ইসলামী আন্দোলনের শুরুতে আয়াতুল্লাহ মিলানি ছিলেন এর অন্যতম স্তম্ভ: আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
পার্সটুডে- ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী বলেছেন, ফার্সি চল্লিশের দশকে ইসলামী আন্দোলনের শুরুতে আয়াতুল্লাহ মিলানি ছিলেন এই আন্দোলনের অন্যতম স্তম্ভ।
আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সাইয়্যেদ মোহাম্মদ হাদি মিলানির স্মরণে আয়োজিত সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সদস্যরা ইমাম খোমেনি (রহ.) হুসাইনিয়ায় সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী এমন একটি কংগ্রেস আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মরহুম আয়াতুল্লাহ মিলানিকে আধ্যাত্মিক, নৈতিক, বৈজ্ঞানিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের সব্যসাচী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, আয়াতুল্লাহ মিলানি প্রকৃত অর্থেই মাশহাদের ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রকে পুনর্জীবিত করেছিলেন এবং এই ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্র তার কাছে ঋণী।
তিনি আয়াতুল্লাহ মিলানিকে একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করে বলেন- তিনি ছিলেন ধীর-স্থির একজন মানুষ, একই সঙ্গে বিনয়ী, বন্ধুদের প্রতি বিশ্বস্ত এবং কোমল হৃদয় ও কাব্যরুচির অধিকারী।
সমকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে আয়াতুল্লাহ মিলানির সক্রিয় উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ফার্সি চল্লিশের দশকের শুরুর দিকে আন্দোলনের সূচনালগ্নে জনাব মিলানি সত্যিই ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন এবং ঘটনাপ্রবাহের কেন্দ্রে অবস্থান করেছেন। ইমাম খোমেনি (রহ.) গ্রেপ্তার হওয়ার পর অন্য আলেমদের সঙ্গে আয়াতুল্লাহ মিলানির তেহরান সফর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার প্রভাবশালী উপস্থিতির একটি দৃষ্টান্ত।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইসলামী আন্দোলনের সমর্থনে আয়াতুল্লাহ মিলানির শক্তিশালী, সংযত ও দৃঢ় ঘোষণাগুলোকেও রাজনৈতিক অঙ্গনের তার প্রভাবশালী উপস্থিতির আরেকটি দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইমাম খোমেনি (রহ.)-কে তুরস্কে নির্বাসিত করার পর তার সমর্থনে লেখা চিঠিটিও একটি ঐতিহাসিক দলিল।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আশা প্রকাশ করে বলেন, এই সম্মেলনের আয়োজনের মাধ্যমে আয়াতুল্লাহ মিলানির ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে মানুষ আরও ভালোভাবে পরিচিত হতে পারবে।#
পার্সটুডে