রবিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

অক্টোবরে ইরানের তেল রপ্তানি বৃদ্ধি; ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ চাপ নীতি আবারও ব্যর্থ

পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ৯, ২০২৫ 

news-image

ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিজ (এফডিডি) থিঙ্ক ট্যাঙ্কের একটি নতুন প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে অক্টোবরে ইরানের তেল রপ্তানি প্রতিদিন দুই মিলিয়ন ব্যারেলেরও বেশি পৌঁছেছে যা ২০২৫ সালের সর্বোচ্চ স্তর।

অক্টোবরে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ কর্তৃক তিনটি নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ আরোপ করা সত্ত্বেও যার মধ্যে ৯ অক্টোবরের ৫০ টিরও বেশি ব্যক্তি,প্রতিষ্ঠান এবং ট্যাঙ্কারকে লক্ষ্য করে বিস্তৃত প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত ছিল তাতে ইরানের তেল রপ্তানি হ্রাস পায়নি বরং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও লক্ষ্য করা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এটি ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ চাপ নীতির অব্যাহত ব্যর্থতাকে নির্দেশ করে। পার্সটুডে অনুসারে, ফার্স নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আমেরিকান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক “ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিজ” এফডিডি ঘোষণা করেছে যে অক্টোবরে ইরানের তেল রপ্তানি প্রায় ৬৬.৮ মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছেছে;যা প্রতিদিন ২.১৫ মিলিয়ন ব্যারেলের সমতুল্য যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেই অনুযায়ী, মোট রপ্তানির ৮৯.৮ শতাংশ (প্রতিদিন ১.৯৩ মিলিয়ন ব্যারেল) ইরানি অপরিশোধিত তেলের সাথে ছিল জ্বালানি তেলের পরিমাণ, প্রতিদিন প্রায় ১৯৩,০০০ ব্যারেল এবং গ্যাস কনডেনসেটের পরিমাণ ছিল ২৬,০০০ ব্যারেল। ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিজের অনুমান, ব্রেন্টের দামের ৫-১০ শতাংশ ছাড় বিবেচনা করলে, অক্টোবরে ইরানি রপ্তানি ৩.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪.২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে মোট রাজস্ব আয় করেছে।

ট্যাঙ্কারট্র্যাকার্সের মতে, চীন ইরানি তেলের প্রধান ক্রেতা হিসেবে রয়ে গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা। মোট রপ্তানির ৯০.৬ শতাংশ ছিল চীন, বাকি পরিমাণ সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর এবং ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে যায়।#

 

পার্সটুডে