ইসলামি সামরিক জোটে ইরানকে নিতে রাহিল শরীফের শর্ত
পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ১১, ২০১৭

সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী ইসলামি সামরিক জোটের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ রাহিল শরীফেরর নিয়োগে অনুমোদন দিয়ে বলেছেন, এটি পাকিস্তানের জন্য সম্মানের। তবে দায়িত্বগ্রহণের পূর্বে সৌদি আরবের কাছে তিনটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন জেনারেল রাহিল শরীফ। অন্যতম শর্ত হচ্ছে জোটে ইরানের অন্তর্ভুক্তি। মঙ্গলবার সামা টিভির সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান জেনারেল (অ.) আমজাদ হোসেন। ।
জেনারেল আমজাদ হোসেন বলেন, রাহিল শরীফ ইসলামি জোটের প্রধান হতে সৌদি আরবকে তিনটি শর্ত দিয়েছেন।
এক. এই জোটে ইরানকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
দুই. রাহিল শরীফ কারও অধীনে কাজ করবেন না। এমন যেন না হয় যে, জোটের মূল ক্ষমতা সৌদি আরবের কোনো কমান্ডারের হাতে থাকল, আর তার অধীন হয়ে রাহিল শরীফকে কাজ করতে হলো।
তিন. মুসলিম বিশ্বের সমন্বয় করতে মধ্যস্থতার জায়গায় তিনি কাজ করবেন এই অনুমতি তাকে দিতে হবে। জেনারেল আমজাদ হোসেন আরও জানান, জেনারেল রাহিল শরীফের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়েছে এবং এসব শর্তের কথা তিনিই আমাকে জানিয়েছেন।
এদিকে ইসলামি সামরিক জোটে নতুন করে আরও ৩টি দেশ যোগ দিতে যাচ্ছে। দেশ তিনটি হলো আজারবাইজান, তাজাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া। এই তিনটি দেশ যোগ দিলে জোটে সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা হবে ৪২।
এর আগে সন্ত্রাস দমনের লক্ষে সৌদি আরব ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ইসলামি সামরিক জোট গঠনের ঘোষণা দেয়। প্রাথমিকভাবে সৌদি আরব, জর্ডান, ইউএই, পাকিস্তান, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেনিন, তুরস্ক, শাদ, টোগো, তিউনিশিয়া, জিবুতি, সেনেগাল, সুদান, সিয়েরালিওন, সোমালিয়া, গ্যাবন, গিনি, ফিলিস্তিন, কমোরোস, কাতার, আইভরি কোস্ট, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মালয়েশিয়া, মিশর, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া। সূত্র:দৈনিক পাকিস্তান