বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

মুসলিম উম্মাহর বর্তমান সংকট এবং ইসলামি সংহতি

পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ১৫, ২০১৮ 

অ্যাডভোকেট এ কে এম বদরুদ্দোজা :

বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহ বর্তমানে এক নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি। বিশেষত তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় মুসলিম দেশগুলি এবং ইসরাইল সংলগ্ন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো নানমুখী চক্রান্ত, অন্তর্দ্বন্দ্ব ও কলহের শিকার। মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল অনেক আগে। মধ্যপ্রাচ্যে ‘ইসরাইল’ নামে একটি বিষফোঁড়া তৈরির পরিকল্পনা নিহিত ছিল ১৯১৭ সনের ২রা নভেম্বর তদানিন্তন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেলফোর একটি ঘোষণায় যা বেলফোর ঘোষণা নামে পরিচিত। এরই সূত্র ধরে ১৯৪৮ সনে কৃত্রিম রাষ্ট্র ইসরাইলের সৃষ্টি। ইসরাইলে বসবাসকারী ইহুদিরা সেখানকার ভূমিপুত্র নয়। বিশ্বের বিভিন্ন অংশ থেকে ইহুদিদের তুলে এনে ইসরাইলে আবাসন করা হয়। অন্যদিকে ফিলিস্তিনীরা হয়ে যায় নিজ দেশে পরবাসী। ইসরাইল তাদের ওপর নানারকম দলন, পীড়ন ও নির্যাতন শুরু করে। তারই জের ধরে ফিলিস্তিনীরা শুরু করে প্রতিরোধ যুদ্ধ। ইসরাইল রাষ্ট্র অসংখ্য ফিলিস্তিনীকে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। তারা পালিয়ে গিয়ে প্রথমে আশ্রয় নেয় জর্ডানে। সেখান থেকে বিতাড়িত হবার পর লেবাননে ঠাঁই নেয়। সেখানেও ইসরাইলি হানাদার বাহিনী ফিলিস্তিনী উদ্বাস্তুদের ওপর চড়াও হয় এবং তারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ১৯৬৭ সনে আরব- ইসরাইল যুদ্ধে জায়নবাদী শক্তি জেরুজালেম দখল করে নেয়। জেরুজালেমে মুসলমানদের প্রথম কিবলা এবং তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-কুদ্স অবস্থিত যা ‘বায়তুল মুকাদ্দাস’ নামেও খ্যাত। এ পবিত্র মসজিদে মুসলিম উম্মাহর গমনাগমন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। পবিত্র এ মসজিদে জায়নবাদীরা আগুন দিয়েছে এবং আগত মুসল্লিদের আহত করেছে। ১৯৬৭ সনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে মুসলিম উম্মাহর বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে সকল মুসলিম রাষ্ট্র মিলে ১৯৬৯ সনে গঠন করে অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স। পরবর্তীকালে নাম পরিবর্তন করে অরগানইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন করা হয়। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ওআইসি দৃশ্যমান ভূমিকা পালন করে এবং ইরাক-ইরান যুদ্ধে মধ্যস্থতাসহ মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ১৯৭৩ সনে দ্বিতীয় আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইল মিশরের সিনাই উপত্যকা এবং সিরিয়ার গোলান উপত্যকা দখল করে নেয়। তারা পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি জনপদে ভীতি জাগনিয়া পরিবেশে তৈরি করে এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনীকে দেশত্যাগে বাধ্য করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ১৯৮০ সনে শুরু হয় ইরাক-ইরান যুদ্ধ যা দীর্ঘ কয়েক বছর অব্যাহত থাকে। এ যুদ্ধে ইরানকে ধ্বংস করার জন্য পাশ্চাত্য শক্তিরা ইরাককে সমরাস্ত্র দিয়ে সুসজ্জিত করে ও ইরান আক্রমণে প্রলুব্ধ করে।
কিন্তু ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন যুদ্ধে জয়ী হতে পারেন নি; বরং দেশটির সামরিক শক্তি খর্ব হয় এবং অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়। পরবর্তীকালে সাদ্দাম হোসেন তার পৃষ্ঠপোষক পাশ্চাত্য শক্তির মিত্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্র কুয়েত আক্রমণ করে তা দখল করে নেন। এতে পাশ্চাত্য শিবিরের টনক নড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনী ইরাক আক্রমণ করে সাদ্দামের পতন ঘটিয়ে কার্যত দেশটি দখল করে নেয়। তারপর ইরাকে শুরু হয় অন্তহীন ভাতৃঘাতী রক্তক্ষয় আর নজিরবিহীন ধ্বংসলীলা। মারা যায় হাজার হাজার ইরাকি নাগরিক এবং অনেকগুলি তেলক্ষেত্র পুড়ে ছাই ভষ্ম হয়। মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ তেলক্ষেত্রগুলোর ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। যদিও দীর্ঘ রক্তক্ষয় ও কয়েক দফা পট পরিবর্তনের পর ইরাকিরা একটি সরকার গঠনে সক্ষম হয় এবং বহুধাবিভক্ত ইরাককে একটি একক সরকার ব্যবস্থায় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে আত্মঘাতী