ভেষজ এবং ঐতিহ্যবাহী ওষুধ উৎপাদনে বিশ্বে ইরান চতুর্থ
পোস্ট হয়েছে: মে ৮, ২০২৪
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ভেষজ এবং ঐতিহ্যবাহী ওষুধ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ রেজা শামস আরদাকানি বলেছেন, ইরানি গবেষকরা ভেষজ এবং ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা ক্ষেত্রে জ্ঞান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে।
ভেষজ এবং ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারে ইরানের কয়েক হাজার বছরের রেকর্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “২০০৭ সালে ভেষজ এবং ঐতিহ্যবাহী ওষুধ অনুষদ গঠনের পর আমরা এ ক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জন এবং গবেষণায় নিজেদের সামর্থ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে প্রমাণ করেছি। ২০২২ সাল থেকে এ ধরনের ওষুধ উৎপাদনে বিশ্বে আমরা চতুর্থ স্থান অর্জন করেছি যা আমাদের জন্য একটি বিশেষ সাফল্য।”
শামস আরদাকানি আরো বলেন, ইরানি জনগণ দীর্ঘ সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার ইতিহাসের দিক থেকে ভেষজ চিকিৎসা সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আসছে এবং এ ধরনের চিকিৎসায় জড়িত ওষুধের ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগ মানুষের আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ইরান সরকারের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, “ইরানের জ্ঞান-ভিত্তিক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাল চেষ্টা করেছে এবং এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সবারই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রকৃতিতে ফিরে আসার প্রবণতা সব সেক্টরে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি যে আমাদের নিজস্ব প্রচেষ্টা এবং সমস্ত সম্ভাবনা সঠিকভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আগের চেয়ে আরও সফলভাবে কাজ করতে সক্ষম হবো।
শামস আরদাকানি ইরানের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাকে “স্বাস্থ্য-বান্ধব” হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “ইরানের ঐতিহ্যবাহী ওষুধের অনেক শিক্ষা জীবনধারা পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে এবং তা মানুষের সংস্কৃতি থেকে উঠে এসেছে। এভাবে এটি সমাজে ভাল গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে এবং এর পরিষেবাগুলোও মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং রোগ কমানোর জন্য মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে আরো বেশি প্রচার চালাতে হবে এবং আচরণের পরিবর্তনও এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন। বর্তমানে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, খাদ্যের ধরন, নিষ্ক্রিয়তা ইত্যাদির কারণে ছোঁয়াচে ও সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সত্ত্বেও অসংক্রামক রোগ বেড়েছে। শামস আরদাকানি সব শেষে বলেন, ঐতিহ্যবাহী ওষুধের ওপর ভিত্তি করে পুষ্টির নীতিগুলোর পর্যালোচনা করা হলে তা স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করবে। পার্সটুডে/