মঙ্গলবার, ২৬শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

১৮ শতকের অনন্য স্থাপত্য নিদর্শন নাটোর রাজবাড়ী

পোস্ট হয়েছে: জুলাই ১, ২০১৯ 

news-image

নাটোর রাজবাড়ী বাংলাদেশের নাটোর সদর উপজেলায় অবস্থিত নাটোর রাজবংশের একটি স্মৃতিচিহ্ন। রাজবাড়ীর মোট আয়তন ১২০ একর। ছোট-বড় আটটি ভবন আছে এতে। দুইটি গভীর পুকুর ও পাঁচটি ছোট পুকুর আছে। রাজবাড়ী বেষ্টন করে আছে দুই স্তরের বেড়চৌকি। পুরো এলাকা দুইটি অংশে বিভক্ত ছোট তরফ ও বড় তরফ। 

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে, অষ্টাদশ শতকের শুরুতে নাটোর রাজবংশের উৎপত্তি হয়। ১৭০৬ সালে পরগনা বানগাছির জমিদার গণেশ রায় ও ভবানীচরণ চৌধুরী রাজস্ব প্রদানে ব্যর্থ হয়ে চাকরিচ্যুত হন। দেওয়ান রঘুনন্দন জমিদারিটি তার ভাই রামজীবনের নামে বন্দোবস্ত নেন। এভাবে নাটোর রাজবংশের পত্তন হয়। রাজা রামজীবন নাটোর রাজবংশের প্রথম রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন ১৭০৬ সালে, মতান্তরে ১৭১০ সালে। ১৭৩৪ সালে তিনি মারা যান। ১৭৩০ সালে রাণী ভবানীর সাথে রাজা রামজীবনের দত্তক ছেলে রামকান্তের বিয়ে হয়। রাজা রামজীবনের মৃত্যুর পরে রামকান্ত নাটোরের রাজা হন। ১৭৪৮ সালে রাজা রামকান্তের মৃত্যুর পরে নবাব আলিবর্দি খাঁ রাণী ভবানীর ওপর জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। রাণী ভবানীর রাজত্বকালে তার জমিদারি বর্তমান রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর, রংপুর, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও মালদহ জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

বিশাল জমিদারির রাজধানী নিজ জন্মভূমিতে স্থাপনের নিমিত্তে রঘুনন্দন, রামজীবন ও পণ্ডিতরা তৎকালীন ভাতঝাড়ার বিলকে নির্বাচন করেন। ভাতঝাড়ার বিল ছিল পুঠিয়া রাজা দর্পণারায়ণের সম্পত্তি। এ জন্য রঘুনন্দন ও রামজীবন রাজা দর্পণারায়ণের কাছে বিলটি রায়তি স্বত্বে পত্তনীর আবেদন করেন। নতুন রাজাকে রাজা দর্পণারায়ণ জমিটি ব্রহ্মোত্তর দান করেন। রামজীবন বিলে দীঘি, পুকুর ও চৌকি খনন করে সমতল করেন এবং রাজবাড়ী স্থাপন করেন। এলাকাটির নামকরণ করেন নাট্যপুর। ১৭০৬-১০ সালে নাটোর রাজবাড়ী নির্মিত হয়েছিল। রঘুনন্দন বড়নগরে (মুর্শিদাবাদে) থাকতেন।

১৯৮৬ সাল থেকে রাজবাড়ীর পুরো এলাকাটি রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় উদ্যান বা যুবপার্ক হিসেবে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।