বিমান হামলায় নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার বিধ্বস্ত এবং পেন্টাগনসহ অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ঘটনার পরপরই আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন এবং বেপরোয়া বিমান হামলায় দেশটিকে বিরানভূমি করে ফেলেন। একদিন সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তারা যে তালেবান গোষ্ঠীকে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে তাদের হটিয়ে সেখানে শিখণ্ডি সরকার প্রতিষ্ঠা করে। পাশাপাশি পাকিস্তনের পাখতুন প্রদেশের পাহাড়ি উপত্যকায় কথিত পলাতক তালেবানদের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়ে দেশটির সার্বভৌমত্বে আঘাত হানছে। ইরাক এবং আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের ভদ্রোচিত নাম দেয়া হয়েছে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’। যদিও কার্যত তা ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। পাশ্চাত্য শক্তি সমাজতন্ত্রের পতনের পর ইসলামকেই সারাবিশ্বের জন্য পরবর্তী উদীয়মান শক্তি হিসেবে সনাক্ত করতে পেরেছিল। সেজন্য দেশে দেশে ইসলামি শক্তির উত্থান ঠেকানোর একটি নীল নকশা ছিল বুশ-ব্লেয়ারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। তারা কখনও অত্যাচারী, নির্দয় এবং নিষ্ঠুর জায়নবাদী শক্তিকে সন্ত্রাসী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেনি। ইসরাইল তাদের চোখের সামনে ফিলিস্তিনীদের বসতি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে তাদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। কিন্তু পাশ্চাত্য শক্তি কোন রা করে নি। পরবর্তীকালে ফ্রান্সের নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনী প্রধানত বিমান হামলার মাধ্যমে লিবিয়ায় মোয়াম্মার গাদ্দাফীকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং দেশটিকে বহুধাবিভক্ত করে ফেলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্য শক্তি ইসরাইলের কট্টর বিরোধী ইরানের শক্তি খর্ব করার জন্য নানারকম চেষ্টা অব্যাহত রাখে। তারা ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির মিথ্যা অভিযোগ তুলে এবং নানা রকম অবরোধ আরোপ করে তাকে পদানত করার প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু বারবার ইরানের পারমাণবিক চুল্লি পরিদর্শন করে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশন সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের কোন প্রমাণ পায় নি। শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় পরাশক্তি এ বিষয়ে ইরানের সাথে চুক্তি সম্পাদনে বাধ্য হয়। ইতঃপূর্বে জায়নবাদী শক্তি প্রথমে ১৯৮৫ সনে এবং পরে ২০০৬ সনে দক্ষিণ লেবাননে সামরিক আগ্রাসন চালায়। কিন্তু লেবাননী সেনাবাহিনী বিশেষত হিজবুল্লাহর দৃঢ় প্রতিরোধের মুখে হানাদার ইসরাইলি বাহিনী শোচনীয় পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করে। একইভাবে তারা গাজায় ২০১১ সনে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে হামাসের তীব্র প্রতিরোধের মুখে সরে যেতে বাধ্য হয়। মুসলিম বিশ্বের বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যের এ জটিল সন্ধিক্ষণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার রাজকীয় মিত্রের সহযোগিতায় সিরিয়া ও ইরাকের বড় একটি অংশ জুড়ে খেলাফত প্রতিষ্ঠায় লিপ্ত ইসলামি স্টেট, সংক্ষেপে আইএসকে মদদ দেয়। আইএস সিরিয়ার রাকা ও ইরাকের মসুল শহরে মূল ঘাঁটি স্থাপন করে ইরাক ও সিরিয়ার এক বিশাল অংশে খেলাফত প্রতিষ্ঠার বাতাবরণে তা-বলীলা শুরু করে। আইএসের আক্রমণের শিকার হয় ভাতৃপ্রতীম মুসলিম নারী-পুরুষ। এখন হীনবল আইএসকে তারা ত্যাগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দুর্বল করার জন্য সিরিয়ায় বাশার সরকারের পতন ঘটাতে চাইলেও সফলকাম হয়নি। অন্যদিকে সৌদি আরব প্রতিবেশী ইয়েমেনে নিরন্তর হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং তাদের সহায়-সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করছে। মুক্তিকামী হাউছি বিদ্রোহীদের সমর্থন করায় দেশটি ইরানের ওপর ক্ষিপ্ত। