বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

এবার পারমাণবিক স্থাপনায় আন্তর্জাতিক সংস্থার নজরদারি বন্ধ করছে ইরান

পোস্ট হয়েছে: জুলাই ২, ২০২৫ 

news-image

ইরান আর আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসিকে পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে প্রবেশাধিকার দেবে না। সেইসাথে আইএইএকে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নজরদারি ক্যামেরা স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন একজন শীর্ষ ইরানি আইনপ্রণেতা।

ইরানি সংসদের ভাইস স্পিকার হামিদ রেজা হাজি বাবাই শনিবার বলেছেন, ইসরায়েলি সরকার থেকে প্রাপ্ত নথিতে সংবেদনশীল স্থাপনার তথ্য আবিষ্কারের ফলে ইরান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি এবং বিচার বিভাগের শহিদ কর্মকর্তাদের সম্মানে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধ ইরানি জাতির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ৪৭ বছরের পুরনো শত্রুতার ধারাবাহিকতা। এই শত্রুতার মূল কারণ ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক কর্মসূচি নয়, এটি ইরানের জনগণের সাথে শত্রুতা।”

তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ৯ কোটি জনসংখ্যার একটি শক্তিশালী জাতিকে ভয় পায়, যাদের ৭ হাজার বছরের পুরনো সভ্যতা এই অঞ্চলে আমেরিকান আধিপত্যকে অনুমোদন করবে না।”

হাজী বাবাই ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এবং ইসলামি বিপ্লবের নেতার কৌশলগত নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “শেষ পর্যন্ত, (ইরানের) জনগণই চূড়ান্ত অবস্থান নিয়েছিল। শত্রু যত বেশি তীব্র হবে, জনগণ তত বেশি শক্তিশালীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।”

যুদ্ধের প্রথম দিকের দিনগুলির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শত্রুরা ইরানের ব্যবস্থাপনাকে অস্থিতিশীল করতে কমান্ডারদের হত্যা করার চেষ্টা করেছে- ঠিক যেমনটি তারা ১৯৮১ সালের ২৮ জুন করেছিল। তারা আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি এবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে এবং পরে প্রেসিডেন্টকে হত্যা করে।

শত্রুরা বিশ্বাস করেইরানকে শাসন করা যাবে না এবং খণ্ডিত করা উচিত। তারা জাতিগত উত্তেজনা বাড়ানোর লক্ষ্য রাখে এবং মিথ্যাভাবে ধরে নেয় যেইরানের ৭০ শতাংশ জনসংখ্যা তাদের পক্ষে থাকবে,” সবশেষে বলেন তিনি। সূত্র: মেহর নিউজ