“কোনো গর্বিত জাতিই নিরাপত্তা বিনষ্ট করার সুযোগ কাউকে দেবে না”
পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ২৬, ২০১৯
“ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান মানবাধিকার রক্ষায় নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশী অগ্রাধিকার দেয়। কারণ মানবাধিকার ও নিরাপত্তা একে অপরের পরিপূরক।”
জেনেভায় জাতিসংঘ দফতরে ইরানের প্রতিনিধি ইসমাইল বাকায়ে হামানে এক টুইটবার্তায় এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “কোনো স্বাধীনচেতা ও গর্বিত জাতিই মানবাধিকারকে পুঁজি করে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাকে বিনষ্ট করার সুযোগ কাউকে দেবে না।”
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য নিরাপত্তা অতি জরুরি একটি বিষয়। নিরাপত্তার অর্থই হচ্ছে এমন এক সমাজ যেখানে কোনো রকম উদ্বেগ ও উত্তেজনা থাকবে না এবং মানুষের জানমাল ও সম্মান বজায় থাকবে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিভাষায় নিরাপত্তা হচ্ছে, যেকোনো আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত থাকা।
মোটকথা, অন্য সব অধিকারের চেয়ে নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টি সরকারের কাছে জনগণের সবচেয়ে বড় চাওয়া পাওয়ার বিষয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা যেকোনো সরকারের প্রধান লক্ষ্য। ইরানের সংবিধানেও নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। সংবিধানের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদে নাগরিকদের জানমাল, সম্মান ও অধিকার রক্ষা, আবাসনের ব্যবস্থা এবং বেকারত্ব দূরীকরণের ওপর বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়েছে। মোটকথা, ইরানে সংবিধান ও ধর্মীয় অনুশাসন অনুসারে মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
দুঃখজনকভাবে মানবাধিকারের অজুহাতে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ শক্তিগুলো জাতিগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে এবং জাতিগুলোর তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাশ্চাত্য মানবাধিকার বিষয়ে ইরানের জনগণের সাথেও দ্বিমুখী আচরণ করেছে। সম্প্রতি ইরানে তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে তাতে কয়েকটি দেশ মানবাধিকার রক্ষার অজুহাতে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের প্রতি সমর্থন যুগিয়েছে। পাশ্চাত্য একদিকে ইরানের জনগণের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে অন্যদিকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানের জনগণের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। এ থেকে বোঝা যায়, পাশ্চাত্যের কাছে মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই বরং এটাকে তারা কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। পার্সটুডে।