ইরানি নারীদের জীবনমান ও প্রত্যাশা বেড়েছে ব্যাপকভাবে
পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮

ইরানি নারীদের জীবনমানের সূচক, জীবন প্রত্যাশা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অর্জন প্রমাণ করেছে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের পর দেশটির নারীদের জীবনমান ব্যাপকভাবে বেড়েছে। নারীদের ক্রমবর্ধমান স্বাক্ষরতার হার ও জীবন প্রত্যাশা ইসলামি বিপ্লবের অন্যতম মহা অর্জন। গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুমেহ এবতেকার এসব কথা বলেন।
ভাইস প্রেসিডেন্টের উদ্ধৃতি দিয়ে ইরানি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশটির নারীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা উপভোগ ও উচ্চ পর্যায়ে আসীনের হার বেড়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে সংশ্লিষ্ট খাতে বিনিয়োগের কারণে।
ব্যাখ্যা করে এবতেকার বলেন, ১৯৭৯ সালে যেখানে মাত্র ৫ শতাংশ ইরানি নারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো এখন সেখানে এই হার বেড়েছে ২৭ শতাংশ। এছাড়া বৈজ্ঞানিক উৎপাদন ও প্রযুক্তিতে ইরানি নারীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে জানান তিনি। ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, নীরাদের অর্থনৈতিক ভূমিকাও বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী।
জিডিপিতে গৃহিণীদের অবদান ৩০ শতাংশ
ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানি নারীদের গৃহস্থালী কাজের মূল্য বেড়েছে। মোট দেশীয় উৎপাদনে গৃহিণীদের অবদান ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এবতেকারের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইসনা এই তথ্য জানিয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে ইরানি নারীরা অনুকূল সামাজিক অবস্থান উপভোগ করছে। প্রায় ৪১ শতাংশ সরকারি কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাইন্টিফিক বোর্ডের ৩০ শতাংশই নারী। কৃষি পণ্যের প্রায় ৪০ শতাংশই উৎপাদন হয় পল্লি নারীদের শ্রমে। সূত্র: তেহরান টাইমস।