ইরান-আফগানিস্তান রেলওয়ে সহযোগিতা, চীনকে ইউরোপের সাথে সংযুক্ত করার চাবি
পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ১০, ২০২৫
ইরান রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সড়ক ও নগর উন্নয়ন উপমন্ত্রী আফগানিস্তান ও ইরানের রেলপথের মাধ্যমে চীনের রেল নেটওয়ার্ককে ইউরোপের সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক করিডোরে ইরানের কৌশলগত ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে, ইরান রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জব্বার আলি জাকেরি আফগানিস্তান ও ইরানের মাধ্যমে চীনের রেল নেটওয়ার্ককে ইউরোপের সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন যে মাজার-ই-শরিফ-হেরাত রেললাইন সম্পন্ন করা এবং ইরানের মধ্য দিয়ে যাওয়া রুটগুলোর সাথে সংযুক্ত করা হলে আফগানিস্তানকে উন্মুক্ত জলসীমা এবং ইউরোপীয় বাজারের সাথে সংযুক্ত করবে। ফার্সের বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, জাকেরি তেহরানে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত মৌলভী ফজল মোহাম্মদ হাক্কানির সাথে এক বৈঠকে মাজার-ই-শরিফ-হেরাত রেলপথটি সম্পন্ন করার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই রুটটি ইরানের মধ্য দিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক করিডোরের সাথে সংযুক্ত, যার মধ্যে চ’বাহার (মুক্ত পানিসীমা) এবং চেশমে সুরাইয়া (তুরস্ক এবং ইউরোপ) যাওয়ার রুটগুলোও অন্তর্ভুক্ত, আফগানিস্তানকে উন্মুক্ত জলসীমা এবং শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় রেল নেটওয়ার্কে প্রবেশাধিকার প্রদান করতে পারে।
তিনি আরও বলেন: খফ-হেরাত রেলপথের তৃতীয় অংশের কার্যক্রম দুই দেশের মধ্যে সক্রিয় রুটের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪০ কিলোমিটার বৃদ্ধি করেছে এবং চতুর্থ অংশের সমাপ্তিও আফগান পক্ষের এজেন্ডায় রয়েছে।
তার মতে, কাবুলের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় মাজার-ই-শরিফ-হেরাত রুটটিকে আন্তর্জাতিক ট্রানজিট চেইনে সংযুক্ত করতে ইরান প্রস্তুত।
এই বৈঠকে, আফগান রাষ্ট্রদূত খফ-হেরাত প্রকল্পের নির্মাণ ও পরিচালনায় ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সহায়তার প্রশংসা করে, খফ স্টেশনে লোডিং এবং আনলোডিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ দুই দেশের মধ্যে মালবাহী ট্রেন চলাচল সহজতর করার ওপর জোর দেন।
তিনি প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক বাধা দূর করার জন্য যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
খফ-হেরাত রুটে মাল পরিবহনের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে জাকেরি বলেন, এই রুটটি মাসিক ১০,০০০ টন পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে তার কাজ শুরু করেছিল এবং এখন প্রতি মাসে ৬০,০০০ টনেরও বেশি পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইরানি রেলওয়ে আগামী মাসগুলোতে এই ক্ষমতা প্রতি মাসে ১০০,০০০ টনে উন্নীত করার টার্গেট নিয়েছে।
উভয় পক্ষ অবশেষে মাজার-ই-শরীফ-হেরাত লাইন নির্মাণ ত্বরান্বিত করা, একটি যৌথ প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক কমিটি গঠন করা এবং উপরোক্ত রুটকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দেয়। এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে, চীন-আফগানিস্তান-ইরান-তুরস্ক ব্লকের মাধ্যমে পূর্ব এশিয়াকে ইউরোপের সাথে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হবে এবং আঞ্চলিক ট্রানজিট মানচিত্রে ইরানের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারে।#
পার্সটুডে