বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রেডিও তেহরানের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের নয়া রাষ্ট্রদূত এএফএম গওসোল আযম সরকার বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইরানের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর ইতিবাচক খবর তুলে ধরার ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের গণমাধ্যম খুব একটা আগ্রহী নয়। পাশ্চাত্যের গণমাধ্যমে সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোর নেতিবাচক খবরই বেশি গুরুত্ব পায়। এ ধরণের প্রবণতার বিপরীতে রেডিও তেহরানের মতো গণমাধ্যমের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে।মঙ্গলবার দূতাবাসে নিজ কার্যালয়ে ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি’র বিশ্ব কার্যক্রমের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন। এএফএম গওসোল আযম বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সাল হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালে পূর্ণ হবে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শত বছর এবং ২০২১ সাল হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ উপলক্ষে দূতাবাসের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
এ সময় বিশ্ব কার্যক্রমের পূর্ব এশিয়া ও ভারত উপমহাদেশ বিষয়ক মহাপরিচালক হাসান নওরোজি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ইরানে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আইআরআইবি’র বিশ্ব কার্যক্রম সত্য প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিশ্ব কার্যক্রমের প্রেসটিভি, আল-আলমসহ বিভিন্ন রেডিও ও টিভি চ্যানেল সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে এমনকি গোটা বিশ্বেই দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। রেডিও তেহরান (বাংলা রেডিও), বিশ্ব কার্যক্রমের শীর্ষস্থানীয় ও প্রভাবশালী গণমাধ্যম বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলা বিভাগের পরিচালক মুজতাবা ইব্রাহিমি বলেন, রেডিও তেহরানের কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে এফএমে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ইচ্ছা আছে। তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের সহযোগিতায় আমরা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই। ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়াতেও রেডিও তেহরানের সরব উপস্থিতির কথা তুলে ধরেন মুজতাবা ইব্রাহিমি।
তিনি বলেন, ইরানের বিশ্ব কার্যক্রমের রেডিও, টিভি এবং ওয়েব সাইটে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো নিজেদের পণ্যের প্রসারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে পারে। এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোহাম্মাদ সবুর হোসাইন এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি আইনি সীমাবদ্ধতার বিষয়টিও স্মরণ করেন।
বৈঠকে দূতালয় প্রধান মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবিরও উপস্থিত ছিলেন। তিনি দূতাবাস কেন্দ্রিক নানা অনুষ্ঠান ও তৎপরতার খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করায় রেডিও তেহরানকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আজকের বৈঠকে ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি’র প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ব কার্যক্রমের পূর্ব এশিয়া ও ভারত উপমহাদেশ অঞ্চল বিষয়ক মহাপরিচালক হাসান নওরোজি। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বাংলা বিভাগের বর্তমান পরিচালক মোজতাবা ইব্রাহিমি, সাবেক পরিচালক সোহেল আহম্মেদ, সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী সৈয়দ মূসা রেজা এবং সাংবাদিক নাসির মাহমুদ। বৈঠকের এক পর্যায়ে রাষ্ট্রদূতকে একটি ইরানি হস্তশিল্প উপহার দেওয়া হয়।পার্সটুডে।