পাশ্চাত্যের মিথ্যাচারের ওপর বড় আঘাত করেছে ইরানি নারীরা: সর্বোচ্চ নেতা
পোস্ট হয়েছে: জুলাই ২৭, ২০২২
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, সমাজের সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রধান কেন্দ্র হতে পারে জুমার নামাজ। চিন্তাগত বিষয় থেকে সামাজিক সেবা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে দেশরক্ষায় জনগণকে সংগঠিত করা পর্যন্ত সব কিছুর কেন্দ্রস্থল হতে পারে এই নামাজ।
তিনি আজ সারাদেশ থেকে সমবেত জুমার নামাজের ইমামদের এক সমাবেশে এ কথা বলেন। ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর প্রথম জুমার নামাজের বার্ষিকী উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ১৯৭৯ সালের ২৭ জুলাই ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে প্রথম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বোচ্চ নেতা আজ আরও বলেছেন, জুমার নামাজ পুরোপুরি ব্যতিক্রমধর্মী ফরজ ইবাদত। এর সমতুল্য আর নেই। গভীরভাবে চিন্তা করলে জুমার নামাজ হজের মতো মহান ও বিশাল সমাবেশের চেয়েও ব্যতিক্রম।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, পশ্চিমা সভ্যতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধর্ম ও উন্নয়নের মধ্যে বিভাজন। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পশ্চিমাদের ২০০ থেকে ৩০০ বছরের এই দাবির অসারতা প্রমাণ করেছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ধর্মকে সামনে রেখে ময়দানে অবতীর্ণ হয়ে উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে পাশ্চাত্য ক্ষুব্ধ হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো মাফিয়া। এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছে বিখ্যাত ইহুদিবাদী ব্যবসায়ী চক্র এবং তাদের অনুগত রাজনীতিবিদেরা। আমেরিকা হচ্ছে তাদের সুকেস এবং তারা সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ২০০ বছর ধরে পাশ্চাত্য বলছে নারীরা চারিত্রিক, ধর্মীয় ও পর্দা প্রথা থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত উন্নতি করতে পারবে না এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বড় পদে যেতে পারবে না। কিন্তু ইরানি নারীরা বাস্তবে সেটাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের মধ্যে ৫০ ভাগের বেশি হচ্ছে মেয়ে। গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী বিজ্ঞানীরা ব্যাপক অবদান রেখেছেন।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, সাহিত্য অঙ্গনে শীর্ষস্থানীয়দের কাতারে রয়েছেন ইরানি নারীরা। ক্রীড়াঙ্গনেও একই অবস্থা। আসলে ইরানি নারীদের যতটুকু প্রশংসা প্রাপ্য ততটুকু প্রশংসা করার ক্ষমতা মানুষের নেই। হিজাব পরিহিত ইরানি মেয়েরা বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থান অধিকার করছে যা কোটি কোটি মানুষ টিভিতে দেখছে। এটা সাধারণ কিছু নয়।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অঙ্গনে ইরানি নারীদের সাফল্য পশ্চিমাদের ৩০০ বছরের দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা সহ্য করতে পারেনি এবং ইরানের ওপর খেপেছে। ইরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর মোকাবেলায় দৃঢ়তার সঙ্গে পশ্চিমাদের উপনিবেশবাদী চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি ফাঁস করতে হবে। পার্সটুডে/