‘তাবরিজ ২০১৮’ ইভেন্টের উদ্বোধন ২৫ এপ্রিল
পোস্ট হয়েছে: মার্চ ১২, ২০১৮
‘তাবরিজ ২০১৮’ ইভেন্টের উদ্বোধন ২৫ এপ্রিলচলতি ২০১৮ সালের জন্য ইসলামি পর্যটনের রাজধানী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর তাবরিজ। এ উপলক্ষ্যে আগামী ২৫ এপ্রিল ‘তাবরিজ ২০১৮’ নামের একটি ইভেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে দেশটি। সম্প্রতি এই ইভেন্টের একটি সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে আগামী ২৫ এপ্রিল ‘তাবরিজ ২০১৮’ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
‘তাবরিজ ২০১৮’ ইভেন্টের জাতীয় নীতিনির্ধারণী সদরদপ্তরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ নেমাতজাদেহ এই ঘোষণা দেন। ওই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ইরান সরকারের প্রতিনিধি, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর জেনারেল, তাবরিজ শহরের মেয়র ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা।
নেমাতজাদেহ পরবর্তীতে বলেন, ‘‘তাবরিজ ২০১৮ একটি জনপ্রিয় কর্মসূচি। এটা বেসরকারি খাতকে লাভবান হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এখানে কর্তৃপক্ষের ফলপ্রসূ ফলাফল বয়ে আনতে বেসরকারি খাতের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ভাগাভাগি করা উচিত।
ইতোপূর্বে যেসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে নেমাতজাদেহ তার প্রশংসা করেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগী সব সংস্থাকে সমন্বয়ের সাথে কাজ করতে হবে, একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে।
নেমাতজাদেহ বলেন, তাবরিজ ২০১৮ এর সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা হচ্ছে তথ্য জানানো। তাবরিজ ও পূর্ব আজারবাইজানের প্রাকৃতিক আকর্ষণকে পরিচয় করিয়ে দিতে নির্বাহী সব সংস্থাকে তাদের সক্ষমতার ব্যবহার করতে হবে। তাবরিজের সম্ভাবনা তুলে ধরে তিনি সেখানকার বিখ্যাত কার্পেট ও জুতা শিল্পের মিশ্র শৈল্পিক আকর্ষণের কথা উল্লেখ করেন। যা পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণের কারণ। এই ধরনের শিল্প যাতে পর্যটন বিকাশে নেতৃত্ব দিতে পারে সেজন্য তাবরিজের সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ইরানি এই কর্মকর্তা।
ইরানের পাঁচটি সেরা পর্যটন গন্তব্যের মধ্যে পূর্ব আজারবাইজান অন্যতম। চলতি ইরানি বছরের প্রথমার্ধে সেখানে তিন লাখ বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৬ শতাংশ বেশি। তাবরিজে ১৮শ জাতীয় ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় এলাকা রয়েছে। যেসব জায়গায় ইরানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অধিকাংশই ভ্রমণ করে থাকে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পর্যটনমন্ত্রীদের নবম সম্মেলনে তাবরিজকে ২০১৮ সালের ইসলামি পর্যটনের রাজধানী হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৭ সালে সৌদি আরবের পবিত্র মদিনা শহর ও ২০১৬ সালে তুরস্কের কোনিয়া শহর ইসলামি পর্যটনের রাজধানী হিসেবে মনোনীত হয়।