছেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে যেখানে কিছু বিদেশী শক্তি নিষেধাজ্ঞা এবং চাপের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে সেখানে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বহুপাক্ষিকতার ওপর ভিত্তি করে ইরান-চীন সহযোগিতা এশিয়ায় গঠনমূলক যোগাযোগের  জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করবে।’

পার্সটুডে