ইরানে বোয়িং ও এয়ারবাসের হাজার কোটি ডলারের বাজার নিচ্ছে এটিআর
পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ৬, ২০১৮
ইরানের সঙ্গে ৬-জাতির পারমাণবিক সমঝোতা হওয়ার পর বোয়িং ও এয়ারবাস ৪০ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে বিমান সরবরাহের জন্যে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে সমঝোতা থেকে সরে আসলে বোয়িং ও এয়ারবাসের চুক্তিও কর্পুরের মত উড়ে যায়। মাঝখান থেকে ফ্রান্স ও ইতালিয় বিমান কোম্পানি এটিআর ইরানকে ২০টি বিমান বিক্রি করে ৫৩৬ মিলিয়ন ডলারে।
এ চুক্তি অনুযায়ী ৮টি বিমান তেহরানে এসে পৌঁছেছে এবং শীঘ্রই বাকি ১২টি বিমান এসে পৌঁছবে দেশটির কাছে। অথচ শুধু এয়ারবাসই ইরান এয়ারের কাছে ১শ’টি সুপরিসর বিমান বিক্রির চুক্তি করেছিল। পশ্চিমা কোনো বিমান কোম্পানির সঙ্গে এটি ছিল ১৯৭৯ সালের পর ইরানের সঙ্গে সবচেয়ে বড় চুক্তি। মজার ব্যাপার হচ্ছে এয়ারবাস ইরানের কাছে বিমান বিক্রি বাতিল করলেও যে এটিআর দেশটিকে বিমান সরবরাহ করছে তার অর্ধেক মালিকানা এয়ারবাসের।
একইসঙ্গে ইরান এয়ার বোয়িং’এর সঙ্গে ১৭ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে ৮০টি বিমান পেতে। বোয়িং ইরানের সঙ্গে আরো ৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে ৩০টি সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স বিমান বিক্রির। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি যন্ত্রাংশ দিয়ে এয়ারবাস ও বোয়িং বিমান তৈরি করে বিধায় বিমান রফতানির ক্ষেত্রে তাদের ট্রাম্প প্রশাসনের ছাড়পত্রের জন্যে অপেক্ষা করতে হয়। এ সুযোগটি পুরোপুরি নিয়েছে এটিআর। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান রাজনীতিবিদরা এজন্যে ট্রাম্পের সমালোচনাও করেছেন যে ইরানের বিমান বিক্রি হাতছাড়া হলে তা দেশটির অর্থনীতির জন্যে মোটেও ভাল হবে না। অন্যদিকে ইরান এটিআর-এর সঙ্গে ৫৩৬ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিটি দরকষাকাষির পর নির্ধারিত মূল্য থেকে কমিয়ে তা ৪’শ মিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনতে সমর্থ হয় বলে জানায় দেশটির সরকারি টিভি। রয়টার্স