বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

মহাকাশ বিজ্ঞানে ইরানের সাফল্য

পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ২২, ২০১৯ 

news-image

সাইদুল ইসলাম : একটি দেশ তথা জাতির উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞান। এক্ষত্রে যে জাতি যত বেশি এগিয়ে সে জাতি তত উন্নত। বলা হয়ে থাকে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ কোন জাতি যেকোন সময় যে কোন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম। আর এ বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়েই ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার নির্দেশে দেশটির বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদরা চরম আত্মত্যাগ ও সাধনার মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ইরানের অগ্রগতি আজ সবার নজরে এসেছে। বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে ইরানের বিজ্ঞানীদের অগ্রগতি সমগ্র বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গড় অগ্রগতির চেয়ে ১১ গুণ দ্রুততর (ঋধংঃবংঃ)। ইরানের বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, সর্ব-সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে বৈজ্ঞানিক গবেষণার দ্রুত অগ্রগতি বা প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইরান শীর্ষ স্থানে রয়েছে। দেশটির বিজ্ঞানীরা এখন পৃথিবীর গ-ি পেরিয়ে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রেও একের পর এক সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। বর্তমানে মহাকাশ শক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি পশ্চিম এশিয়ায় শীর্ষে এবং বিশ্বের শীর্ষ ১১টি দেশের তালিকায় রয়েছে। আর স্যটেলাইট নির্মাণে বিশ্বের শীর্ষ নয় দেশের মধ্যে রয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। এক্ষেত্রে আমেরিকা, রাশিয়া, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশের পরেই রয়েছে দেশটির অবস্থান। ইরানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান মোরতেজা বারারি এই তথ্য জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে বৈজ্ঞানিক কর্তৃপক্ষে ইরান প্রথম অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে বারারি বলেন, ২০১৬ সালে মহাকাশ প্রকৌশলে তাঁর দেশ বিশ্বে ১৪তম অবস্থানে ছিল। অবস্থার উন্নতি হয়ে ২০১৭ সালে র‌্যাঙ্কিংয়ে ১১তম অবস্থানে উঠে আসে দেশটি। একদিন এই বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিতে একই সাথে প্রযুক্তিগত, শিল্প ও অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষ হিসেবেও পরিগণিত হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ওই কর্মকর্তার তথ্য মতে, ২০০৬ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বে পরিপূর্ণ মহাকাশ প্রযুক্তিচক্র সম্পন্ন করা প্রথম নয় দেশের তালিকায় স্থান করে নেয় ইরান।
বারারি জানান, তাঁর দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা পরিচালিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে আমির কবির ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এইউটি) স্যাটেলাইট প্রকল্পটি বর্তমানে উদ্বোধনী পর্যায়ে রয়েছে। বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে এইউটির স্যাটেলাইটটি চারটি ক্যামেরায় সুসজ্জিত করা হয়েছে। এর রয়েছে তথ্য জমা করার ক্ষমতা। এক সাথে এতে ৪৫ জন ব্যবহারকারীর মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখার সুবিধা রয়েছে। এদিকে, আমির কবির ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আহমাদ মোতামেদি জানিয়েছেন, ইরান পৃথিবীর কক্ষপথে ৫শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উচ্চ মানসম্পন্ন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সক্ষম। রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমরা ৫শ’ কিলোমিটার উচ্চতায় স্যাটেলাইট পাঠাতে সক্ষম এবং আমরা আন্তর্জাতিক মানদ-ের ভিত্তিতে স্যাটেলাইট তৈরি করতে পারি।’
ইরানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আইএসএ-এর প্রধান মোরতেজা বারারি গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি জানিয়েছিলেন, তাঁর দেশ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে একটি টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইট তৈরির পরিকল্পনা করছে। তিনি জানান, আইএসএ-এর পরিকল্পনার তালিকায় এটি একেবারে উপরে রয়েছে। টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইটটি নির্মাণে ইরান ইতোমধ্যে প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইরানের জাতীয় মহাকাশ কেন্দ্রের প্রধান মানুচেহর মানতেকি বলেছেন, অত্যাধুনিক মহাকাশ প্রযুক্তিতে ইরানি বিজ্ঞানীদের সাফল্য প্রশংসনীয়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এ ক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলতে পারে নি। কেননা, ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের পর থেকেই ইরানের মহাকাশ শিল্প ও কেন্দ্রসমূহ নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করে আসছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানি এসব প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবুও অগ্রগতি থামাতে পারে নি। তবে এই সময়ে একই ধরনের সমস্যা দেশকে শতভাগ স্বনির্ভর হতে আরও সাহায্য করেছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান দেশীয়ভাবে স্যাটেলাইট নির্মাণে সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে তিনি জানান। সম্প্রতি ইরানের মহাকাশ সংস্থা আইএসএর প্রধান মোরতেজা বারারি জানান, তাঁর দেশ শিগগিরই কক্ষপথে নতুন তিনটি স্যালেটাইট পাঠাবে। পূর্ণাঙ্গ মহাকাশ প্রযুক্তি বলয়ে তেহরানের প্রবেশ ঠেকাতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান তিনি। মহাকাশ গবেষণাভিত্তিক এন্টারপ্রেনিউরশিপের ওপর একটি বৈঠকে বারারি তাঁর দেশের মহাকাশ ও মহাকাশ প্রযুক্তিতে অর্জনগুলো তুলে ধরেন। এই কর্মকর্তা স্মরণ করিয়ে দেন, ইরান গত বছর দুটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। চলতি ইরানি বছরের শেষ নাগাদ কক্ষপথে নতুন আরও তিনটি স্যাটেলাইট পাঠাতে তেহরান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই মধ্যে দেশটি একটি কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাণের কাজ শেষ করেছে এবং আরো দুটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইরানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংঘটিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তেহরান মহাকাশ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে নতুন ৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যা যা করার তার সব প্রচেষ্টাই চালাচ্ছে।
গত মাসে বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিজ্ঞানভিত্তিক মূল্যায়ন প্রতিষ্ঠান স্কিমাগো ইনস্টিটিউশন র‌্যাঙ্কিং একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালে মহাকাশ প্রকৌশল উন্নয়নে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে ইরান। মহাকাশ প্রকৌশল হচ্ছে বিমান ও মহাকাশ যান নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলের প্রাথমিক ক্ষেত্র। এর দুটি বড় শাখা রয়েছে- বিমান প্রকৌশল ও মহাকাশ প্রকৌশল। প্রতিবেদন মতে, মহাকাশ প্রকৌশলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরান শীর্ষ স্থানে। আন্তর্জাতিক পেপারে দেশটির ৪৮৬টি নথি, ৪৪১টি উল্লেখযোগ্য দলিল ও ৫১৬টি উদ্ধৃতি স্থান পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ২০১৮ সালে মহাকাশ প্রকৌশলে তুরস্ক, ইসরাইল, সৌদি আরব, মিসর, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানকে পেছনে ফেলেছে।
২০০৯ সালে ইরান প্রথম উমিদ বা আশা নামের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল। ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ‘উমিদ’। এ ছাড়া দেশটি প্রাণীবাহী মহাকাশযান প্রথম পাঠিয়েছিল ২০১০ সালে। এ মহাকাশযান পাঠানোর জন্য কাভোশগার (অভিযাত্রী)-৩ নামের রকেট ব্যবহার করা হয়েছিল।
২০১৫ সালে ‘ফজর’ বা উষা নামে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠায় মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। এটি উঁচুমানের ছবি ধারণ করতে এবং তা পৃথিবীর উপগ্রহ কেন্দ্র পাঠাতে পারে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরান নিজ দেশে তৈরি ‘নাহিদ-১’ ও ‘আমির কবির’ নামে দুটি স্যাটেলাইট উন্মোচন করে। সেই সাথে প্রথমবারের মতো দেশে তৈরি স্পেস টাগ উৎক্ষেপণ করে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।
‘নাহিদ-১’ হচ্ছে টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইট। এটি নির্মাণ করা হয় ইরানের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে। আর ‘পায়াম-ইয়ে আমির কবির’ স্যাটেলাইটের নকশা ও নির্মাণ কাজ করা হয় আমির কবির ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে। এটি নিখুঁতভাবে ছবি তুলতে সক্ষম। উল্লিখিত সময়ে ইরানে প্রথমবারের মতো ‘সামান-১’ নামে স্পেস টাগ নির্মাণ করা হয় যেটি স্যাটেলাইটকে লো আর্থ অর্বিট (এলইও) থেকে হায়ার-এনার্জি অর্বিটে রূপান্তরিত করতে ব্যবহার করা হয়।
