শুক্রবার, ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

ইউনেস্কো স্বীকৃতির পর বিকশিত হচ্ছে ইরানের স্বর্ণ পর্যটন

পোস্ট হয়েছে: মে ২৯, ২০২৫ 

news-image

ইরানের ইয়াজদের ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণশিল্পকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো)। আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভের পর এই মরুভূমি শহরটি পর্যটনের জন্য একটি অনন্য গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। সোনা, ঐতিহ্য এবং মরুভূমির ভূদৃশ্য দর্শনার্থীদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ করে দিচ্ছে।

ইয়াজদের সোনার ঝলমলে সৌন্দর্য যেমন মূল্যবান ধাতুতে ফুটে উঠেছে তেমনই যারা দক্ষ হাতে এটিকে সূক্ষ্ম শিল্পে রূপ দিয়েছে তাদের দক্ষতাও তুলে ধরছে। গভীর ঐতিহাসিক শিকড়ের কারণে ইয়াজদের স্বর্ণশিল্প এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ইউনেস্কো ইয়াজদের ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণশিল্পকে মানবতার অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

ইয়াজদের সোনা একটি শিল্পের চেয়েও বেশি কিছু। এটি শহরের বিখ্যাত স্বর্ণবাজারে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসা গভীরভাবে প্রোথিত সাংস্কৃতিক পরিচয়কে প্রতিফলিত করে। এই স্বীকৃতি ইরানের সাংস্কৃতিক গর্বে একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছে। ইয়াজদকে শিল্প পর্যটনে একটি উদীয়মান তারকা হিসেবে হাজির করেছে।

ইয়াজদ সোনার ইতিহাস

ইরানের বিভিন্ন শহরে দীর্ঘদিন ধরে সোনার গয়না এবং অলঙ্কার তৈরি হয়ে আসছে। তবে ইয়াজদের সোনা তার অনন্য নকশা, উজ্জ্বলতা, খাদের গুণমান এবং জটিল কারিগরি দক্ষতার জন্য বিশিষ্ট। প্রত্নতাত্ত্বিকরা পার্থিয়ান যুগ থেকে শহরের সোনা তৈরির পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছেন। ইয়াজদকে ইরানের সোনার শিল্পের প্রাচীনতম কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

গত ২ হাজার বছর ধরে ইয়াজদি কারিগররা রাজা এবং অভিজাতদের জন্য সোনা তৈরি করেছেন। জাতীয় এবং আঞ্চলিক গয়না ব্যবসায় শহরের খ্যাতি সুদৃঢ় করেছেন।

ইয়াজদ সোনার অনন্য বৈশিষ্ট্য

উচ্চ বিশুদ্ধতা: বেশিরভাগ ইয়াজদ সোনার গহনাপত্র ২০-ক্যারেট বিশুদ্ধতা দিয়ে তৈরি করা হয়, ইরানের বাজারে যা সর্বোচ্চ হিসাবে বিবেচিত হয়।

ভৌত গুণাবলি: এসব গহনা কোমলতা, নমনীয়তা, ক্ষয় এবং বিবর্ণতার প্রতিরোধ এবং মার্জিত চকচকে ভাবের জন্য পরিচিত।

সাংস্কৃতিক মূল্য: প্রতিটি টুকরোর পেছনে একটি করে গল্প রয়েছে। কেবল অলঙ্করণের বাইরে ইয়াজদ সোনা শতাব্দীর ঐতিহ্য এবং পরিচয়কে প্রতিফলিত করে, এখন যা বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃত। সূত্র: মেহর নিউজ