বুধবার, ১১ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থান

পোস্ট হয়েছে: জুন ৩, ২০২০ 

 

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান একটি উঁচু ভূমির দেশ। দেশটির বৃহত্তম অংশ ইরান মালভূমি দ্বারা গঠিত হয়েছে। ইরানের আয়তন প্রায় ১৮ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯৫৯ বর্গকিলোমিটার। দেশটি উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ-পশ্চিম এশীয় মহাদেশে অবস্থিত। ইরান বিশ্বের স্থলভাগের নব্বই ভাগের একভাগ জুড়ে রয়েছে। ভৌগোলিক মানচিত্রে ইরানের সীমানা দেখতে বিড়ালের মতো এবং কিছ্টুা লম্বিক। ইরানের ৫০ শতাংশেরও বেশি অঞ্চল পাহাড় এবং উচ্চভূমি নিয়ে গঠিত। এর ২৫ শতাংশ সমভূমি বা প্রান্তর এলাকা এবং ২৫ শতাংশের কম আবাদযোগ্য জমি নিয়ে গঠিত। দেশটি উত্তর সীমান্তে আযারবাইজান, আর্মেনিয়া ও তুর্কমেনিস্তানের সাথে; পূর্বে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান এবং পশ্চিমে তুরস্ক ও ইরাকের সাথে প্রতিবেশী হিসেবে অবস্থান করছে। দক্ষিণে পারস্য উপসাগর ও এর সীমান্তবর্তী দেশগুলো, যেমন : বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান ও সৌদি আরব। দক্ষিণের ওমান সাগর ও পারস্য উপসাগর ইরানকে ভারত মহাসাগরের মাধ্যমে বিশ্বের উন্মুক্ত জলভাগেরর সাথে সংযুক্ত করেছে। পারস্য উপসাগরে প্রায় ৪০টি বড় ও ছোট দ্বীপ রয়েছে।
এছাড়া ইরানের উত্তরে ক্যাস্পিয়ান হ্রদ অবস্থিত, যা বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদÑ বাংলা ভাষায় যাকে কাস্পিয়ান সাগর বলা হয়। কয়েকটি দেশ, যেমন : আযারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান ও রাশিয়া এ হ্রদের কিনার ঘেঁষে অবস্থান করছে। এ সমস্ত দেশের ক্যাস্পিয়ান হ্রদে সাধারণ স্বার্থ রয়েছে।
ইরাকের সাথে ইরানের দীর্ঘতম সীমানা ১২৮০ কিলোমিটার এবং আর্মেনিয়ার সাথে সংক্ষিপ্ততম সীমান্ত ৪৫ কিলোমিটার।
কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে এবং বিশ্বে সব সময়ই ইরান বিশেষ গুরুত্বের অধিকারী।
অনুবাদ : জাকারিয়া