ইরানের সারাখস বৈদ্যুতিক ট্রেনের মাধ্যমে চীন থেকে ইউরোপের রেল সংযোগ
পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ২৩, ২০২৫
ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী চীন সফরের সময় চীন-ইউরোপ রেল সংযোগ সংক্রান্ত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সভায় যোগদান করেন এবং যৌথ সহযোগিতার জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কিছু পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন।
ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী “ফারজানেহ সাদেক” মঙ্গলবার চীন-ইউরোপ রেল সংযোগ সংক্রান্ত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সভায় ঘোষণা করেন, মারান্ড-চেশমেহ সোরায়া রেলপথের কৌশলগত রুটের সমাপ্তি, যা ইরানের রেল নেটওয়ার্ককে তুর্কি রেল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে গুরুত্ব সহকারে অনুসরণ করা হচ্ছে। পার্সটুডে অনুসারে, সাদেক আরো বলেন: এই রেল রুটটি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে সিল্ক রোডের দক্ষিণ শাখাটি একটি পূর্ণ-রেল করিডোরে পরিণত হবে এবং চীন থেকে ইউরোপে রেল নেটওয়ার্কের ধারাবাহিকতা এবং ন্যূনতম স্টপেজসহ সকল ধরণের পণ্যসম্ভার দ্রুত এবং সস্তায় স্থানান্তর নিশ্চিত করবে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) চীনের শানসি প্রদেশের রাজধানী জিয়ান শহরে চীন-ইউরোপ রেল সংযোগের দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে যেখানে এই রুটে থাকা দেশগুলোর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রেল খাতের কোম্পানি এবং কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।
রাশত-আস্তারা রেলওয়ে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য উন্নয়নের অক্ষ
রাশিয়ার আস্ট্রাখান অঞ্চলের প্রধান ইগর বাবুশকিন উত্তর-দক্ষিণ করিডোরকে শক্তিশালীকরণ এবং বাণিজ্য বিনিময়ের গতি বৃদ্ধির জন্য রাশত-আস্তারা রেলওয়ে প্রকল্পের সমাপ্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে বলেন: রাশত-আস্তারা রেলওয়ে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য উন্নয়নের অক্ষ। ইরানের গিলানের গভর্নর হাদি হাঘশেনাসের সাথে এক বৈঠকে বাবুশকিন বলেন, আমরা যৌথ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নকে স্বাগত জানাই এবং এই সহযোগিতাকে উচ্চতর কর্মক্ষম স্তরে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। রাশিয়ার আস্ট্রাখান অঞ্চলের প্রধান গিলান প্রদেশের আস্তারা এবং আনজালি বন্দরের সক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এই বন্দরগুলোর পরিচালনা ক্ষমতা বৃদ্ধি করলে দুটি অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য বিনিময়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। রাশত-আস্তারা রেলওয়ে করিডোরকে ক্যাস্পিয়ান সাগর, ককেশাস এবং উত্তর ইউরোপের সাথে একটি সংযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়; এমন একটি রুট যা সম্পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হলে, বার্ষিক ১৫ মিলিয়ন টন পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের ক্ষমতা থাকবে।
ক্যাস্পিয়ান শীর্ষ সম্মেলন বিনিয়োগকে অনুপ্রাণিত করার এবং উত্তর-দক্ষিণ করিডোরকে শক্তিশালী করার একটি সুযোগ
ইরানের গিলানের গভর্নর “হাদি হাঘশেনাস”,পাঁচটি ক্যাস্পিয়ান উপকূলীয় দেশ থেকে উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদলের আগমন এবং রাশত সরকারি মন্ত্রীদের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, “বন্দর, রেল সংযোগ এবং রাশত-আস্তারা প্রকল্পের উন্নয়ন উত্তর-দক্ষিণ করিডোরকে শক্তিশালী করার জন্য আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে।” ইরানের উদ্যোগে ক্যাস্পিয়ান সাগরের উপকূলীয় প্রদেশগুলোর গভর্নরদের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন আজ মঙ্গলবার এবং বুধবার গিলান প্রদেশে অনুষ্ঠিত হবে যার বিভিন্ন লক্ষ্য এবং স্লোগান “ক্যাস্পিয়ান, বন্ধুত্ব এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের সেতু।#
পার্সটুডে