শনিবার, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হোন: ওআইসি সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ৩, ২০১৭ 

news-image

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। তিনি মঙ্গলবার ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে জরুরি বৈঠকে এ কথা বলেছেন।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিন ও বায়তুল মোকাদ্দাস বিষয়ক ওআইসি’র সম্মেলনে তিনি আরো বলেছেন, মুসলিম উম্মাহর উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ অঞ্চলে নানা অপরাধযজ্ঞ ও ষড়যন্ত্র ধামাচাপা দেয়ার ইসরাইলি চেষ্টাকে নস্যাত করে দেয়া। জাওয়াদ জারিফ তার ভাষণে ওআইসি ও মুসলিম বিশ্বের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে বলেছেন, এ সংস্থার প্রধান লক্ষ্য থেকে কখনই বিচ্যুত হওয়া চলবে না। এ সংস্থার লক্ষ্য হচ্ছে, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বজায় রাখা, ইসরাইলসহ যে কোনো আগ্রাসী শক্তির মোকাবেলা করা এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রতি সমর্থন দেয়া।

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকট থেকে বোঝা যায়, ফিলিস্তিন হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা এবং নির্যাতিত এ জাতির প্রতি যেন কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। মানবাধিকারের মূল নীতি হচ্ছে মানবিয় মর্যাদা রক্ষা করা। মানবাধিকার রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক বহু নীতিমালা তৈরি হলেও অহরহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত এক দশক ধরে গাজার ওপর দখলদার ইসরাইলের অবরোধের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, নিঃসন্দেহে এটা বড় ধরণের মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী অপরাধযজ্ঞ বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের দাবিকে উপেক্ষা করে চলেছে ইসরাইল।

আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করা সবার দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নীতিমালার সাত ও আট নম্বর অনুচ্ছেদে মানবতা বিরোধী অপরাধযজ্ঞের বিষয়ে বক্তব্য রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য জাতিগুলোর মানবাধিকার যেভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে তা নিয়ে মতভেদ করার কোনো সুযোগ নেই। মানবাধিকার বিষয়ক নীতিমালা মেনে চলার দায়িত্ব সব জাতিগুলোর বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসি’র সম্মেলনে বলেছেন, আল আকসা মসজিদে ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের নিন্দা জানানোর দায়িত্ব সব মুসলিম দেশের হলেও দুঃখজনকভাবে অনেক দেশ সে দায়িত্ব পালন করছে না। – পার্সটুডে ।