বৃহস্পতিবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

গত দুই বছরে ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি নারী শহীদ

পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ২৭, ২০২৫ 

news-image

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত দুই বছরে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি নারী ও কন্যাশিশু শহীদ হয়েছেন।

নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূলের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সামরিক হামলাগুলো আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ নারী-বিরোধী সহিংসতা ও বৈষম্যের উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।

মেহের নিউজের বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, গাজার সরকারি গণমাধ্যম দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট ৬৯ হাজার শহীদের মধ্যে ১২ হাজারের বেশি নারী এবং ২০ হাজারের বেশি কন্যাশিশু। এছাড়া, পশ্চিম তীরেও এক হাজারের বেশি নারী ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছেন।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম দফতর আরও জানিয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরায়েল একটি পদ্ধতিগত অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে—যার মধ্যে রয়েছে গণহত্যা, মাঠে-ঘাটে সরাসরি হত্যা, জোরপূর্বক অপহরণ, নির্যাতন, যৌন সহিংসতা এবং নারীদের স্বাস্থ্য ও মানসিক সেবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।

হাসপাতাল, মাতৃসেবা কেন্দ্র ও নারী সহায়ক প্রতিষ্ঠানে হামলার ফলে হাজারো নারী জরুরি স্বাস্থ্য ও মনোসেবার সুযোগ হারিয়েছেন। পাশাপাশি, ইসরায়েল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত ইলেকট্রনিক নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীসহ সাধারণ ফিলিস্তিনিদের টার্গেট করছে।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দখলদারিত্বের অবসান, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার অর্থাৎ আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও প্রত্যাবর্তনের অধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে) ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিশেষকরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সতর্ক করে বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তা ইসরায়েলি অপরাধের প্রবণতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে, যার প্রধান শিকার ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুরা।#

পার্সটুডে