পরমাণু চুক্তির সমর্থনে মার্কন কংগ্রেসে ইউরোপের ৫০০ সংসদ সদস্যের চিঠি
পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ২২, ২০১৮
ইরানের সাথে ৬ জাতি গোষ্ঠীর পরমাণু চুক্তি ত্যাগ না করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানিয়েছে উইরোপীয় দেশগুলোর সংসদ সদস্যরা। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির ৫০০ সংসদ সদস্য একযোগে এই মর্মে মার্কিন কংগ্রেসকে একটি চিঠি লিখেছেন।
আমেরিকা পরমাণু চুক্তি ত্যাগ করলে তার পরিণাম ভালো হবে না, জানিয়েছে ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১২ মে চুক্তি থেকে সরে আসার যে হুমকি দিয়েছেন, তার ফলে ইউরোপেও তৎপরতা বাড়ছে।
ইরানের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য ও জার্মানির পরমাণু চুক্তিকে বড় সাফল্য হিসেবে গণ্য করে আন্তর্জাতিক সমাজ। এর মাধ্যমে সে দেশের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি আপাতত বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।ইরান চুক্তির শর্ত মেনে চলা সত্ত্বেও সেই চুক্তি বাতিল করার জন্য চাপ দিয়ে চলেছে সমালোচকরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের আগে থেকেই সমালোচকদের দলে নাম লিখিয়েছিলেন। ক্ষমতায় এসে তিনি সেই লক্ষ্যেই পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। তার প্রশাসনেও বর্তমানে ইরান-বিরোধীদের আধিপত্য চলছে।
ইউরোপে সহযোগী দেশগুলি ট্রাম্পকে সেই কাজ থেকে বিরত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির ৫০০ সংসদ সদস্য একযোগে এই মর্মে মার্কিন কংগ্রেসকে একটি চিঠি লিখেছেন।
আগামী ২৭ এপ্রিল ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও সেই চেষ্টা চালাবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, যে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি আগামী ১২ মে-র মধ্যে চুক্তির ‘মারাত্মক ত্রুটি’ দূর করতে না পারলে তিনি ইরানকে নিষেধাজ্ঞা থেকে আর রেহাই দেবেন না। উল্লেখ্য, চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিয়মিত ‘ওয়েভার’ স্বাক্ষর করতে হয়। গতবার ট্রাম্প তাতে স্বাক্ষর করলেও এবার তিনি বেঁকে বসেছেন।
এরই মধ্যে ইরান ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, আমেরিকা পরমাণু চুক্তি বাতিল করলে তার পরিণাম ‘অস্বস্তিকর’ হতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহম্মদ জাভাদ জরিফ নিউইয়র্কে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, ওয়াশিংটন চুক্তি থেকে সরে এলে ইরানের হাতে বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে। স্বাক্ষরকারী সব দেশ চুক্তি মেনে চললে ইরানও শর্ত মেনে চলবে। আমেরিকা চুক্তি ত্যাগ করলে ইরান চুক্তি ছিঁড়ে ফেলবে, বলেন জরিফ। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি রক্ষা করতে ইউরোপেও তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। ওয়াশিংটনকে খুশি করতে ইরানের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। ১২ মে-র মধ্যে যৌথ পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত কঠিন হবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।- ডয়েচে ভেলে ।