বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইমাম খোমেইনী (রহ.)-এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওয়েবিনার

পোস্ট হয়েছে: জুন ১৫, ২০২১ 

ইরানের ইসলামি বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেইনী (রহ.)-এর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত ৩ জুন, বৃহ¯পতিবার বিকাল ৩টায় ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ রেজা নাফার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, খুলনায় অবস্থিত ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলিল রাজাভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ আফতাব হোসাইন নাকাভী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ নূরে আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে অবস্থিত ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর ড. সাইয়্যেদ হাসান সেহাত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ড. আব্দুল কুদ্দুস বাদশা। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বিশিষ্ট ক্বারী এ কে এম ফিরোজ।
ইরানি রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মাদ রেজা নাফার বলেন, ইমাম খোমেইনী (র.) ছিলেন একজন পারফেক্ট মানুষ, যিনি ধর্ম, দর্শন, নৈতিকতা, ইরফান এবং রাজনীতির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে এমন এক রসায়ন তৈরি করেছিলেন যার স্বাদ মানুষ এর আগে কখনই পায়নি। ইমাম খোমেইনী ছিলেন তৎকালীন সময়ের অন্যতম অনন্য ব্যক্তিত্ব, যিনি বস্তুবাদ ও ধর্মবিদ্বেষের যুগে ধর্মের পুনর্জাগরণের পতাকা উড্ডয়ন করেছিলেন এবং বিশ্বব্যাপী এতটাই আলোড়ন তৈরি করেছিলেন যে, এই শতাব্দীর সাথে তাঁর পবিত্র নামটিই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। ইমাম খোমেইনী ছিলেন মুসলিম বিশ্বের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, যাঁর ব্যক্তিত্বের প্রভাব কেবল ইরানের ভৌগোলিক গ-ির মধ্যে আবদ্ধ ছিল না; বরং তিনি ছিলেন গোটা মানবজাতি এবং মুসলিম বিশ্বের অমূল্য স¤পদ।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে ইমাম খোমেইনীর চিন্তাদর্শ সংরক্ষণ করা আমাদের বড় সাফল্য, শত্রুরা যা বছরের পর বছর ধরে ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে। ইমাম খোমেইনীর স্মরণসভাগুলো প্রকৃতপক্ষে এই আধ্যাত্মিক নেতার চিন্তাদর্শ ও আলোকিত পথনির্দেশনা সংরক্ষণের একটি উপায়। বর্তমান সময়ে মুসলিম যুবকদেরকে ইমাম খোমেইনীর জীবনাদর্শের সাথে পরিচিত করানো উচিত।
স্বাগত বক্তব্যে ড. হাসান সেহাত বলেন, প্রতি বছর ৪ জুন মহান ইরানি জাতিকে ও বিশে^র সমস্ত মুক্তিকামী মানুষকে একটি বিরাট দুঃখজনক ও অবিস্মরণীয় ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এ দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে এমন একজন বিরাট, মহান, সাহসী ও শক্তিশালী নেতাকে হারানোর ঘটনাÑ যিনি বিশে^র সবচেয়ে বড় বিপ্লবের নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে ইরানি জাতিকে আড়াই হাজার বছরের স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র ও বিজাতীয় আধিপত্যের কবল থেকে মুক্ত করে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ড. সাইয়্যেদ হাসান সেহাত বলেন, প্রত্যেক বছর খোরদাদ মাসের মাঝের তারিখটি মহান ইরানি জাতির জন্য এবং একই সাথে বিশ্বের সকল স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য অশেষ দুঃখ ও শোকের বার্তা নিয়ে হাজির হয়, যে শোক কখনও ভোলার নয়। এ শোক এক মহান, অবিসংবাদিত, সাহসী ও প্রতাপশালী নেতাকে হারানোর শোক, যিনি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম গণমানুষের বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের গোড়াপত্তন করেন। তিনি বলেন, ইমাম খোমেইনি আত্মমনোবল এবং গভীর বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে ইরানের মহান জাতিকে তার আসল পরিচয়সত্তার প্রতি পথনির্দেশনা দান করেছেন। আর এ কারণেই ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান, ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের পর থেকে বিগত ৪২ বছরে অর্থনৈতিক, সামরিক, প্রযুক্তিসহ অন্যান্য খাতে যত উন্নতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তা ইমাম খোমেইনীর ঐ উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার কাছে ঋণী ।
