ইরান-সৌদি আরব সহযোগিতা পশ্চিম এশিয়ায় কী ধরণের প্রভাব ফেলবে?
পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ২৭, ২০২৫
বিশ্লেষণধর্মী ওয়েবসাইট “মিডল ইস্ট মনিটর” এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ইরান ও সৌদি আরব যদি একটি যৌথ অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাগত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে তাহলে তা তাদের নিজেদেরই স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি গোটা পশ্চিম এশিয়ায় স্থিতিশীলতা ও শান্তি জোরদার হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অঞ্চলের বৃহৎ রাষ্ট্র ইরান এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য সৃষ্টির চেষ্টাকারী সৌদি আরব তাদের বিশাল সম্পদ ব্যবহার করে একটি যৌথ অর্থনৈতিক-নিরাপত্তাগত কাঠামো গড়ে তুলতে পারে, যা পরবর্তীতে অন্যান্য মুসলিম দেশ ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের জন্যও মডেল হতে পারে।
বিশ্ব জ্বালানি বাজারে পরিবর্তন ও আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষাপটে প্রতিবেদনে এই বলে সতর্ক করা হয়েছে যে, তেহরান ও রিয়াদের সহযোগিতা ছাড়া পশ্চিম এশিয়ায় চলমান সংঘাতের ফলে কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতিই হবে এমন নয় বরং আন্তর্জাতিক উত্তেজনাও বাড়বে।
পার্সটুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “মিডল ইস্ট মনিটর” প্রস্তাব দিয়েছে ইরান ও সৌদি আরব যেন তিনটি স্তরে সহযোগিতা জোরদার করে। এগুলো হলো দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক স্তর। এছাড়া যৌথ অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে আঞ্চলিক প্রক্সি যুদ্ধ, সাইবার ও প্রযুক্তিগত হুমকির মোকাবিলা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গির আওতায় আঞ্চলিক তথ্য বিনিময় নেটওয়ার্ক সৃষ্টি, স্বচ্ছ প্রতিরক্ষা চুক্তি সই, ৫৭টি মুসলিম দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেম গঠন এবং একটি সামাজিক-ধর্মীয় পরামর্শমূলক পরিষদ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল বিস্তৃত রাজনৈতিক ও নৈতিক অঙ্গীকারের মাধ্যমেই সংঘাত হ্রাস করা সম্ভব এবং অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও সামাজিক সুযোগগুলোকে জনগণ ও অঞ্চলের কল্যাণে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই প্রতিবেদনে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান–সৌদি সম্পর্ক পুনরুদ্ধারকে “ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন সুযোগ” হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তেহরান–রিয়াদ সম্পর্ক পুনঃস্থাপন আঞ্চলিক সম্পর্কের ধারা পরিবর্তন করতে পারে, পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে পারে এবং অর্থনীতি, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতার দ্বার উন্মোচন করতে পারে।#
পার্সটুডে