বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

স্মরণীয় বাণী

পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ২২, ২০১৯ 

হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘হয় আলেম হও, নয়তো ‘ইল্ম্ অর্জনে রত হও; কিন্তু স্বীয় সময়কে অযথা কাজে ও ভোগ-আনন্দে ব্যয় করো না।’
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এরশাদ করেন : হে ইব্নে মাস্উ‘দ্! তুমি যখনি কোনো কাজ করার সিদ্ধান্ত নেবে তখন তা জ্ঞান ও বুদ্ধি-বিবেচনার ভিত্তিতে করো। চিন্তা-ভাবনা ও জ্ঞান ব্যতিরেকে কাজ আঞ্জাম দেয়া পরিহার করো। কারণ, আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেন : ‘(তোমরা তোমাদের শপথের ক্ষেত্রে) ঐ নারীর ন্যায় হয়ো না যে তার বয়নকৃত জিনিস (বস্ত্র)-কে মজবুত করে বয়নের পর আবার তা খুলে ফেলে এবং তার সুতাগুলোকে আলাদা করে ফেলে।’
রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন : ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে সাঁতার শিক্ষা দাও।’
ইমাম আলী (আ.) বলেন : ‘জেনে রেখ, কোরআনের তেলাওয়াতে যদি চিন্তা-ভাবনা ও পর্যালোচনা না থাকে তাহলে তাতে কোনোই লাভ নেই।’
আমীরুল্ মু‘মিনীন (আ.) তাঁর পুত্র হযরত ইমাম হাসান (আ.)-কে সম্বোধন করে এরশাদ করেন : ‘তুমি কি চাও যে, তোমাকে চারটি স্বভাব সম্পর্কে শিক্ষা দেই যার ফলে তুমি চিকিৎসা থেকে অমুখাপেক্ষী হতে পারবে?’ তিনি বললেন : ‘জ্বী।’ আমীরুল্ মু‘মিনীন্ এরশাদ করলেন : ‘ক্ষুধার্ত না হওয়া পর্যন্ত খেতে বসো না, ক্ষুধা থাকা অবস্থায় খাওয়া বন্ধ করো না, খাবার ভালো করে চিবিয়ে খাও এবং ঘুমাতে যাবার আগে শৌচাগারে যাও। তুমি যদি এগুলো মেনে চল তাহলে চিকিৎসা থেকে অমুখাপেক্ষী হবে।’
হযরত ইমাম বাকের (আ.) এরশাদ করেন : ‘যে ব্যক্তি ‘ইল্ম্ শিক্ষাদান করে তার পুরস্কার ‘ইল্ম্ অর্জনকারীর পুরস্কারের অনুরূপ, তবে সে ‘ইল্ম্ শিক্ষাকারীর তুলনায় অধিকতর মর্যাদার অধিকারী। অতএব, তোমরা ‘ইল্মের অধিকারীদের কাছ থেকে ‘ইল্ম্ হাসিল্ করো এবং আলেমগণ যেভাবে তোমাদেরকে তা শিক্ষা দিয়েছেন ঠিক সেভাবেই তোমাদের ভাইদেরকে তা শিক্ষা দাও।’
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) এরশাদ করেন : ‘যখনি (হঠাৎ করে) তোমার কাছে মেহমান এসে হাযির হয় তখন তোমার কাছে যা আছে তা-ই তার কাছে এনে হাযির করো। কিন্তু তুমি যখন দাও‘আত্ করো তখন (তোমার সাধ্য অনুযায়ী) নিজেকে কষ্ট দাও।’
তিনি আরো এরশাদ করেন : ‘মু‘মিন ব্যক্তি তার বন্ধুদের জন্য নিজেকে কষ্টের মধ্যে ফেলে দেয় না।’
হাসান্ বিন আলী আবী হাম্যাহ্ তাঁর পিতার কাছ থেকে উদ্ধৃত করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হযরত ইমাম মূসা কাযেম্ (আ.)-কে দেখলাম যে, তাঁর যমীনে কাজ করছেন এবং তাঁর পা দু’টি ঘামে ভিজে গেছে। আমি বললাম, ‘আপনার জন্য উৎসর্গ হই; শ্রমিকরা কোথায়?’ তিনি এরশাদ করেন : ‘হে আলী! এমন লোকেরা নিজেদের যমীনে নিজের হাতে কাজ করেছেন যাঁরা আমার ও আমার পিতার চেয়ে উত্তম ছিলেন।’ আমি বললাম : ‘তাঁরা কা’রা?’ তিনি এরশাদ করলেন : ‘রাসূলুল্লাহ্ (সা.), আমীরুল্ মু‘মিনীন্ (আ.) এবং আমার সমস্ত পূর্বপুরুষ নিজের হাতে কাজ করতেন, আর এটাই হচ্ছে নবিগণ, রাসূলগণ ও ছালেহীনের সীরাত।’

(মাফাতীহুল্ হায়াত্ গ্রন্থ থেকে সংকলিত)
অনুবাদ : নূর হোসেন মজিদী