মঙ্গলবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

আলঝাইমার গবেষণায় সাফল্য: ইরানি নারী গবেষক কমস্টেক গ্রান্ট জয়ী

পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫ 

news-image

পার্সটুডে: একজন ইরানি নারী গবেষক ২০২৫ সালে কমস্টেকের-এর তরুণ গবেষকদের জন্য গবেষণা গ্রান্ট কর্মসূচির বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

কমস্টেক গবেষণা গ্রান্ট ইসলামী সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) দেশগুলোর বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাবিষয়ক স্থায়ী কমিটি (কমস্টেক)-এর উদ্যোগে পরিচালিত হয়। এর লক্ষ্য হলো তরুণ নারী গবেষকদের সহায়তা করা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা জোরদার করা।

পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছেইরানি নারী গবেষক ও স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে একটি জ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. মারিয়া বেইহাকি ২০২৫ সালের তরুণ নারী গবেষকদের জন্য কমস্টেক গবেষণা গ্রান্টে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিজের গবেষণাগত অর্জন সম্পর্কে ড. বেইহাকি বলেন, তাঁরা ন্যানোপ্রযুক্তিভিত্তিক কিছু পণ্য তৈরি করেছেন, যা আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য নকশা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এসব সাপ্লিমেন্ট চুইংগাম ও ক্যান্ডির আকারে বাজারে আনা হয়, পরে বয়স্কদের জন্য সহজে গ্রহণযোগ্য করতে সিরাপ আকারে উৎপাদন করা হয়।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, এই ওষুধটি ‘ফেনকোল’ ও ‘কোয়েরসেটিন’-এর মতো প্রাকৃতিক ন্যানোকণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এসব উপাদান আলঝেইমারের সঙ্গে সম্পর্কিত জিন—যেমন এপিপি ও এমএপিটি’র কার্যক্রম কমিয়ে বা দমন করে ক্ষতিকর প্রোটিন যেমন বিটা-অ্যামিলয়েড ও টাউ উৎপাদন প্রতিরোধ করে, যা স্নায়ুকোষ ধ্বংসে ভূমিকা রাখে।

ইরানি এই নারী গবেষক আরও জানান, এই সাপ্লিমেন্টটি আলঝেইমার প্রতিরোধ ও চিকিৎসার পাশাপাশি প্রদাহ কমানো, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং কিছু ক্যানসার প্রতিরোধেও কার্যকর। তিনি বলেন, আলঝেইমারে আক্রান্ত ৩০ জন রোগীর ওপর পরিচালিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে স্নায়বিক আচরণ ও ঘুমের মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে। একই সঙ্গে ফলাফলে দেখা যায়, পারকিনসন রোগীদের হাতের কাঁপুনি কমেছে।

ড. বেইহাকি জোর দিয়ে বলেন, এই সাপ্লিমেন্টটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত ওষুধের পাশাপাশি গ্রহণ করা উচিত এবং এটি আলঝেইমার রোগীদের চিকিৎসার কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।#

পার্সটুডে