ড. আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ বলেন, ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠা একটি স্বপ্ন ছিল। তৎকালীন বিশে^ সমাজবাদ, পুঁজিবাদ ও গণতন্ত্রবাদের বাইরে একটি ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠা সহজ কোনো বিষয় ছিল না। ইরানের তৎকালীন শাসক রেযা শাহ খুবই শক্তিশালী ছিলেন। তাঁর পৃষ্ঠপোষক ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইমাম খোমেইনী (র.) শোহাদায়ে কারবালার চেতানায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিপ্লব করেন। একটি বিপ্লবের জন্য তিনটি উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণÑ তত্ত্ব, নেতৃত্ব ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অবস্থা। ইমাম খোমেইনী বেলায়াতে ফকীহ তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে বিপ্লব সংগঠিত করেন; তিনি নিজে ছিলেন অসাধারণ নেতৃত্বের গুণে গুণান্বিত এবং তাঁর নেতৃত্বের অধীনে আয়াতুল্লাহ মোর্তজা মোতাহহারী, ড. আলী শরীয়তীর মতো অসংখ্য আলেম-বুদ্ধিজীবী বিপ্লবী কর্মকা-ে অংশ নিয়েছিলেন। আর ইরানের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।
ড. মো. নূরে আলম বলেন, ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পূর্বে যখন অত্যাচারী ও ইহুদী মার্কিনপন্থী রেযা শাহ পাহলভী ইরানের শাসন ক্ষমতায় ছিলেন, তিনি যখন দেশ থেকে ইসলামি আদর্শকে সমূলে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, দেশে যখন মদ, জুয়া ও অশ্লীলতা মারাত্মক আকার ধারণ করে, ইসলামের অনুসারিগণকে অমানুষিক জুলুম, নির্যাতন ও অত্যাচার করা হয়, আমেরিকানরা যখন মধ্যপ্রাচ্যকে তাদের ঘাঁটি মনে করত এবং ইরান থেকে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল, এ করুণ পরিস্থিতিতে আত্মপ্রকাশ করেন ইসলামি বিপ্লবের মহান নেতা হযরত ইমাম খোমেইনী (র)। হযরত ইমাম খোমেইনী রাজনীতি ও সংগ্রামের ক্ষেত্রে কেবল একজন অনন্য বিশ্বনেতাই ছিলেন না; বরং আইনবিজ্ঞান, ফিকাহশাস্ত্র, দর্শনশাস্ত্র, সূফিতত্ত্ব ও নীতিশাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ হিসাবেও ইসলামি বিশ্বের এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি বর্তমান মুসলিম বিশ্বের সকল নেতার চেহারা থেকে অপমান, সংকীর্ণতা ও অলসতার চিহ্ন মুছে ফেলেছেন, মুসলিম ও অমুসলিম জাতিসমূহের মধ্যে ইসলামি মূল্যবোধ পুনরুজ্জীবিত করেছেন, বিশ্বের সকল মুক্তিকামী ও নির্যাতিত মানুষের হৃদয় আলোড়ন তুলেছেন। তিনি শুধু ইরানের নন, সারা বিশ্বের মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকল নির্যাতিত মানুষের নেতা। তিনি যে বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা ছিল পৃথিবীর বুকে এক অলৌকিক ঘটনা।
হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলিল রাজাভী বলেন, মুসলিম উম্মাহকে শোহাদায়ে কারবালার চেতনায় জালেমকে ঘৃণার কথা শিক্ষা দেওয়া হতো, কিন্তু বাস্তবে এর প্রয়োগ সেভাবে ছিল না। যা ইমাম খোমেইনী (রহ.) তাঁর বিপ্লবের মাধ্যমে বাস্তবে করে দেখিয়েছেন। ইমাম খোমেইনী বলেন, মুহররম ও সফর ইসলামকে জাগ্রত রেখেছে। ইমাম খোমেইনী (রহ.)-এর বেলায়াতে ফকীহ তত্ত্ব এমন একটি তত্ত্ব যা বিপ্লবের পর বিপ্লবকে অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রেখে চলেছে। এ বিপ্লবকে বুঝতে হলে বেলায়াতে ফকীহকে বুঝতে হবে, কারবালার চেতনাকে বুঝতে হবে, ইমাম খোমেইনীর ব্যক্তিত্বের আধ্যাত্মিক দিককে গভীরতার সাথে অনুধাবন করতে হবে। আর যে আহলে বাইতের খাদেম হিসেবে ইমাম খোমেইনী গর্ববোধ করতেন সেই আহলে বাইতকেও বুঝতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইমাম খোমেইনী প্রতিষ্ঠিত এ রাষ্ট্রের নীতি হচ্ছে জালেমের বিপক্ষে আর মজলুমের পক্ষে। ফিলিস্তিনের পক্ষে ইরানের সুস্পষ্ট অবস্থান এ বিষয়টিকেই প্রমাণ করেছে।
ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ইমাম খোমেইনী এমন এক ব্যক্তি যিনি দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থেকে ইরানের বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বিপ্লবকে সফল করেছেন। এতে তাঁর শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের পরিচয় ফুঠে ওঠে। ইরানের জনগণকে দীর্ঘদিন ইসলামবিরোধী শক্তির মোকাবিলা করতে হয়েছে, তারা কখনই প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে নি। অবশেষে ইমাম খোমেইনী (র.) কর্তৃক সংঘটিত ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের মাধ্যমে তারা স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করতে পেরেছে। ইমাম খোমেইনী বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক বিপ্লব সাধন করেছিলেন। বিপ্লবের পূর্বে তেহরান বিশ^বিদ্যালয়কে এমন একটি দোকান বলা হতো যেখানে পাশ্চাত্য পণ্য বিক্রি হয়। অর্থাৎ চিন্তা-চেতনা সকল কিছু পাশ্চাত্য দ্বারা প্রভাবিত ছিল। কিন্তু বিপ্লবের পর ইমাম খোমেইনী এমন এক আধ্যাত্মিক বিপ্লব সাধন করেন এবং নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করেন যার ফলে সকল বিরোধী শক্তির মোকাবিলায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান আজো মাথা উঁচু করে টিকে আছে।
অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ইমাম খোমেইনী (র.) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদী গণতন্ত্র, সোভিয়েত ইউনিয়নের ধর্মহীন শাসনব্যবস্থা ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত করেছেন। বিপ্লব সফল হওয়ার পর বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য ইরাক কর্তৃক চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো প্রতিবাদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে নি। কিন্তু ইসলামি বিপ্লব স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত থেকে যায়। ইমাম খোমেইনী একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব সাধন করেছিলেন। তিনি একটি জাতিকে আত্মমর্যাদাবোধ, শালীনতা, শিষ্টাচার ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইরানের বিপ্লব ছিল একটি নজিরবিহীন বিপ্লব, ইসলামের নামে এ ধরনের বিপ্লব আর দ্বিতীয়টি হয় নি। এ বিপ্লব সমগ্র বিশে^র জন্য ছিল একটি বিস্ময়। যদিও ইরান একটি মুসলিম প্রধান দেশ ছিল, কিন্তু এর সংস্কৃতি হয়ে গিয়েছিল ইউরোপ-আমেরিকার মতো। ইমাম খোমেইনী ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে এতে আমূল পরিবর্তন সাধন করেন। আর এতে জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতাও ছিল ব্যাপক।
বিপ্লবের পর ইরাক সরকার কর্তৃক চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের মাধ্যমে পাশ্চাত্য শক্তি চেয়েছিল ইরানের বিপ্লবকে ধ্বংস করতে, কিন্তু ইরানিদের জাতীয় চেতনা, আত্মমর্যাদাবোধের কারণে তারা তাতে সফল হয়নি।
ইমাম খোমেইনী অত্যন্ত জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ছিলেন উদার দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী। ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানে ইহুদি, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্বাধীনভাবে ধর্মপালন এর প্রমাণ বহন করে। তিনি বলেছিলেন, আমরা ইহুদিদের বিরোধী নই, তবে আমরা যায়নবাদীদের বিরোধী।
বর্তমান ইরানের কথা উল্লেখ করে জনাব সাখাওয়াত বলেন, ইরান একটি আধুনিক ও শক্তিশালী রাষ্ট্র। ইরানের অবকাঠামোগত অগ্রগতি ইউরোপের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। ইরান একটি পরিচ্ছন্ন দেশ। একটি দেশের উন্নতির জন্য যা প্রয়োজন সকল কিছু ইরানে বিদ্যমান। ইরানে নারী নিরাপত্তার বিষয়টি লক্ষ্যণীয়। অনেক রাতেও নারীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারে। ইরানে দুর্নীতি নেই বললেই চলে। ইরানিরা খুবই উন্নত সংস্কৃতির অধিকারী। বিপ্লবকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে প্রচ- চেতনা কাজ করে। তিনি আরো বলেন, ইরানিরা তাদের অতীত ইতিহাসকে মুছে ফেলেনি। তারা সেগুলোকে সংরক্ষণ করে রেখেছে।
হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ আফতাব হোসেন নাকাভী বলেন, ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়া অন্যতম প্রধান কারণ ছিল যোগ্য নেতার যথাযথ অনুসরণ। ইসলামি বিপ্লব শিক্ষা দেয় যে, শুধু নামায, রোযা, হজ, যাকাত নয়; বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সকল ধরনের কর্মকা- ধর্মীয় নেতৃত্বের অধীনে হওয়া আবশ্যক। রাজনীতির সাথে ধর্মের কোন বিরোধ নেই, বরং রাজনীতি ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে এ রাজনীতি মিথ্যা ওয়াদা, ধোঁকা দেয়া, অন্যায়-অবিচার করার রাজনীতি নয়; এ রাজনীতি পবিত্র বিষয়, এটি একটি ইবাদত।