স্মরণীয়বাণী
পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ২২, ২০১৮
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে অন্যদের জ্ঞান শিক্ষাদান অত্যন্ত উত্তম কাজ এবং জ্ঞান শিক্ষা করা ইবাদত। ‘ইলমী বিষয়ে আলোচনা তাসবীহ্ স্বরূপ, জ্ঞান কাজে লাগানো জিহাদ সমতুল্য, যে জানেনা তাকে তা শিক্ষা দেয়া সাদাকাহ্স্বরূপএবং উপযুক্ত ব্যক্তিকে তাশিক্ষা দেয়া আল্লাহ্র নৈকট্যের উপায়। কারণ, জ্ঞান হালাল ও হারামকীতা শিক্ষা দেয়, বেহেশতের পথকে সুস্পষ্ট করে তুলে ধরে এবং একাকীত্বের অবস্থায় তা সাথি স্বরূপ।’
মহানবী (সা.) এরশাদ করেন :‘চিন্তা ও পর্যালোচনা সহকারে দুই রাক্আ‘ত্ সহজ (নফল) নামায আদায় করা সারা রাত (নফল) নামায আদায়ের চেয়ে উত্তম।’
মহানবী (সা.) আরো এরশাদ করেন : ‘আল্লাহ্ পছন্দ করেন যে, তোমাদের কেউ যখন কোনো কাজ করবে তখন সে যেন কাজটিকে মজবুত্ ও সুদৃঢ়ভাবে আঞ্জাম দেয়।’
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন : ‘যে ব্যক্তি তার নিজের ও তার পরিবারের রুযী উপার্জনের জন্য সফরে যায় কিয়ামতের দিনে সে ‘র্আশের ছায়ায় অবস্থান করবে।’
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) আরো বলেন : ‘যে কেউ তিনটি নে‘আমত সহদিন ও রাত অতিক্রান্ত করে সে দুনিয়ার জীবনের পুরো নে‘আমতের অধিকারী। সেগুলো হচ্ছে : শারীরিক সুস্থতা, নিরাপত্তা ও দৈনন্দিন ব্যয়। আর সে যদি চতুর্থ নে‘আমতটির ও অধিকারী হয় তাহলে সে দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত নে‘আমতের অধিকারী হলো, সেটি হচ্ছে ইসলাম।’
আমীরুল্ মু‘মিনীন্ হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : ‘জেনে রেখ, যে ইবাদতের মধ্যে চিন্তা-ভাবনা ও পর্যালোচনা থাকে না তাতে কোনো কল্যাণ নিহিত নেই।’
হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : মানুষের বিচক্ষণতা ছয় টিজিনিসের দ্বারা পরিমাপ করা হয়, তা হচ্ছে : মেলামেশা, লেনদেন, পদ লাভ, পদ থেকে অপসারণ, আর্থিক সক্ষমতা ও রিক্তহস্ত অবস্থা।
হযরত আলী (আ.) বলেন : ‘নীরবতা আত্মিক স্বস্তির কারণ।’
হযরত আলী (আ.) বলেন : ‘যে ব্যক্তি চিকিৎসকের কাছে তার রোগ গোপন করে সে তার শরীরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল।’
হযরত আলী (আ.) বলেন : ‘যে ব্যক্তি জ্ঞানীদের উপদেশে কর্ণপাত করা থেকে বিরত থাকে তার ‘আক্লের মৃত্যু ঘটে।’
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) এরশাদ করেন :‘আল্লাহ্র কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য বান্দা হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে রাতে ঘুমায় আর দিনের বেলা বিনা কাজে কাটায়।’
হযরত ইমাম জা‘ফর সাদেক (আ.) বলেন : ‘তিনটি জিনিস ব্যতীত কোনো কিছু মুসলমানকে উপযুক্ত (বা সংশোধন) করেনা : দ্বীনের জ্ঞান, বিপদাপদে ধৈর্যধারণ এবং যিন্দেগীতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা।’
হযরত ইমাম মূসা কাযেম্ (আ.) এরশাদ করেন : ‘যেবান্দা অনেক বেশি ঘুমায় ও কাজ করেনা আল্লাহ্্ তা‘আলা তাকে দুশমন গণ্য করেন।’
হযরত ইমাম রেযা (আ.) এরশাদ করেন : ‘লোকেরা যদি কম খাবার খায় তাহলে তাদের শরীর ভারসাম্যপূর্ণ ও শক্তিশালী হয়।’
হযরত ইমাম জাওয়াদ (আ.) এরশাদ করেন : ‘কোনো কিছু সুদৃঢ় হওয়ার আগে সে সংক্রান্ত তথ্য ফাঁশকরণ তা বিনষ্টের কারণ হয়ে থাকে।’
(মাফাতীহুল্হায়াত্গ্রন্থ থেকে সংকলিত)
অনুবাদ :নূর হোসেনমজিদী