নতুন প্রজাতির গোলাপি চিংড়ি আবিষ্কার!
পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ১২, ২০১৭
চিংড়ির সঙ্গে পরিচয় কমবেশি সবারই আছে। তবে চিংড়ির একটি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞানীরা। নতুন প্রজাতির এই চিংড়ি বিকট শব্দ করতে ও এর দাড়া দিয়ে ছোট ছোট মাছও ধরতে সক্ষম।
নতুন আবিস্কৃত এই চিংড়ির রং গোলাপি। এর আগে এই প্রজাতির চিংড়ি কেউ দেখেনি। প্রথমবারের মতো এটি পানামার উপকূলে দেখা গেল।
ব্রিটিশ ব্যান্ড দল পিংক ফ্লয়েডের নাম অনুসারে নতুন আবিস্কৃত এই গোলাপি রংয়ের চিংড়ির নামকরণ করা হয়েছে। অক্সফোড ইউনির্ভাসিটির একদল গবেষক নতুন প্রজাতির এই চিংড়ি আবিষ্কার করেছে।
ব্রিটিশ বিখ্যাত ব্যান্ড দলের সম্মানে নতুন প্রজাতির এই চিংড়ির নামকরণ করেছে গবেষকরা। অক্সফোড ইউনির্ভাসিটির মিউমিয়াম অব ন্যাশনাল হিস্ট্রির অধ্যাপক ও গবেষণা দলের প্রধান স্যামি ডি গ্রেভ এ নামকরণ সম্পর্কে বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে ব্যান্ড দল পিং ফ্লুডের ভক্ত।
এই ব্যান্ড দলের নামানুসারে গবেষণায় পাওয়া নতুন এই প্রজাতির চিংড়ির নামকরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি ১৯৭৯ সালে দ্য ওয়াল অ্যালবামের প্রথম গান শুনে এই ব্যান্ড দলের ভক্ত হয়ে যাই। সেই থেকে আমি পিংক ফ্লয়েডের মিক জাগির ও ইলিফেনটিশ জাগিরাই এর ভক্ত হয়ে যাই। আমার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। ওই সময় থেকে আমি ব্যান্ড দলের গানের ভক্ত।
স্যামি আরো বলেন, বর্ণনায় আমরা চিংড়ির নাম পিস্তল চিংড়ি বলে বর্ণনা করেছি। কেন না পিস্তলের ন্যায় এরা দাড়া দিয়ে অন্য মাছকে মারতে পারে। এমন একটি প্রজাতির জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের গবেষণা দলের সবাই পিং ফ্লয়েড ব্যান্ডের ফ্যান।
আমরা আগেই থেকে বলছিলাম গোলাপি চিংড়ি পাওয়া গেলে নাম রাখা হবে ব্যান্ডের নামানুসারে। দ্রুত গতিতে চলতে পারে চিংড়িটি। নতুন প্রজাতির এই চিংড়ি ২১০ ডেসিবলের বেশি জোরে শব্দ করতে পারে।
যা কোন কনসার্টের শব্দের গড়ের সমান। মহাসাগরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি শব্দ করতে পারে।
এটি পানামার উপকূল ও পশ্চিম আটলান্টিকের উপকূলে পাওয়া যায় বলে স্যামি জানান।
নতুন প্রজাতির এই চিংড়ির বিষয়ে জুটাক্সা জার্নালের গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণার কাজে সহায়তা করেছে ব্রাজিলের ইউনিভার্সিটি ফেডারেল গায়াস ও যুক্তরাষ্ট্রের সীটেল ইউনিভার্সিটি।
-বিবিসি ও দ্য টেলিটক থেকে অনূদিত