মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

ইমাম খামেনেয়ীর বক্তব্য: একটি নতুন সভ্যতা তৈরি করা ইসলামি বিপ্লবের মহান লক্ষ্য

পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ১৬, ২০২৫ 

news-image

ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী একটি নতুন ইসলামি সভ্যতা সৃষ্টিকে ইসলামি বিপ্লবের মহান লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।

পার্সটুডে অনুসারে, ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ফার্সী ১৪০০ সালের ২২ বাহমানে পূর্ব আজারবাইজানের জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন: “আপনারা যে বিপ্লব এবং ইরানের বিপ্লবী জাতির সামনে বলদর্পী ও অহংকারী  ফ্রন্টকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছেন এবং তাদের এত শত্রুতা দেখছেন তার কারণ হল বিপ্লব এখনো জীবিত রয়েছে। যদি বিপ্লব না থাকত, তাহলে এই প্রচারকদের ইরানি জাতির বিরুদ্ধে এত বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ করার কারণ থাকত না। এখন, “বিপ্লব জীবিত থাকা” বলতে কী বোঝায়? এর অর্থ হল দেশের নতুন প্রজন্ম ইসলামি বিপ্লবের আদর্শের সাথে তাদের সংযুক্তি। বিপ্লবের যে আদর্শগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরেছিল তার সঙ্গে তাদের সংযুক্তি; তথা জাতীয় স্বাধীনতা, জাতীয় মর্যাদা, জাতীয় কল্যাণ, সামাজিক ন্যায়বিচার, একটি ইসলামি সমাজের বাস্তবায়ন, এবং চূড়ান্তভাবে যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি, একটি নতুন ইসলামি সভ্যতার সৃষ্টি; এগুলোই বিপ্লবের মহান লক্ষ্য।” আমাদের জনগণ আজ এই লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত এবং তারা আগ্রহী; যদি তারা কিছু করতে পারে, যে কেউ কিছু করতে পারে, তারা সত্যিই তা করে; অর্থাৎ, দেশের একটি বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠের অংশ বিপ্লবের এসব আদর্শের সঙ্গে সংযুক্তি রয়েছে।

একটি দেশের সুশাসনের জন্য বিশ্বের জনগণের কাছে একটি মডেল প্রদান

ইমাম খামেনেয়ী ১৪০৩ সালের ১৯ ফারবারদিনে শিক্ষার্থীদের সাথে এক সভায় আরো বলেছিলেন,  আমাদের অবশ্যই আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। আমার মতে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র দুটি সাধারণ শিরোনামের অধীনে তার আদর্শগুলোকে সারসংক্ষেপ করতে পারে: একটি শিরোনাম হল “ইসলামি পদ্ধতিতে দেশ পরিচালনা করা”;দ্বিতীয় শিরোনাম হল “একটি দেশের সুশাসনের জন্য বিশ্বের জনগণের কাছে একটি মডেল প্রদান করা”। আপনাকে এই দুটি আদর্শের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে; আপনাকে এই দুটি সাধারণ শিরোনাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উপায়গুলো নিয়ে চিন্তা করতে হবে এবং কাজ করতে হবে।

পশ্চিমা সমাজগুলো ভেতর থেকে শূন্য ও অর্থহীন হয়ে পড়বে

এদিকে ইসলামি বিপ্লবের নেতা ১৩৯৫ সালের ২৮ শাহরিবারে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে এক বৈঠকে উল্লেখ করেছিলেন,  আদর্শবাদ যুক্তিবাদের সমান, কারণ যদি কোনো জাতি আদর্শহীন হয়ে পড়ে তবে পশ্চিমা সমাজের মতই তা ভেতর থেকে শূন্য ও অর্থহীন হয়ে পড়বে। ঠিক বর্তমান পরিস্থিতির মতো। ১৩৯৫ সালের ১৩ দে’তে বিভিন্ন শ্রেণীপেশা এবং ছাত্রদের সঙ্গে এক বৈঠকে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ইরানের প্রকৃত অগ্রগতির পূর্বশর্ত হিসেবে “ধর্মীয় ও ঐশী আদর্শ এবং বিপ্লবী অঙ্গীকারের’ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জোর দিয়ে বলেছিলেন, অর্থনীতি, রাজনীতি, বৈজ্ঞানিক কাজ, দেশের প্রশাসন এবং পরিচালক নির্বাচনসহ দেশের সকল ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।#

পার্সটুডে