ইরানের জাতীয় মহাকাশ কেন্দ্রের প্রধান মানুচেহর মানতেকি গত অক্টোবরে ঘোষণা দিয়েছিলেন, মহাকাশে প্রথমবারের মতো মানুষ পাঠাতে রাশিয়াকে সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করছে ইরান। তেহরানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মহাকাশে মানুষ পাঠাতে প্রচুর অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হয় এবং বিভিন্ন দেশ এক্ষেত্রে একে অপরের সম্ভাবনাকে ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে রাশিয়ার মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই মিশনে রাশিয়াকে আমরা সহযোগিতা করব। ইরান এর আগে কক্ষপথে ‘সিমোর্ঘ’ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে, ইরানের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ আজারি জাহরোমি বলেছেন, দেশের মহাকাশ কর্মসূচি আরও জোরদার করতে ইরানের উত্তরাঞ্চলে মহাকাশ প্রযুক্তি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে। জাহরোমি জানান, ইরানের যে স্যাটেলাইটটি বর্তমানে উদ্বোধনী পর্যায়ে রয়েছে তার নকশা ও নির্মাণ কাজ করেছে আমির কবির ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (এইউটি)। আর ‘জাফর’ স্যাটেলাইটের নকশা ও নির্মাণ কাজ করেছে ইরান ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। ‘জাফর’ স্যাটেলাইট ২৩ আগস্ট সরবরাহ করা হবে। তিনি আরও ঘোষণা দেন, ইরানের প্রথম মহাকাশ প্রযুক্তি পার্ক মাজান্দারান প্রদেশে নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, মহাকাশ ব্যবসার বিকাশে দেশে প্রথম স্পেস টেকনোলজি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। মহাকাশ প্রযুক্তিতে সক্রিয় সব কোম্পানি এই পার্কে অংশ নেবে। এরই মধ্যে ইরান একটি ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক কম্প্যাটিবিলিটি (ইএমসি) টেস্টিং ল্যাবসহ মহাকাশ প্রযুক্তিতে দেশীয়ভাবে তিনটি অর্জন উন্মোচন করেছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এগুলো উন্মোচন করা হয়।
ইরান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান হোসেইন সামিমি বলেন, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান মিশন হচ্ছে গবেষণা করা। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন বিশেষায়িত ইএমসি ল্যাব। যা ইতোমধ্যে উন্মোচন করা হয়েছে এবং সেই সাথে একটি রেডিও টেলিস্কোপ সিস্টেম ও একটি স্যাটেলাইট সিমুলেশন সফ্টওয়্যার (এসআরআই) উন্মোচন করা হয়েছে। সামিমি ব্যাখ্যা করে বলেন, স্যাটেলাইট ডিজাইনের ক্ষেত্রে এসআরআই একটি কার্যকর হাতিয়ার। ইরানের মহাকাশ সেক্টরের সকল বিশেষজ্ঞ এটি ব্যবহার করবেন।
এদিকে, সাইবারস্পেস প্রযুক্তিতে বিশ্বে সক্রিয় শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় রয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। মিউজিয়াম অব ইসলামিক রেভুলিউশন অ্যান্ড হলি ডিফেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলি আসকার জাফরি এই তথ্য জানিয়েছেন। ‘হলি ডিফেন্স অ্যান্ড রেজিস্টেন্স ইন সাইবারস্পেস’ অ্যাক্টিভিস্টদের এক সেমিনারে তিনি এই তথ্য জানান। আসকার বলেন, সম্প্রতি শহীদদের জানাযায় জনগণ আবারও দেখিয়ে দিয়েছে শহীদদের মানুষ কখনও ভুলে যায় না, তাঁরা সবসময়ই মানুষের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেন। তিনি তরুণ প্রজন্মের পবিত্র প্রতিরক্ষার মূল্যবোধ সুরক্ষা ও সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইসলামি বিপ্লব ও পবিত্র প্রতিরক্ষার মহিমান্বিত মূল্যবোধের সুরক্ষায় সাইবারস্পেস একটি যুৎসই সুযোগ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসলামি ইরানের বিজ্ঞানীরা মহাকাশ প্রযুক্তিতে এতটা অগ্রসর হয়েছেন যে, তাঁদের দৃঢ় ইচ্ছা ও সংকল্পের সুবাদে ইসলামি এই দেশ মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর ক্ষেত্রে ইরান বিশ্বের নবম দেশ হওয়ার গৌরবের অধিকারী। ইরানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা দশ বছরের প্রচেষ্টা ও গবেষণার পর এই সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে ইসলামি ইরান মহাশূন্য গবেষণায় মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম স্থানে এবং বিশ্বে একাদশতম অবস্থানে রয়েছে। ইসলামি ইরান মহাশূন্যে বানরসহ জীবন্ত নানা প্রাণী পাঠানোর পরীক্ষায় সফল হয়েছে। দেশটি অদূর ভবিষ্যতে মহাশূন্যে মানুষ পাঠানোর কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য জোর তৎপরতা শুরু করেছে। যা দেশটির মহাকাশ গবেষণায় অভাবনীয় সাফল্যেরই স্বাক্ষর বহন করে। ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর মতে ইসলামি বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট পরিবেশে ইরানি বিজ্ঞানীদের আত্মবিশ্বাস জোরদার হওয়ার কারণেই তাঁরা এমন সাফল্য পাচ্ছেন।

সূত্র: মেহর নিউজ, ফার্স নিউজ, পার্সটুডে, প্রেসটিভি, তেহরান টাইমস, ইরনা