স্মরণীয় বাণী
পোস্ট হয়েছে: জুন ১৫, ২০২১
মহানবী (সা.) এরশাদ করেন : ‘কেউ যখন কল্যাণকর জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে অথবা অন্যদেরকে তা শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাতায়াত করে তখন সে ‘উমরাহ্র ও পূর্ণ হজ্বের প্রতিদান লাভ করবে।’
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) উত্তরাধিকারের আহ্কাম সম্বন্ধে এরশাদ করেন : ‘তোমরা মীরাছ সংক্রান্ত বিষয়াদি শিক্ষা করো এবং তা লোকদেরকে শিক্ষা দাও। কারণ, আমি এ দুনিয়া থেকে চলে যাব…. এবং ফিতনাসমূহ এমনভাবে ছড়িয়ে পড়বে যে, দুই ব্যক্তির মধ্যে মীরাছ সম্পর্কে মতপার্থক্য ঘটবে, কিন্তু তারা এমন কাউকে পাবে না যে তাদের মধ্যকার বিরোধের ফয়সালা করে দেবে।’
রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘প্রতিটি মুসলমানের জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরয। অতএব, তোমরা এজন্য উপযুক্ত এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে তা শিক্ষা করো।’
তিনি আরো এরশাদ করেন : ‘যুল্ কারনাইনের ওয়াসীয়াত্সমূহের অন্যতম হচ্ছে এই : যে ব্যক্তি স্বীয় জ্ঞান থেকে কল্যাণ হাসিল্ করে নি তার কাছ থেকে জ্ঞানার্জন করো না। কারণ, যার জ্ঞান তার নিজেকে কল্যাণ দান করে নি তা তোমাকেও কল্যাণ দান করবে না।’
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘প্রত্যুষে জাগরণ বরকতময় এবং তা সকল নে‘আমত, বিশেষ করে রুযী নিয়ে আসে।’
আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : ‘হে মু‘মিন! তোমার প্রাণের মূল্য হচ্ছে ‘ইল্ম্ ও আদবে। অতএব, তা আয়ত্ত করার জন্য চেষ্টা করো। সুতরাং তোমার ‘ইল্ম্ ও আদব যত বৃদ্ধি পাবে তোমার মূল্যও ততই বৃদ্ধি পাবে। কারণ, ‘ইল্মের মাধ্যমে তুমি তোমার রবের দিকে অগ্রসর হবার পথ এবং আদবের মাধ্যমে উত্তমভাবে রবের খেদমত আঞ্জাম দিতে পারবে। আর খেদমতে এই আদবের মাধ্যমেই মানুষ বেলায়াত্ ও আল্লাহ্র নৈকট্যের অধিকারী হয়ে থাকে। অতএব, আমার নসীহত্ গ্রহণ করো, তাহলে আযাব থেকে রেহাই পাবে।’
আমীরুল্ মু‘মিনীন্ হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : ‘যুবক ও কিশোরদের জন্য শিক্ষণীয় সর্বোত্তম বিষয়গুলো হচ্ছে তা-ই বয়সকালে যা তাদের প্রয়োজন হবে।’
হযরত ইমাম বাকের (আ.) এরশাদ করেন : ‘আলসেমি দ্বীন ও দুনিয়া উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।’
হযরত ইমাম বাকের (আ.) এরশাদ করেন : ‘আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর নেয়ার ফলে আমলসমূহ পবিত্র হয়, সম্পদ বৃদ্ধি পায়, বালা-মুছীবত দূর হয়, হিসাব সহজ হয় ও মৃত্যু পিছিয়ে যায়।’
হযরত ইমাম বাকের (আ.) আরো এরশাদ করেন : ‘চারটি কাজের জন্য দ্রুত শাস্তি দেয়া হয় : … এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকরণ।’
হযরত ইমাম বাকের (আ.) এরশাদ করেন : হযরত মূসা বিন্ ‘ইমরান্ (আ.) তিনবার আল্লাহ্র কাছে আরয করেন : ‘হে আমার রব! আমাকে নসীহত করো।’ পরম প্রমুক্ত আল্লাহ্্ তা‘আলা প্রত্যেক বারই এরশাদ করেন : ‘আমি তোমাকে আমার ব্যাপারে নসীহত করছি।’ এরপর মূসা (আ.) আবার আরয করলেন : ‘হে আমার রব! আমাকে নসীহত করো।’ আল্লাহ্্ এরশাদ করেন : ‘তোমাকে তোমার মায়ের ব্যাপারে নসীহত করছি।’ এরপর মূসা (আ.) আবার আরয করলেন : ‘হে আমার রব! আমাকে নসীহত করো।’ আল্লাহ্্ এবারও এরশাদ করেন : ‘তোমাকে তোমার মায়ের ব্যাপারে নসীহত করছি।’ এরপর মূসা (আ.) আবার আরয করলেন : ‘হে আমার রব! আমাকে নসীহত করো। এবার আল্লাহ্্ এরশাদ করেন : ‘তোমাকে তোমার পিতার ব্যাপারে নসীহত করছি।’ ইমাম বাকের (আ.) বলেন : ‘এ কারণেই বলা হয় যে, কল্যাণের অধিকার দুই তৃতীয়াংশ মাতার ও এক তৃতীয়াংশ পিতার।’
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) এরশাদ করেন : ‘অকর্মণ্য হয়ো না যাতে তোমাকে যারা চেনে তারা তোমাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য না করে।’
হযরত ইমাম জা‘ফর সাদেক (আ.) এরশাদ করেন : ‘রোগীর জন্য সাত দিনের বেশি পরহেয (চিকিৎসা না করানো) কল্যাণকর নয়।’
হযরত ইমাম রেযা (আ.) এরশাদ করেন : ‘যে ব্যক্তি তার পাকস্থলীকে কষ্ট দিতে চায় না সে যেন খাওয়ার মাঝখানে বা পর পরই পানি পান না করে, বরং যেন খাওয়ার কিছু পরে পানি পান করে। যে তা করে (খাওয়ার মাঝে বা পর পরই পানি পান করে) তার শরীরে ঠা-া ভাব তৈরি হয় এবং তার পাকস্থলী দুর্বল হয়ে যায় এবং তার রগসমূহ খাবার থেকে (ঠিকমতো) শক্তি সংগ্রহ করতে পারে না।’
হযরত ইমাম রেযা (আ.) এরশাদ করেন : ‘লোকেরা যখন প্রথম বারের মতো কোনো গুনাহ্্র কাজ করে যা সে অতীতে করে নি তখন আল্লাহ্্ তা‘আলা তাদেরকে নতুন ও অভূতপূর্ব সমস্যার কবলে নিক্ষেপ করেন।’
হযরত ইমাম রেযা (আ.) এরশাদ করেন : ‘ফুটানো পানি সবকিছুর জন্যই উপকারী এবং তাতে কোনোই ক্ষতি নিহিত নেই।’
(মাফাতীহুল্ হায়াত্ গ্রন্থ থেকে সংকলিত)
অনুবাদ : নূর হোসেন মজিদী