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য জায়নবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জোরালো প্রচার অভিযানের জন্য কাতার এবং আল জাজিরা এখন সৌদি আরবের চক্ষুশুল। এই দেশটির ওপর উপসাগরীয় দেশগুলির সংস্থা জিসিসি চাপিয়ে দিয়েছে নানারকম অবরোধ ও বিধিনিষেধ। হালে লেবাননের সুন্নি প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরীর সৌদি আরবে বসে পদত্যাগ পত্র প্রেরণ নিয়ে কম নাটক হয় নি। গোটা ভারতে গো-হত্যা ও গো-মাংস ভক্ষণের বিরদ্ধে বিজেপির মূলশক্তি আরএসএস মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে গো-হত্যা ও গো-মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ করে আইন প্রণীত হয়েছে । শুধু গো-মাংস ভক্ষণ নয়, গো-মাংস বহনের জন্য ভারতীয় মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। ওআইসি কার্যকর না থাকায় বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোকাস পাচ্ছে না। আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমার অতিসম্প্রতি রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংসতম জাতিগত নিধন, ধ্বংসলীলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। শুধু চলতি বছরের ২৫ অক্টোবরের পর সেখান থেকে ৬ লাখের অধিক নারী-পুরুষ পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমার বিশ্ব জনমতকে থোড়াই কেয়ার করেছে। তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা বললেও তাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না কিংবা কবে তাদের ফেরৎ নিবে তার সুস্পষ্ট সময় সীমা উল্লেখ করছে না। বরং আন্তর্জাতিক ফোকাস সরিয়ে দিতে বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক সম্পাদন করেছে। মিয়ানমারের অবস্থানকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে চীন, রাশিয়া এবং ভারত। মুসলিম উম্মাহ আজ চতুর্মুখী আক্রমণের শিকার। একদিকে পাশ্চাত্য শক্তি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে মুসলিম উম্মাহর ওপর চড়াও হয়েছে। অন্যদিকে ভারত, চীন, রাশিয়ার মতো দেশের ভূমিকাও মুসলিম-বান্ধব নয়। আর এই দুই পক্ষের সাথে জায়নবাদী শক্তির সখ্য আছে। পরিস্থিতি দেখে সেই হাদিসের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আল কুফরু মিল্লাতু ওয়াহিদাতুন। এর মোকাবেলায় মুসলিম উ্ম্মাহ দ্বিধাবিভক্ত। মুসলিম বিশ্বের একাংশ ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকিকরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত। ইসরাইল সরকারের একজন কর্মকর্তা এধরনের যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছেন। এর পরিণতি ভয়াবহ। ইসরাইলের শত্রুরা মুসলিম উম্মাহকে দ্বিধাবিভক্ত করে প্রথমে একপক্ষকে অবদমিত করতে চায়। তা যদি করতে পারে অন্য পক্ষেরও শেষ রক্ষা হবে না। কেননা, মাজহাবী বিরোধ উস্কে দিয়ে বিভাজন আরো গভীর করা হয়েছে। এর জের ধরে বিশ্বের মনযোগ হারাতে বসেছে আল-কুদ্স, ফিলিস্তিন, রোহিঙ্গা মুসলিম, কাশ্মীর, উইঘর যা প্রতিপক্ষ মনে-প্রাণে কামনা করে। মাজহাবী বিতর্ক ও বিরোধ নিতান্তই অর্থহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। শিয়া বা সুন্নি কেউই ইসলামের মৌলিক স্তম্ভের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে না। তাওহীদ, রিসালত, আখেরাতÑ এসব মৌলিক বিষয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ নেই। ইমামত নাকি খেলাফত এই গৌণ ইস্যুতে শিয়া-সুন্নি বিভাজনের কোন মানে হয় না। কাজেই শত্রুপক্ষের প্ররোচনায় এসব মাজহাবী বিরোধ ও বিতণ্ডায় পা না দিয়ে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই ঐক্য নিছক বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে নয়; বরং মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্ব ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষার্থে ইসলামি সংহতি অপরিহার্য। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য প্রতিষ্ঠিত না হলে অগ্নিগর্ভ মধ্যপ্রাচ্য আরো বহুধা বিভাজিত হবে, আরো রক্তক্ষরণ হবে। আল-কুদ্সকে জায়নবাদীদের হাত থেকে মুক্ত করা যাবে না। কাশ্মীরের মুসলমানরা আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার পাবে না, রোহিঙ্গারা নাগরিক স্বীকৃতি নিয়ে ফিরতে পারবে না স্বদেশে। এমনকি রাজতন্ত্রের অধীন মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভবিষ্যৎ বিপন্ন হবে। এই অপয়া সময়ে আমীর, বাদশা, খলিফাদের দিকে না তাকিয়ে মুসলিম উম্মাহর আপামর জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইসলামি চিন্তাবিদ ও মুসলিম মনীষাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন বাঞ্ছনীয়।
লেখক : সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
[পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে
বিএমএ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রবন্ধটি পঠিত হয়।]